Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাফুফের সাধারণ সম্পাদক সোহাগকে নিষিদ্ধ করল ফিফা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩৬:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩
  • ১৯৪ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বাংলাদেশের ফুটবলে বড় ধাক্কা! আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা)। একই সঙ্গে বড় আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে তাকে।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কেন এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে নাইমকে, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছে ফিফা।

ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, বাফুফেতে দেওয়া ফিফার টাকার হিসাবে মিথ্যা তথ্য-ডকুমেন্ট ব্যবহার করায় নাইমকে ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা ও বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শাস্তির ঘোষণা যে হঠা’ই এসেছে, ব্যাপারটা তেমন নয়। এর আগে আর্থিক অনিয়মে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে সশরীরে ফিফার সদরদপ্তর জুরিখে যান আবু নাঈম সোহাগ। তবে নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি তিনি। ফিফা স্বাধীন নৈতিক কমিটির মাধ্যমে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলো তাকে। তিনি ছাড়াও আরও দুই কর্মকর্তাকে এর আগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় ফিফা।

আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ফিফার দেওয়া অর্থ বাফুফের খরচ দেখাতে তিনি ভুল ডকুমেন্ট দেখিয়েছেন। ফিফা শুনানি ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেই এই শাস্তি দিয়েছে বলে তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

ফিফা জানিয়েছে, প্রযোজ্য কর্মধারায় তদন্তকারী চেম্বারে পরিচালিত তদন্তের সময় সংগৃহীত প্রমাণগুলো ছাড়াও বিচারক চেম্বার সন্তুষ্ট ছিলেন। শুনানি পরিচালনা শেষে তার উপস্থাপিত প্রমাণগুলো যত্নসহকারে বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা যায়, তিনি ফিফার অনুচ্ছেদ-১৩ লঙ্ঘন করেছেন। এ ছাড়াও ফিফার কোড অফ এথিকস ২০২০ সংস্করণের সাধারণ কর্তব্য-১৫ (আনুগত্যের দায়িত্ব) এবং অনুচ্ছেদ-২৪ অনুযায়ী জালিয়াতি এবং মিথ্যাচার করেছেন। অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বাফুফে ও এএফসিতে।

২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পরবর্তী বছর (২০০৯) থেকে পেশাদার সাধারণ সম্পাদক দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে সংস্থাটি। আল মুসাব্বির সাদী পামেলের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আবু নাইম সোহাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কয়েক বছর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে পরিচালনার পর ২০১৩ সাল থেকে তিনি সাধারণ সম্পাদকের পূর্ণ দায়িত্ব পান। বেতনভুক্ত সাধারণ সম্পাদক হলেও সোহাগ ফেডারেশনের নীতি নির্ধারণ, বাস্তবায়নসহ সকল কিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন।

এএফসি ও বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ফিফার মিডিয়া রিলিজ দেখেছি। সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ দুই বছরের জন্য সাসপেন্ড হয়েছেন। এই শাস্তির বিপক্ষে হয়তো আপিলের সুযোগ রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

বাফুফের সাধারণ সম্পাদক সোহাগকে নিষিদ্ধ করল ফিফা

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৬:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বাংলাদেশের ফুটবলে বড় ধাক্কা! আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা)। একই সঙ্গে বড় আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে তাকে।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কেন এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে নাইমকে, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছে ফিফা।

ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, বাফুফেতে দেওয়া ফিফার টাকার হিসাবে মিথ্যা তথ্য-ডকুমেন্ট ব্যবহার করায় নাইমকে ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা ও বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শাস্তির ঘোষণা যে হঠা’ই এসেছে, ব্যাপারটা তেমন নয়। এর আগে আর্থিক অনিয়মে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে সশরীরে ফিফার সদরদপ্তর জুরিখে যান আবু নাঈম সোহাগ। তবে নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি তিনি। ফিফা স্বাধীন নৈতিক কমিটির মাধ্যমে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলো তাকে। তিনি ছাড়াও আরও দুই কর্মকর্তাকে এর আগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় ফিফা।

আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ফিফার দেওয়া অর্থ বাফুফের খরচ দেখাতে তিনি ভুল ডকুমেন্ট দেখিয়েছেন। ফিফা শুনানি ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেই এই শাস্তি দিয়েছে বলে তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

ফিফা জানিয়েছে, প্রযোজ্য কর্মধারায় তদন্তকারী চেম্বারে পরিচালিত তদন্তের সময় সংগৃহীত প্রমাণগুলো ছাড়াও বিচারক চেম্বার সন্তুষ্ট ছিলেন। শুনানি পরিচালনা শেষে তার উপস্থাপিত প্রমাণগুলো যত্নসহকারে বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা যায়, তিনি ফিফার অনুচ্ছেদ-১৩ লঙ্ঘন করেছেন। এ ছাড়াও ফিফার কোড অফ এথিকস ২০২০ সংস্করণের সাধারণ কর্তব্য-১৫ (আনুগত্যের দায়িত্ব) এবং অনুচ্ছেদ-২৪ অনুযায়ী জালিয়াতি এবং মিথ্যাচার করেছেন। অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বাফুফে ও এএফসিতে।

২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পরবর্তী বছর (২০০৯) থেকে পেশাদার সাধারণ সম্পাদক দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে সংস্থাটি। আল মুসাব্বির সাদী পামেলের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আবু নাইম সোহাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কয়েক বছর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে পরিচালনার পর ২০১৩ সাল থেকে তিনি সাধারণ সম্পাদকের পূর্ণ দায়িত্ব পান। বেতনভুক্ত সাধারণ সম্পাদক হলেও সোহাগ ফেডারেশনের নীতি নির্ধারণ, বাস্তবায়নসহ সকল কিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন।

এএফসি ও বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ফিফার মিডিয়া রিলিজ দেখেছি। সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ দুই বছরের জন্য সাসপেন্ড হয়েছেন। এই শাস্তির বিপক্ষে হয়তো আপিলের সুযোগ রয়েছে।