Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বায়ুদূষণ রোধের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে এবার গুরুত্ব দিতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বায়ুদূষণ রোধে নেয়া প্রকল্প নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে জানিয়ে পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এবার সেই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে হবে। এ নিয়ে অধিদফতরের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদফতরে ‘লঞ্চিং সেরিমনি অব ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট অ্যাকশন প্ল্যান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বায়ুদূষণ রোধে নেয়া প্রকল্প নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। দূষণ রোধে নেয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে এবার গুরুত্ব দিতে হবে, যা রোধে একটি কমিটি থাকবে। ওই কমিটি এর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এই এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানের বাস্তবায়ন যদি ৫-৭ বছরের মধ্যে নিশ্চিত করা যায়, তাহলে আমরা ঢাকাকে সবচেয়ে দূষিত বাতাসের নগরীর অপবাদ থেকে বের করে আনতে পারবো এবং জনস্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখতে পারবো।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই প্ল্যানের মাধ্যমে কোন কোন বিষয়গুলো কি মাত্রায় পরিবেশ দূষণ করছে তা আলাদাভাবে মনিটরিং করে আমাকে জানাবেন এবং জনগণকেও জানাবেন।

পরিবেশ দূষণের কারণগুলোর দিকে নজর দিয়ে তিনি আরো বলেন, গ্রাম দেশে গোবর পুড়িয়ে যে গৃহস্থালীর রান্না হয়, সেখান থেকে দূষণ হয়। বাংলাদেশের অনেক নারী এই দূষণের কারণে মারা যায়। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ডিজেল চালিত জেনারেটর, ইটভাটা, সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, স্টিল মিল, যানবাহন, মেডিসিন বর্জ্য থেকে দূষণ হচ্ছে। আমরা এখনো রিফাইনাযরি স্ট্যান্ডার্ড থেকে পিছিয়ে আছি। তুলনামূলক ভালো পরিবেশের জন্য তো আমরা কনস্ট্রাকশন, রোড ডাস্ট, ব্রিকস, সিমেন্ট এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি। এগুলোর জন্য তো আমাদের বসে থাকার দরকার নেই।

সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেন, পরিবেশ রক্ষায় কোনো দ্রুত সমাধান নেই। তবে কিছু কিছু কাজ আমরা শুরু করতে পারি। আপনারা জানেন, নতুন করে কোনো ইটভাটার অনুমতি দিচ্ছি না। জিকজ্যাক ইটভাটাগুলোকে আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি, তারা কম্প্লায়েন্স করছে কিনা সেটা দেখভাল করার কাজ শুরু করেছি।

তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে নোয়াখালীর রামগতিতে একটি এলাকাতেই ৩৬টি ইটভাটা। কি করে তারা ছাড়পত্র পেল, কি করে তারা এতদিন পরিচালিত হলো সেটা পরিবেশ অধিদপ্তরকে জবাব দিতে হবে। সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা কাজ শুরু করেছি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

বায়ুদূষণ রোধের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে এবার গুরুত্ব দিতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০১:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বায়ুদূষণ রোধে নেয়া প্রকল্প নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে জানিয়ে পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এবার সেই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে হবে। এ নিয়ে অধিদফতরের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদফতরে ‘লঞ্চিং সেরিমনি অব ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট অ্যাকশন প্ল্যান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বায়ুদূষণ রোধে নেয়া প্রকল্প নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। দূষণ রোধে নেয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে এবার গুরুত্ব দিতে হবে, যা রোধে একটি কমিটি থাকবে। ওই কমিটি এর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এই এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানের বাস্তবায়ন যদি ৫-৭ বছরের মধ্যে নিশ্চিত করা যায়, তাহলে আমরা ঢাকাকে সবচেয়ে দূষিত বাতাসের নগরীর অপবাদ থেকে বের করে আনতে পারবো এবং জনস্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখতে পারবো।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই প্ল্যানের মাধ্যমে কোন কোন বিষয়গুলো কি মাত্রায় পরিবেশ দূষণ করছে তা আলাদাভাবে মনিটরিং করে আমাকে জানাবেন এবং জনগণকেও জানাবেন।

পরিবেশ দূষণের কারণগুলোর দিকে নজর দিয়ে তিনি আরো বলেন, গ্রাম দেশে গোবর পুড়িয়ে যে গৃহস্থালীর রান্না হয়, সেখান থেকে দূষণ হয়। বাংলাদেশের অনেক নারী এই দূষণের কারণে মারা যায়। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ডিজেল চালিত জেনারেটর, ইটভাটা, সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, স্টিল মিল, যানবাহন, মেডিসিন বর্জ্য থেকে দূষণ হচ্ছে। আমরা এখনো রিফাইনাযরি স্ট্যান্ডার্ড থেকে পিছিয়ে আছি। তুলনামূলক ভালো পরিবেশের জন্য তো আমরা কনস্ট্রাকশন, রোড ডাস্ট, ব্রিকস, সিমেন্ট এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি। এগুলোর জন্য তো আমাদের বসে থাকার দরকার নেই।

সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেন, পরিবেশ রক্ষায় কোনো দ্রুত সমাধান নেই। তবে কিছু কিছু কাজ আমরা শুরু করতে পারি। আপনারা জানেন, নতুন করে কোনো ইটভাটার অনুমতি দিচ্ছি না। জিকজ্যাক ইটভাটাগুলোকে আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি, তারা কম্প্লায়েন্স করছে কিনা সেটা দেখভাল করার কাজ শুরু করেছি।

তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে নোয়াখালীর রামগতিতে একটি এলাকাতেই ৩৬টি ইটভাটা। কি করে তারা ছাড়পত্র পেল, কি করে তারা এতদিন পরিচালিত হলো সেটা পরিবেশ অধিদপ্তরকে জবাব দিতে হবে। সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা কাজ শুরু করেছি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।