Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি যদি নির্বাচনে আসলে আমরা তৃপ্তি পাব : ইসি আহসান হাবিব

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২০:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
  • ২০০ জন দেখেছেন

ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি : 

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ইসি এবং দেশের জনগণও চায় নির্বাচনে শতভাগ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির যে অ্যাজেন্ডা রয়েছে সেটি ভিন্ন ইস্যু। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই। তারা যদি নির্বাচনে আসে তাহলে আমরাও (কমিশন) তৃপ্তি পাব।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তিন জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি এ কথা বলেন।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিএনপির যে অ্যাজেন্ডা রয়েছে সেটি ভিন্ন ইস্যু। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই। চাইলে রাজনৈতিক দলগুলো বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসতে পারে। তারা যদি কোনো সমাধানে আসে সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তারা যদি নির্বাচনে আসে তাহলে আমরাও (কমিশন) তৃপ্তি পাব। আমরা চেয়েছি নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ। সে লক্ষ্যে প্রথম থেকেই আমরা সব ধরনের চেষ্টা করেছি।

ইসি মো. আহসান হাবিব খান বলেন, আমার আত্মাটা তৃপ্তি পেত যদি নির্বাচনে সবাই আসতো। বিএনপি যদি নির্বাচনে আসতে চায়, তাহলে আমরা কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেব তফসিল পেছানো ব্যাপারে। আমরা ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই, তারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারবেন। সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক পদ, সংবিধান সুরক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। ভোটার উপস্থিত করানো প্রার্থীর দায়িত্ব, তবে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে যদি কেউ বাধা দেয় তার জন্য তিন থেকে সাত বছর কারাদণ্ডের আইন করা হয়েছে। আর সেভাবেই আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি। নির্বাচনকালীন সময়ে ডিসি এবং এসপিরা স্বাধীনভাবে কাজ করবে।

অতীত থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দর পরিবেশে একটি নির্বাচন উপহার দেয়ার কথা জানিয়ে মো. আহসান হাবিব খান আরও বলেন, আমরা ডিসি এসপি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবার কাছ থেকে শতভাগ সহায়তা পেয়ে সুন্দর নির্বাচন দিতে চাই।

তিনি বলেন, একজন ভোটার ভোট কেন্দ্র পর্যন্ত আসছে কিনা, বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে কিনা এবং ভোটটি সঠিকভাবে দিতে পারলো কিনা, এটা খেয়াল রাখতে হবে। ভোটার ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে যদি বলে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে, এটাই আমাদের সার্থকতা। আর যদি বলে কেন্দ্রে অরাজকতা চলছে, পেশি শক্তির প্রভাব চলছে, তাহলে কিন্তু সবকিছুই জিরো।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. পারভেজ হাসান, বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রেজাউল কবির, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুর রহমান, বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম, ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল, বরগুনার পুলিশ সুপার মো. আব্দুস সালাম, পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মো. শফিউর রহমান ও বরিশাল বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন।

আবহাওয়া

উপদেষ্টা আসিফ মুরাদনগরে ‘মাফিয়াতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠা করেছেন : নাছির উদ্দীন

বিএনপি যদি নির্বাচনে আসলে আমরা তৃপ্তি পাব : ইসি আহসান হাবিব

প্রকাশের সময় : ০৭:২০:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি : 

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ইসি এবং দেশের জনগণও চায় নির্বাচনে শতভাগ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির যে অ্যাজেন্ডা রয়েছে সেটি ভিন্ন ইস্যু। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই। তারা যদি নির্বাচনে আসে তাহলে আমরাও (কমিশন) তৃপ্তি পাব।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তিন জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি এ কথা বলেন।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিএনপির যে অ্যাজেন্ডা রয়েছে সেটি ভিন্ন ইস্যু। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই। চাইলে রাজনৈতিক দলগুলো বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসতে পারে। তারা যদি কোনো সমাধানে আসে সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তারা যদি নির্বাচনে আসে তাহলে আমরাও (কমিশন) তৃপ্তি পাব। আমরা চেয়েছি নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ। সে লক্ষ্যে প্রথম থেকেই আমরা সব ধরনের চেষ্টা করেছি।

ইসি মো. আহসান হাবিব খান বলেন, আমার আত্মাটা তৃপ্তি পেত যদি নির্বাচনে সবাই আসতো। বিএনপি যদি নির্বাচনে আসতে চায়, তাহলে আমরা কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেব তফসিল পেছানো ব্যাপারে। আমরা ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই, তারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারবেন। সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক পদ, সংবিধান সুরক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। ভোটার উপস্থিত করানো প্রার্থীর দায়িত্ব, তবে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে যদি কেউ বাধা দেয় তার জন্য তিন থেকে সাত বছর কারাদণ্ডের আইন করা হয়েছে। আর সেভাবেই আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি। নির্বাচনকালীন সময়ে ডিসি এবং এসপিরা স্বাধীনভাবে কাজ করবে।

অতীত থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দর পরিবেশে একটি নির্বাচন উপহার দেয়ার কথা জানিয়ে মো. আহসান হাবিব খান আরও বলেন, আমরা ডিসি এসপি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবার কাছ থেকে শতভাগ সহায়তা পেয়ে সুন্দর নির্বাচন দিতে চাই।

তিনি বলেন, একজন ভোটার ভোট কেন্দ্র পর্যন্ত আসছে কিনা, বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে কিনা এবং ভোটটি সঠিকভাবে দিতে পারলো কিনা, এটা খেয়াল রাখতে হবে। ভোটার ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে যদি বলে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে, এটাই আমাদের সার্থকতা। আর যদি বলে কেন্দ্রে অরাজকতা চলছে, পেশি শক্তির প্রভাব চলছে, তাহলে কিন্তু সবকিছুই জিরো।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. পারভেজ হাসান, বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রেজাউল কবির, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুর রহমান, বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম, ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল, বরগুনার পুলিশ সুপার মো. আব্দুস সালাম, পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মো. শফিউর রহমান ও বরিশাল বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন।