নিজস্ব প্রতিবেদক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বিএনপিকে প্রতিহত করতে সময় নষ্ট করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, দেশে নির্ধারিত দিনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচন যদি বানচাল করতে চান, তার সমুচিত জবাব আমরা রাজপথেই দেবো। এ ব্যাপারে আমরা সামান্যতম কার্পণ্য করবো না। কারণ বিএনপি খুনির দল, হত্যাকারীর দল।
রোববার (১৩ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘ইতিহাস কথা কয়’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী এই চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ নাকি ১০টা সিটও পাবে না, বিদেশি প্রভুদের খুশি করার জন্য সরকার জঙ্গি গ্রেপ্তার করার নাটক করছে? এ কথা বলে মির্জা ফখরুল পরিচ্ছন্নভাবে জঙ্গিদের পক্ষাবলম্বন করেছেন। কাজেই এই জঙ্গিদের সঙ্গে আপনারাও জড়িত। কী কারণে জড়িত? কারণ দেশের নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য আপনারা এমন কোনো কাজ নেই যে কাজ করছেন না। এখনো কোনো ষড়যন্ত্র নেই যা করছেন না।
বিএনপিকে হত্যাকারীর দল, খুনির দল দাবি করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নানক বলেন, ওরা এই দেশে ভাইয়ের সামনে বোনকে রেপ করেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের হাত কেটেছে। পা কেটেছে। চোখ উপড়ে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ করার অপরাধে আমাদের ছোটখাটো ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। ওরা এখন বলে গণতন্ত্রের কথা।
নানক বলেন, ওরা এ দেশে ভাইয়ের সামনে বোনকে ধর্ষণ করেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের হাত কেটেছে। পা কেটেছে। চোখ উপড়ে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ করার অপরাধে আমাদের ছোটোখাটো ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। ওরা এখন বলে গণতন্ত্রের কথা। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়ক হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়ার রহমান জড়িত। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ওই পরাজিত শক্তি বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের লড়াই সংগ্রামের যে ইতিহাস তা মুছে দিতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ছবি দেওয়ালে টাঙ্গানোর নিষেধ করে দিয়েছে। জিয়াউর রহমান এ খুনের দায় এড়াতে পারে না। জিয়াউর রহমানকে আমরা ৭৫ এর খুনি মনে করি। তার অনুসারীরা (বিএনপি নেতারা) এখন বাংলাদেশে সেই অপরাজনীতি থেকে বের হতে পারেনি।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ঢাকার কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, ইতিহাস কথা কয় চিত্রপ্রদর্শনীর চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি ম. রাজ্জাক, কাজী শহিদুল্লাহ লিটন, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, খাইরুল হাসান জুয়েল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক তারেক সাঈদসহ অনেকে।