Dhaka রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি ভাড়া করা লোক দিয়ে নাশকতা চালাচ্ছে: ডিবির হারুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপির আন্দোলনে দলটির নেতারা মাঠে না নামলেও ভাড়া করা লোক দিয়ে নাশকতা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবিতে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব দাবি করেন।

হারুন বলেন, সন্ত্রাসী এই টিম পরিচালনার জন্য আছেন কেন্দ্রীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতারা। মহানগর যুবদল, থানা এবং ওয়ার্ডভিত্তিক বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা রয়েছেন। তারা ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলা থেকে সমমনা দিনমজুর, খেটে খাওয়া লোকদের দৈনিক ভাড়ার চুক্তিতে ঢাকা মহানগরীতে নিয়ে এসে কখনো কোমল পানীয়ের বোতল, কখনো অন্যান্য কন্টেইনারে কেরোসিন, দেশলাই সরবরাহ করেন। তারা চলন্ত গাড়িতে যাত্রীবেশে উঠে পেছন দিক থেকে আগুন লাগিয়ে দ্রুত নেমে পড়েন এবং পালিয়ে যান। কখনো মোটরসাইকেলে করে ঘুরে ঘুরে যানবাহনে আগুন লাগানোর ব্যবস্থাও করে থাকে।

তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুলিশ সদস্য হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর, পুলিশ হসপিটারে অগ্নিসংযোগ করে অ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেলকে অগ্নিকাণ্ড, পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া, লাখ লাখ টাকার সিসি ক্যামেরা নষ্ট ও চুরি করাসহ নানা রকম ধ্বংসলীলার পরে বিভিন্ন মেয়াদে হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছে। জনগণের সম্পৃক্ততা না থাকলেও এই হরতাল এবং অবরোধে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা, জনসম্পদ এবং জীবনের হানি ঘটানোর জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণে তারা আটটি সন্ত্রাসী টিম গঠন করেছে।

তিনি আরো বলেন, সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বিএনপি নেতাকর্মীরা একাধিক গ্রুপে ভাগ হয়ে কাজ করেন। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে দলটির বেশ ক’জন অগ্নিসন্ত্রাসী ও মদদদাতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

হারুন অর রশিদ জানান, তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত ৩০ নভেম্বর ২ মদদদাতাকে গ্রেফতার করেন তারা, যাদের একজন বংশাল, কোতোয়ালী থানার যুবদল সভাপতি পদপ্রার্থী এবং আরেকজন কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সচিব।

ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, বাসে আগুন লাগানো নাশকতাকারীদের আমরা গ্রেফতার করেছি। আদালতে গিয়ে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদেরকে কে টাকা দিয়েছেন, কোথা থেকে হামলার সরঞ্জাম নিয়ে এসেছেন- সব কিছুই তারা স্বীকার করেছেন।

হারুন অর রশিদ বলেন, গ্রেফতারকতৃদের কাছ থেকে ডিবি জানতে পারে, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে নাশকতা চালাতে বেশ কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে কাজ করতেন তারা। কেউ করতেন নাশকতা, কেউ করতেন ভিডিও আর কেউবা ভিডিও পাঠাতেন নির্দেশদাতার কাছে। নেতারা মাঠে না নেমে, সমমনা দিনমজুরদের দিয়ে নাশকতা চালাতেন তারা।

তিনি বলেন, টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে বিস্ফোরণ, বাসে আগুন দেয়ার মতো ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আগুন লাগানোর ছবিটাও দিতে হবে দেশের বাইরে থাকা তাদের ‘বড় ভাইয়ের’ কাছে।

প্রতিটি নাশকতার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডিএমপির ডিবিপ্রধান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

১২১ বারের মতো পেছালো সাগর-রুনির হত্যা মামলার প্রতিবেদন

বিএনপি ভাড়া করা লোক দিয়ে নাশকতা চালাচ্ছে: ডিবির হারুন

প্রকাশের সময় : ০৭:১৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপির আন্দোলনে দলটির নেতারা মাঠে না নামলেও ভাড়া করা লোক দিয়ে নাশকতা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবিতে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব দাবি করেন।

হারুন বলেন, সন্ত্রাসী এই টিম পরিচালনার জন্য আছেন কেন্দ্রীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতারা। মহানগর যুবদল, থানা এবং ওয়ার্ডভিত্তিক বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা রয়েছেন। তারা ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলা থেকে সমমনা দিনমজুর, খেটে খাওয়া লোকদের দৈনিক ভাড়ার চুক্তিতে ঢাকা মহানগরীতে নিয়ে এসে কখনো কোমল পানীয়ের বোতল, কখনো অন্যান্য কন্টেইনারে কেরোসিন, দেশলাই সরবরাহ করেন। তারা চলন্ত গাড়িতে যাত্রীবেশে উঠে পেছন দিক থেকে আগুন লাগিয়ে দ্রুত নেমে পড়েন এবং পালিয়ে যান। কখনো মোটরসাইকেলে করে ঘুরে ঘুরে যানবাহনে আগুন লাগানোর ব্যবস্থাও করে থাকে।

তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুলিশ সদস্য হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর, পুলিশ হসপিটারে অগ্নিসংযোগ করে অ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেলকে অগ্নিকাণ্ড, পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া, লাখ লাখ টাকার সিসি ক্যামেরা নষ্ট ও চুরি করাসহ নানা রকম ধ্বংসলীলার পরে বিভিন্ন মেয়াদে হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছে। জনগণের সম্পৃক্ততা না থাকলেও এই হরতাল এবং অবরোধে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা, জনসম্পদ এবং জীবনের হানি ঘটানোর জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণে তারা আটটি সন্ত্রাসী টিম গঠন করেছে।

তিনি আরো বলেন, সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বিএনপি নেতাকর্মীরা একাধিক গ্রুপে ভাগ হয়ে কাজ করেন। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে দলটির বেশ ক’জন অগ্নিসন্ত্রাসী ও মদদদাতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

হারুন অর রশিদ জানান, তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত ৩০ নভেম্বর ২ মদদদাতাকে গ্রেফতার করেন তারা, যাদের একজন বংশাল, কোতোয়ালী থানার যুবদল সভাপতি পদপ্রার্থী এবং আরেকজন কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সচিব।

ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, বাসে আগুন লাগানো নাশকতাকারীদের আমরা গ্রেফতার করেছি। আদালতে গিয়ে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদেরকে কে টাকা দিয়েছেন, কোথা থেকে হামলার সরঞ্জাম নিয়ে এসেছেন- সব কিছুই তারা স্বীকার করেছেন।

হারুন অর রশিদ বলেন, গ্রেফতারকতৃদের কাছ থেকে ডিবি জানতে পারে, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে নাশকতা চালাতে বেশ কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে কাজ করতেন তারা। কেউ করতেন নাশকতা, কেউ করতেন ভিডিও আর কেউবা ভিডিও পাঠাতেন নির্দেশদাতার কাছে। নেতারা মাঠে না নেমে, সমমনা দিনমজুরদের দিয়ে নাশকতা চালাতেন তারা।

তিনি বলেন, টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে বিস্ফোরণ, বাসে আগুন দেয়ার মতো ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আগুন লাগানোর ছবিটাও দিতে হবে দেশের বাইরে থাকা তাদের ‘বড় ভাইয়ের’ কাছে।

প্রতিটি নাশকতার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডিএমপির ডিবিপ্রধান।