Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জ্বালানি তেলের দাম কমলেও দেশে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৩৫ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৪৫৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন দাম বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) নতুন এ দর ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।

সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ৪২১ টাকা। তার আগের মাসে ছিল ১ হাজার ৩৭৭ টাকা।

ঘোষণায় বলা হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১২১ টাকা ৩২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৭ টাকায় ৪৯ পয়সায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অটোগ্যাসের মূল্য প্রতি লিটার নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬ টাকা ৮৪ পয়সা। এখন প্রতি মাসে এলপি গ্যাসের দাম বাজার অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এ দাম নির্ধারণ করে।

এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ভোক্তা পর্যায়ে সেপ্টেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম আগস্ট মাসের তুলনায় ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর গত আগস্ট ও জুলাইয়ে বাড়ানো হয়েছিল যথাক্রমে ১১ টাকা ও ৩ টাকা। সেসময় ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয় যথাক্রমে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা ও ১ হাজার ৩৬৬ টাকা।

২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। ১২ এপ্রিল বিইআরসি কর্তৃক দর ঘোষণার সময় বলা হয় আমদানি নির্ভর এই জ্বালানি সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি মূল্য ধরা হবে।

সৌদির দর ওঠা-ওঠা-নামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠানামা করবে। অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। টানা ৩ মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বাংলাদেশেও দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।

তবে বিইআরসির ঘোষিত দরে বাজারে পাওয়া নিয়ে অভিযোগ রয়েছে ভোক্তাদের। তাদের অভিযোগ হচ্ছে বাজারে নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা ইচ্ছামত দর আদায় করছেন। কমক্ষেত্রেই শাস্তির আওতায় আনার খবর আসছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৫ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। গত বছরের জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম বেড়েছিল ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম

প্রকাশের সময় : ০৪:১১:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জ্বালানি তেলের দাম কমলেও দেশে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৩৫ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৪৫৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন দাম বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) নতুন এ দর ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।

সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ৪২১ টাকা। তার আগের মাসে ছিল ১ হাজার ৩৭৭ টাকা।

ঘোষণায় বলা হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১২১ টাকা ৩২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৭ টাকায় ৪৯ পয়সায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অটোগ্যাসের মূল্য প্রতি লিটার নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬ টাকা ৮৪ পয়সা। এখন প্রতি মাসে এলপি গ্যাসের দাম বাজার অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এ দাম নির্ধারণ করে।

এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ভোক্তা পর্যায়ে সেপ্টেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম আগস্ট মাসের তুলনায় ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর গত আগস্ট ও জুলাইয়ে বাড়ানো হয়েছিল যথাক্রমে ১১ টাকা ও ৩ টাকা। সেসময় ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয় যথাক্রমে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা ও ১ হাজার ৩৬৬ টাকা।

২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। ১২ এপ্রিল বিইআরসি কর্তৃক দর ঘোষণার সময় বলা হয় আমদানি নির্ভর এই জ্বালানি সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি মূল্য ধরা হবে।

সৌদির দর ওঠা-ওঠা-নামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠানামা করবে। অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। টানা ৩ মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বাংলাদেশেও দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।

তবে বিইআরসির ঘোষিত দরে বাজারে পাওয়া নিয়ে অভিযোগ রয়েছে ভোক্তাদের। তাদের অভিযোগ হচ্ছে বাজারে নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা ইচ্ছামত দর আদায় করছেন। কমক্ষেত্রেই শাস্তির আওতায় আনার খবর আসছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৫ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। গত বছরের জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম বেড়েছিল ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।