Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাজারে চরম অস্বস্তিতে সাধারণ ক্রেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

তেল-চিনি, আটা-ময়দার দাম বেশি। মাছ ও ডিম-দুধের দামও বছরের যে কোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ। এরমধ্যে আবার লাগাম ছিঁড়ে গেছে কাঁচা মরিচ, আদা ও টমেটোর দামের সব মিলিয়ে বাজারে চরম অস্বস্তিতে সাধারণ ক্রেতারা। বিশেষ করে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষরা সংসারের প্রয়োজনীয় চাহিদা ঠিকমতো পূরণ করতে পারছেন না। অনেককেই বাজার থেকে ফিরতে হচ্ছে ব্যাগের তলানিতে কিছু পণ্য নিয়ে।

শুক্রবার (৭ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাছ-মাংস, শাক-সবজিসহ সবকিছুর দামই বাড়তি। ঈদ শেষে গ্রাম থেকে ফিরে অনেকেই এসেছেন বাজারে, যাদের অধিকাংশই অস্বস্তির কথা বলেছেন।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুন, টমেটোসহ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা ও পটোল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলা হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঈদের বাজারে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। ঈদের আগের দিনও ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচের দাম ৬০০ টাকা ছাড়িয়েছিল। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানের পর একদিনের জন্য সে দাম করেছিল। মরিচের দাম নেমে এসেছিল ৩০০ টাকায়। এখন আবার সেই কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে।

বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা, আদার কেজি ৩৬০ টাকা, রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৮০ টাকা দরে।

কাঁচা মরিচ বিক্রেতা ফারুক বলেন, পাইকারি বাজারে আমরা অতিরিক্ত দামে মরিচ কিনে এনেছি। ৩২০ টাকায় মরিচ কিনতে হলে ভাড়া এবং সব খরচ মিলে ৩৫০ টাকায় বিক্রি তো হবেই। কখনও কখনও লোকসান হলেও আমরা ৩০০ টাকায় মরিচ বিক্রি করছি। দাম বাড়লে আমাদের সাথে কথা বলে লাভ নেই। আড়ৎদারদের সিন্ডিকেটেই সব হয়।

পেঁয়াজ বিক্রেতা আলী নুর মিয়া বলেন, পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়তি। খোলা বাজারে এমন হবেই। দাম বাড়বে-কমবে। তবে পেঁয়াজের দাম কিছুদিন ধরেই বেশি চলছে। বেশি দামে পেঁয়াজ কিনলে বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়। আমাদের কিছুই করার নেই।

ঈদের পর মাছের চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে দামও। পোয়া ৪০০ টাকা কেজি, তুলার ডানডি ৪৫০ টাকা, চিংড়ি গুড়া ও বড় ৮০০ টাকা কেজি, সুরমা মাছের কেজি ২৬০ টাকা কেজি, ৩৫০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা কেজি দরে। ট্যাংরা মাছ ৫০০ টাকা কেজি। মৃগেল মাছের কেজি ২৪০ টাকা। পাঙ্গাসের কেজি ১৮০ টাকা। বাতাসি মাছের কেজি ২৮০ টাকা। প্রতি কেজি রুই-কাতলা মাছ ৩৩০-৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ও সিলভার কার্প ২২০-২৫০ টাকা।

এদিকে গরু, খাসির মাংস ও মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে ডিমের। গরুর মাংস ৮০০ টাকা, খাসি ১২০০ টাকা, ব্রয়লার ২০০-২২৫ টাকা, সোনালি মুরগি ৩২০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ফার্মের মুরগির লাল ডিম ১৪৫ টাকা ডজন, কিছুটা আকারে ছোট ডিম ১৪০ টাকা ডজন। গত সপ্তাহে সাইজভেদে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে ডিম। এছাড়া গত সপ্তাহে ফার্মের সাদা ডিম ১২৫ টাকা ডজন বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৪০ টাকা ডজন বিক্রি করা হচ্ছে।

এদিকে মুদি বাজারে নতুন করে কোনো পণ্যের দাম না বাড়লেও তেল-চিনি, আটা-ময়দার দাম আগে থেকে বেড়ে রয়েছে। প্রতি কেজি বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার দরে। খোলা চিনির কেজি ১৩৫-১৪০ টাকা। প্যাকেটজাত আটা ৬৮ টাকা এবং ময়দা ৭৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও ব্র্যান্ডভেদে আটা-ময়দার দামের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেলায়েত হোসেন। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের বেলায়েত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সকাল সকালে বাজারে এসে নিত্যপণ্যের চড়া দাম দেখে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ তিনি।

বেলায়েত বলেন, জিনিসপত্রের দাম দেখেন! প্রতিদিন কোনো না কোনো জিনিসের দাম বেড়েই যাচ্ছে। আমাদের আয় কয় টাকা বাড়ছে? বাজারে ঢুকলে টেনসনে প্রেসার বেড়ে যায়।

নিত্যপণ্যের দামে বেলায়েতের মতো দুশ্চিন্তা বেড়েছে আরও অনেক ক্রেতার।

বাজার করতে আসা বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আলী আজম বলেন, সবকিছুতেই অতিরিক্ত দাম। বাজার করতে আসার আগে যে পরিকল্পনা থাকে বাজারে এসে তা ভেস্তে যায়। লিস্ট লম্বা থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় অনেক হিসাব করে পরিমাণে কম নিয়ে বাজার করতে হচ্ছে। প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়তি। সরকার বোতলজাত গ্যাসের দাম কমালেও আমি গতকাল ১২০০ টাকাতে কিনেছি। এই কাঁচা বাজারেও একই অবস্থা। ৩৫০ টাকা এখনো মরিচের দাম। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়।

ফয়সাল আহমেদ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারে এলেই ঘাম ছুটে যায়। সবকিছু কিনতে পারি না। সব জিনিসের অতিরিক্ত দাম। সবকিছুর দাম বাড়লেও আমার বেতন তো বাড়েনি। মাংসের যে দাম তাতে আমার মতো মানুষের মাংস খাওয়া এখন বিলাসিতা। কিছুই বলার নেই। দাম বাড়ে আর আমরা কিনে খাই। এভাবেই চলছে। কিছুই ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিমানের ফ্লাইটে ফের ত্রুটি, শারজাহ না গিয়ে ফিরে এলো ঢাকায়

বাজারে চরম অস্বস্তিতে সাধারণ ক্রেতারা

প্রকাশের সময় : ০২:৪০:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

তেল-চিনি, আটা-ময়দার দাম বেশি। মাছ ও ডিম-দুধের দামও বছরের যে কোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ। এরমধ্যে আবার লাগাম ছিঁড়ে গেছে কাঁচা মরিচ, আদা ও টমেটোর দামের সব মিলিয়ে বাজারে চরম অস্বস্তিতে সাধারণ ক্রেতারা। বিশেষ করে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষরা সংসারের প্রয়োজনীয় চাহিদা ঠিকমতো পূরণ করতে পারছেন না। অনেককেই বাজার থেকে ফিরতে হচ্ছে ব্যাগের তলানিতে কিছু পণ্য নিয়ে।

শুক্রবার (৭ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাছ-মাংস, শাক-সবজিসহ সবকিছুর দামই বাড়তি। ঈদ শেষে গ্রাম থেকে ফিরে অনেকেই এসেছেন বাজারে, যাদের অধিকাংশই অস্বস্তির কথা বলেছেন।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুন, টমেটোসহ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ধুন্দুল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা ও পটোল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলা হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঈদের বাজারে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। ঈদের আগের দিনও ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচের দাম ৬০০ টাকা ছাড়িয়েছিল। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানের পর একদিনের জন্য সে দাম করেছিল। মরিচের দাম নেমে এসেছিল ৩০০ টাকায়। এখন আবার সেই কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে।

বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা, আদার কেজি ৩৬০ টাকা, রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৮০ টাকা দরে।

কাঁচা মরিচ বিক্রেতা ফারুক বলেন, পাইকারি বাজারে আমরা অতিরিক্ত দামে মরিচ কিনে এনেছি। ৩২০ টাকায় মরিচ কিনতে হলে ভাড়া এবং সব খরচ মিলে ৩৫০ টাকায় বিক্রি তো হবেই। কখনও কখনও লোকসান হলেও আমরা ৩০০ টাকায় মরিচ বিক্রি করছি। দাম বাড়লে আমাদের সাথে কথা বলে লাভ নেই। আড়ৎদারদের সিন্ডিকেটেই সব হয়।

পেঁয়াজ বিক্রেতা আলী নুর মিয়া বলেন, পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়তি। খোলা বাজারে এমন হবেই। দাম বাড়বে-কমবে। তবে পেঁয়াজের দাম কিছুদিন ধরেই বেশি চলছে। বেশি দামে পেঁয়াজ কিনলে বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়। আমাদের কিছুই করার নেই।

ঈদের পর মাছের চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে দামও। পোয়া ৪০০ টাকা কেজি, তুলার ডানডি ৪৫০ টাকা, চিংড়ি গুড়া ও বড় ৮০০ টাকা কেজি, সুরমা মাছের কেজি ২৬০ টাকা কেজি, ৩৫০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা কেজি দরে। ট্যাংরা মাছ ৫০০ টাকা কেজি। মৃগেল মাছের কেজি ২৪০ টাকা। পাঙ্গাসের কেজি ১৮০ টাকা। বাতাসি মাছের কেজি ২৮০ টাকা। প্রতি কেজি রুই-কাতলা মাছ ৩৩০-৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ও সিলভার কার্প ২২০-২৫০ টাকা।

এদিকে গরু, খাসির মাংস ও মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে ডিমের। গরুর মাংস ৮০০ টাকা, খাসি ১২০০ টাকা, ব্রয়লার ২০০-২২৫ টাকা, সোনালি মুরগি ৩২০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ফার্মের মুরগির লাল ডিম ১৪৫ টাকা ডজন, কিছুটা আকারে ছোট ডিম ১৪০ টাকা ডজন। গত সপ্তাহে সাইজভেদে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে ডিম। এছাড়া গত সপ্তাহে ফার্মের সাদা ডিম ১২৫ টাকা ডজন বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৪০ টাকা ডজন বিক্রি করা হচ্ছে।

এদিকে মুদি বাজারে নতুন করে কোনো পণ্যের দাম না বাড়লেও তেল-চিনি, আটা-ময়দার দাম আগে থেকে বেড়ে রয়েছে। প্রতি কেজি বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার দরে। খোলা চিনির কেজি ১৩৫-১৪০ টাকা। প্যাকেটজাত আটা ৬৮ টাকা এবং ময়দা ৭৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও ব্র্যান্ডভেদে আটা-ময়দার দামের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেলায়েত হোসেন। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের বেলায়েত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সকাল সকালে বাজারে এসে নিত্যপণ্যের চড়া দাম দেখে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ তিনি।

বেলায়েত বলেন, জিনিসপত্রের দাম দেখেন! প্রতিদিন কোনো না কোনো জিনিসের দাম বেড়েই যাচ্ছে। আমাদের আয় কয় টাকা বাড়ছে? বাজারে ঢুকলে টেনসনে প্রেসার বেড়ে যায়।

নিত্যপণ্যের দামে বেলায়েতের মতো দুশ্চিন্তা বেড়েছে আরও অনেক ক্রেতার।

বাজার করতে আসা বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আলী আজম বলেন, সবকিছুতেই অতিরিক্ত দাম। বাজার করতে আসার আগে যে পরিকল্পনা থাকে বাজারে এসে তা ভেস্তে যায়। লিস্ট লম্বা থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় অনেক হিসাব করে পরিমাণে কম নিয়ে বাজার করতে হচ্ছে। প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়তি। সরকার বোতলজাত গ্যাসের দাম কমালেও আমি গতকাল ১২০০ টাকাতে কিনেছি। এই কাঁচা বাজারেও একই অবস্থা। ৩৫০ টাকা এখনো মরিচের দাম। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়।

ফয়সাল আহমেদ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারে এলেই ঘাম ছুটে যায়। সবকিছু কিনতে পারি না। সব জিনিসের অতিরিক্ত দাম। সবকিছুর দাম বাড়লেও আমার বেতন তো বাড়েনি। মাংসের যে দাম তাতে আমার মতো মানুষের মাংস খাওয়া এখন বিলাসিতা। কিছুই বলার নেই। দাম বাড়ে আর আমরা কিনে খাই। এভাবেই চলছে। কিছুই ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই।