Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বারবার আঘাত এসেছে, আ.লীগ ফিনিক্স পাখির মত জেগেছে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে বারবার আঘাত এসেছে, কিন্তু দলটি প্রতিবারই ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আ.লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

রোববার (২৩ জুন) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ‘প্লাটিনাম জুবিলি’র আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগকে বারবার নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। আঘাতের পরও ফিনিক্স পাখির মতো আবারও জেগে উঠেছে দলটি। খুব বেশিদিন আগের কথাও না ২০০৭ সালেও চেষ্টা করা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে নতুন কিংস পার্টি গঠন করবে। সেটাও সফল করতে পারেনি। তার কারণ আওয়ামী লীগের মূলশক্তি হলো সাধারণ জনগণ, তৃণমূলের মানুষ, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী মুজিব আদর্শের সৈনিক। এই সৈনিকরা কখনো পরাভব মানে না, মাথা নত করে না।

তিনি বলেন, হয়তো কখনো কখনো কোনো নেতারা ভুল করেছেন, কেউ মনে করেছেন আওয়ামী লীগে তারাই বড় নেতা। তাই কেউ নিজেকে বড় নেতা মনে করে আওয়ামী লীগ ছেড়ে অন্য দল করেছেন। কিন্তু তারা ভুল করেছেন, কেনো আপনারা দেখেন আকাশে মিটি মিটি তারা জ্বলে। তারা আলোকিত হয় কারা দ্বারা সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়। যে সব নেতারা ভুল করেছিলেন ভুলে গিয়েছিলেন তারা আলোকিত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন বলেই। এখান থেকে চলে যাবার পর এই তারা আর জ্বলে নাই। তারা আস্তে আস্তে নিভু নিভু, কিছু নিভেই গেছে। কেউ ভুল বুঝে হয়তো ফিরত এসেছে আমরা নিয়েছি। আবার কেউ এখনো ভিন্নভাবে আওয়ামী লীগ সরকার পতন, ধ্বংস নানা জল্পনা কল্পনা করছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেই তো মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য।

তিনি আরও বলেন, এদেশের মানুষকে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা অবশ্যই দেবে আওয়ামী লীগ। স্মার্ট সোনার বাংলা ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলবো। সব সময় সুখে দুখে মানুষের পাশে দাঁড়ায় আওয়ামী লীগ।

সরকারপ্রধান বলেন, যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ। মৃত্যুকে ভয় পাই না। বাবার চিন্তা চেতনা বাস্তবায়ন করে মানুষের জন্য কাজ করে যাবো, উন্নত জীবন দেবো। জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে হবে নেতাকর্মীদের। সেটি অর্জন করতে পেরেছি বলেই বারবার জনগণ ভোট দিয়েছে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। স্মার্ট বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাবে, প্লাটিনাম জুবিলিতে এটাই প্রতিজ্ঞা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাঙালির প্রতিটি অর্জনে এ দল ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেই তো বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। যা আমরা প্রমাণ করেছি। ৭৫ আগস্টের পর বার বার ক্ষমতা বদল হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতা বদল হয়েছে হয় অস্ত্রের মাধ্যমে এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না, মানুষের মৌলিক অধিকার ছিল না। মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তনই তারা করতে পারিনি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যেমন স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, তেমনি আমাদের দলের প্রতিটি পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির যতটুকু অর্জন সেটি আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই হয়েছে। বার বার এ দলের ওপরই আঘাত এসেছে। খণ্ড বিখণ্ড করার চেষ্টা হয়েছিলো। কিন্তু গণমানুষের দল বলেই বার বার জেগে উঠেছে এ দল। ঠিক ফিনিক্স পাখির মত। কারণ আওয়ামী লীগের শক্তি তৃণমূল। তারা কখনও পরাভোগ মানে না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের পাশে রয়েছে। আজ বাংলাদেশের যত অর্জন, সেগুলো আওয়ামী লীগের দ্বারাই। কিন্তু বারবার এ আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে। আওয়ামী লীগই গণমানুষের সংগঠন। আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার আদায়ের সংগঠন। রাজনৈতিক দলের কাজ হলো দেশের মানুষের সেবা করা, মানুষের ভাগ্যন্নোয়ন করা। মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণে কাজ করে যাওয়া। যা আমরা করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি ঘাতকের দল। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হব। শক্তিশালী সংগঠন থাকলে, গণমানুষের সমর্থন থাকলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছি বলেই বারবার সরকার গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে দেশের জনগণ। দেশের মানুষের আস্থা পূরণ করতে পেরেছি বলেই জনগণ ভোট দিয়েছে। গণতান্ত্রিক ধারা আছে বলেই, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রতিজ্ঞায় আওয়ামী লীগের পাশেই থাকুন সবাই।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিভিন্ন সময় নেতারা অনেকে ভুল করেছেন। আওয়ামী লীগ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। যেসব নেতা ভুল করেছেন, তারা বুঝে নাই আকাশের তারার মতো তারাও জ্বলে উঠেছিল আওয়ামী লীগের আলোতেই। চলে যাওয়ায় হারিয়ে গেছে। হ্যাঁ, অনেকে ফিরেও এসেছে, আমরা গ্রহণ করেছি। আবার অনেকে এখনো সরকার পতনের আন্দোলন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার, ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস ঘোষণা, মার্তৃভাষা সংরক্ষণে প্রকল্প গ্রহণ, ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি আদায় কিন্তু আওয়ামী লীগই এনে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি পদক্ষেপের ফলে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের পাশে থেকেছে। আজকে বাংলাদেশের যত অর্জন, সেগুলো আওয়ামী লীগই করেছে। কিন্তু বারবার আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন, জনগণের অধিকার আদায়ের সংগঠন।

দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হককে স্মরণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাঙালির সব অর্জনেই আওয়ামী লীগ আছে। জন্ম থেকে আওয়ামী লীগের প্রতিটি পদক্ষেপের কারণেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সবসময় মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিল সংগঠনটি। কিন্তু বারবার এই দলকে আঘাত করা হয়েছে, নিশ্চিহ্নের চেষ্টা হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা সন্ত্রাসবাদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি, দুর্নীতি করেছে। তারা জনগণের শক্তি ভুলে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে।

তিনি বলেন, আজ বাঙালির যতটুকু অর্জন, এই অর্জনগুলো আওয়ামী লীগের দ্বারাই। কিন্তু বারবার এ দলের উপর আঘাত এসেছে। বারবার এ দলকে খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়েছে। বারবার এ দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ৫৮ সালে সেই আইয়ুব খানের মার্শাল ল থেকে শুরু করে বারবার আঘাত এসেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার আদায়ের সংগঠন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের আর্থ সামাজিক উন্নতি করার সংগঠন। কাজেই বার বার আঘাত এসেও এই সংগঠনের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। বেশি দিন আগের কথা নয়, ২০০৭ সালেও চেষ্টা করা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে নতুন কিংস পার্টি গড়ে তোলার। সেটাও সফল করতে পারেনি। কারণ, আওয়ামী লীগের মূল শক্তি হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ, সাধারণ জনগণ, তৃণমূলের মানুষ, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী, মুজিব আদর্শের সৈনিক। এ সৈনিকরা কখনো পরাভব মানে না, মাথা নত করে না। হয়ত কখনো কখনো নেতারা ভুল করেছেন। কেউ মনে করেছেন আওয়ামী লীগে থাকলে তারাই হয়ত বড় নেতা। দলের থেকে নিজেকে বড় মনে করেন, কেউ দল ছেড়ে গিয়ে অন্য দল করেছেন। তারা ভুল করেছেন।

তিনি বলেন, আকাশে মিটি মিটি তারা জ্বলে, তারা আলোকিত হয় কার দ্বারা? সূর্যের আলোতে আলোকিত হয়। যেসব নেতারা আওয়ামী লীগ ছেড়েছিলেন তারা ভুলে গিয়েছিলেন দলের কথা। তারা আলোকিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন বলেই। চলে যাওয়ার পর ওই তারা আর জ্বলেনি। অনেকেই নিভে গেছেন। কেউ ভুল বুঝে ফিরে এসেছে, আমরা নিয়েছি। আবার কেউ কেউ এখনো আওয়ামী লীগের ও সরকারের পতন কল্পনা করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, যা আমরা প্রমাণ করেছি।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর বার বার ক্ষমতা বদল হয়েছে। হয় অস্ত্রের মাধ্যমে না হয় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শাসকরা ক্ষমতায় এসেছে। সেই সময় জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি তারা।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাকুন্দিয়ায় শরীফ হত্যা মামলার আরো এক আসামী গ্রেফতার

বারবার আঘাত এসেছে, আ.লীগ ফিনিক্স পাখির মত জেগেছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:১৩:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে বারবার আঘাত এসেছে, কিন্তু দলটি প্রতিবারই ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আ.লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

রোববার (২৩ জুন) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ‘প্লাটিনাম জুবিলি’র আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগকে বারবার নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। আঘাতের পরও ফিনিক্স পাখির মতো আবারও জেগে উঠেছে দলটি। খুব বেশিদিন আগের কথাও না ২০০৭ সালেও চেষ্টা করা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে নতুন কিংস পার্টি গঠন করবে। সেটাও সফল করতে পারেনি। তার কারণ আওয়ামী লীগের মূলশক্তি হলো সাধারণ জনগণ, তৃণমূলের মানুষ, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী মুজিব আদর্শের সৈনিক। এই সৈনিকরা কখনো পরাভব মানে না, মাথা নত করে না।

তিনি বলেন, হয়তো কখনো কখনো কোনো নেতারা ভুল করেছেন, কেউ মনে করেছেন আওয়ামী লীগে তারাই বড় নেতা। তাই কেউ নিজেকে বড় নেতা মনে করে আওয়ামী লীগ ছেড়ে অন্য দল করেছেন। কিন্তু তারা ভুল করেছেন, কেনো আপনারা দেখেন আকাশে মিটি মিটি তারা জ্বলে। তারা আলোকিত হয় কারা দ্বারা সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়। যে সব নেতারা ভুল করেছিলেন ভুলে গিয়েছিলেন তারা আলোকিত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন বলেই। এখান থেকে চলে যাবার পর এই তারা আর জ্বলে নাই। তারা আস্তে আস্তে নিভু নিভু, কিছু নিভেই গেছে। কেউ ভুল বুঝে হয়তো ফিরত এসেছে আমরা নিয়েছি। আবার কেউ এখনো ভিন্নভাবে আওয়ামী লীগ সরকার পতন, ধ্বংস নানা জল্পনা কল্পনা করছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেই তো মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য।

তিনি আরও বলেন, এদেশের মানুষকে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা অবশ্যই দেবে আওয়ামী লীগ। স্মার্ট সোনার বাংলা ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলবো। সব সময় সুখে দুখে মানুষের পাশে দাঁড়ায় আওয়ামী লীগ।

সরকারপ্রধান বলেন, যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ। মৃত্যুকে ভয় পাই না। বাবার চিন্তা চেতনা বাস্তবায়ন করে মানুষের জন্য কাজ করে যাবো, উন্নত জীবন দেবো। জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে হবে নেতাকর্মীদের। সেটি অর্জন করতে পেরেছি বলেই বারবার জনগণ ভোট দিয়েছে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। স্মার্ট বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাবে, প্লাটিনাম জুবিলিতে এটাই প্রতিজ্ঞা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাঙালির প্রতিটি অর্জনে এ দল ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেই তো বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। যা আমরা প্রমাণ করেছি। ৭৫ আগস্টের পর বার বার ক্ষমতা বদল হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতা বদল হয়েছে হয় অস্ত্রের মাধ্যমে এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না, মানুষের মৌলিক অধিকার ছিল না। মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তনই তারা করতে পারিনি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যেমন স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, তেমনি আমাদের দলের প্রতিটি পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির যতটুকু অর্জন সেটি আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই হয়েছে। বার বার এ দলের ওপরই আঘাত এসেছে। খণ্ড বিখণ্ড করার চেষ্টা হয়েছিলো। কিন্তু গণমানুষের দল বলেই বার বার জেগে উঠেছে এ দল। ঠিক ফিনিক্স পাখির মত। কারণ আওয়ামী লীগের শক্তি তৃণমূল। তারা কখনও পরাভোগ মানে না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের পাশে রয়েছে। আজ বাংলাদেশের যত অর্জন, সেগুলো আওয়ামী লীগের দ্বারাই। কিন্তু বারবার এ আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে। আওয়ামী লীগই গণমানুষের সংগঠন। আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার আদায়ের সংগঠন। রাজনৈতিক দলের কাজ হলো দেশের মানুষের সেবা করা, মানুষের ভাগ্যন্নোয়ন করা। মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণে কাজ করে যাওয়া। যা আমরা করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি ঘাতকের দল। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হব। শক্তিশালী সংগঠন থাকলে, গণমানুষের সমর্থন থাকলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছি বলেই বারবার সরকার গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে দেশের জনগণ। দেশের মানুষের আস্থা পূরণ করতে পেরেছি বলেই জনগণ ভোট দিয়েছে। গণতান্ত্রিক ধারা আছে বলেই, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রতিজ্ঞায় আওয়ামী লীগের পাশেই থাকুন সবাই।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিভিন্ন সময় নেতারা অনেকে ভুল করেছেন। আওয়ামী লীগ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। যেসব নেতা ভুল করেছেন, তারা বুঝে নাই আকাশের তারার মতো তারাও জ্বলে উঠেছিল আওয়ামী লীগের আলোতেই। চলে যাওয়ায় হারিয়ে গেছে। হ্যাঁ, অনেকে ফিরেও এসেছে, আমরা গ্রহণ করেছি। আবার অনেকে এখনো সরকার পতনের আন্দোলন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার, ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস ঘোষণা, মার্তৃভাষা সংরক্ষণে প্রকল্প গ্রহণ, ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি আদায় কিন্তু আওয়ামী লীগই এনে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি পদক্ষেপের ফলে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের পাশে থেকেছে। আজকে বাংলাদেশের যত অর্জন, সেগুলো আওয়ামী লীগই করেছে। কিন্তু বারবার আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন, জনগণের অধিকার আদায়ের সংগঠন।

দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হককে স্মরণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাঙালির সব অর্জনেই আওয়ামী লীগ আছে। জন্ম থেকে আওয়ামী লীগের প্রতিটি পদক্ষেপের কারণেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সবসময় মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিল সংগঠনটি। কিন্তু বারবার এই দলকে আঘাত করা হয়েছে, নিশ্চিহ্নের চেষ্টা হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা সন্ত্রাসবাদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি, দুর্নীতি করেছে। তারা জনগণের শক্তি ভুলে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে।

তিনি বলেন, আজ বাঙালির যতটুকু অর্জন, এই অর্জনগুলো আওয়ামী লীগের দ্বারাই। কিন্তু বারবার এ দলের উপর আঘাত এসেছে। বারবার এ দলকে খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়েছে। বারবার এ দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ৫৮ সালে সেই আইয়ুব খানের মার্শাল ল থেকে শুরু করে বারবার আঘাত এসেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার আদায়ের সংগঠন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের আর্থ সামাজিক উন্নতি করার সংগঠন। কাজেই বার বার আঘাত এসেও এই সংগঠনের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। বেশি দিন আগের কথা নয়, ২০০৭ সালেও চেষ্টা করা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে নতুন কিংস পার্টি গড়ে তোলার। সেটাও সফল করতে পারেনি। কারণ, আওয়ামী লীগের মূল শক্তি হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ, সাধারণ জনগণ, তৃণমূলের মানুষ, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী, মুজিব আদর্শের সৈনিক। এ সৈনিকরা কখনো পরাভব মানে না, মাথা নত করে না। হয়ত কখনো কখনো নেতারা ভুল করেছেন। কেউ মনে করেছেন আওয়ামী লীগে থাকলে তারাই হয়ত বড় নেতা। দলের থেকে নিজেকে বড় মনে করেন, কেউ দল ছেড়ে গিয়ে অন্য দল করেছেন। তারা ভুল করেছেন।

তিনি বলেন, আকাশে মিটি মিটি তারা জ্বলে, তারা আলোকিত হয় কার দ্বারা? সূর্যের আলোতে আলোকিত হয়। যেসব নেতারা আওয়ামী লীগ ছেড়েছিলেন তারা ভুলে গিয়েছিলেন দলের কথা। তারা আলোকিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন বলেই। চলে যাওয়ার পর ওই তারা আর জ্বলেনি। অনেকেই নিভে গেছেন। কেউ ভুল বুঝে ফিরে এসেছে, আমরা নিয়েছি। আবার কেউ কেউ এখনো আওয়ামী লীগের ও সরকারের পতন কল্পনা করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, যা আমরা প্রমাণ করেছি।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর বার বার ক্ষমতা বদল হয়েছে। হয় অস্ত্রের মাধ্যমে না হয় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শাসকরা ক্ষমতায় এসেছে। সেই সময় জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি তারা।