Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে বিকল্প কৃষিবাজার তৈরির উদ্যোগ নেবে সরকার : শ্রম উপদেষ্টা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১২:০৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৯৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া সজীব বলেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে বিকল্প কৃষিবাজার তৈরির উদ্যোগ নেবে সরকার। লোক দেখানো কর্মসূচি নয়, সিন্ডিকেট ভাঙতে কাজ করা হবে দীর্ঘমেয়াদে। প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি এই বাজার থাকবে এবং সেখানে কৃষকেরা সরাসরি তাদের পণ্য বিক্রি করবে। এতে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর বেগুনবাড়ি (দীপিকার মোড়) এলাকায় ঢাকা শহরের ৫০টি স্থানে। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে দাম বৃদ্ধি পায়। এ কারণে দীর্ঘ মেয়াদে সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা সম্ভাব্য সব উপায়ে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি। বড় শহর থেকে স্থানীয় পর্যায়ে পর্যন্ত সরকারের টাস্কফোর্স কাজ করে যাচ্ছে। উৎপাদক বা কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত মধ্যসস্বত্বভোগীদের কমিয়ে আনা জরুরি। এ ক্ষেত্রে যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উদ্যোক্তা থেকে গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছানোর সামাজিক ব্যবসা করছে, তারাও আমাদের থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা পাবেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, বন্যাসহ আরও কিছু কারণে দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চলছে। সিন্ডিকেট কিংবা ফরিয়াদের মজুতসহ কারসাজির কারণে বাজারে দ্রব্যমূল্য ও জনদুর্ভোগ বাড়ে। এর বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে থাকবে।

কৃষক থেকে গ্রাহক পর্যায়ে পণ্য পৌঁছানোর কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা এটি করবে তাদেরকে সহায়তা করবে সরকার। বিকল্প কৃষিবাজার চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। যাতে কৃষক সরাসরি পণ্য বেচতে পারে।

টাস্কফোর্স সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য ইতোমধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কাজ শুরু করেছে বলেও জানান শ্রম উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, বেসরকারিভাবে কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য পৌঁছে দেয়ার যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে তা আরও ছড়িয়ে দিতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

এসময় বাণিজ্যসচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন বলেন, কেউ অতি মুনাফার উদ্দেশে দাম বাড়ালে, কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবে। এ জন্য সরকার আমদানি, উৎপাদন, পাইকারি কিংবা খুচরা- সব পর্যায়ে নজর রাখছে।

দেশে বর্তমানে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের উচ্চ দামের কারণে কষ্টে আছেন সাধারণ মানুষ জানিয়ে তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে তাদের স্বস্তি দিতে সরকার খোলাবাজারে কৃষি পণ্যবিক্রিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সাধারণ ভোক্তাদের জন্য টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে (ট্রাকে করে) পণ্য বিক্রির নতুন উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে।

দেশে এক কোটি পরিবার কার্ডধারীর মধ্যে প্রতি মাসে কয়েকটি পণ্য বিক্রি করে আসছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এর পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের কাছে ট্রাকে করে ভর্তুকি মূল্যে তেল, ডাল ও চাল বিক্রি শুরু করেছে সংস্থাটি। এর ফলে পরিবার কার্ড না থাকলেও টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কেনার সুযোগ পাবেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

আজ থেকে ঢাকা মহানগরের ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরের ২০টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে এ বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে টিসিবি।

এদিকে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের পাশাপাশি আজ থেকে কার্ড ছাড়া ব্যক্তিরাও খোলা ট্রাক থেকে টিসিবির পণ্য কিনতে পারবেন বলে জানানো হয়। বুধবার (২৩ অক্টোবর) ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এখন থেকে তারা ছাড়াও সাধারণ ভোক্তার কাছে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য তেল, ডাল ও চাল বিক্রয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব পণ্য ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০টি ট্রাকে করে বিক্রি করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, টিসিবির নির্ধারিত পয়েন্টে ট্রাকের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে ন্যায্যমূল্যের পণ্য (৪৭০ টাকা দিয়ে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন) নিতে পারবেন ভোক্তারা।

২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এই কার্যক্রম চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে না এলে পরবর্তী সময়ে কার্যক্রম বাড়ানো হতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নগদে নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজতে সপ্তাহ খানেকের মধ্য বিজ্ঞপ্তি : গভর্নর

বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে বিকল্প কৃষিবাজার তৈরির উদ্যোগ নেবে সরকার : শ্রম উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ১২:০৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া সজীব বলেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে বিকল্প কৃষিবাজার তৈরির উদ্যোগ নেবে সরকার। লোক দেখানো কর্মসূচি নয়, সিন্ডিকেট ভাঙতে কাজ করা হবে দীর্ঘমেয়াদে। প্রচলিত বাজারের পাশাপাশি এই বাজার থাকবে এবং সেখানে কৃষকেরা সরাসরি তাদের পণ্য বিক্রি করবে। এতে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর বেগুনবাড়ি (দীপিকার মোড়) এলাকায় ঢাকা শহরের ৫০টি স্থানে। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে দাম বৃদ্ধি পায়। এ কারণে দীর্ঘ মেয়াদে সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা সম্ভাব্য সব উপায়ে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি। বড় শহর থেকে স্থানীয় পর্যায়ে পর্যন্ত সরকারের টাস্কফোর্স কাজ করে যাচ্ছে। উৎপাদক বা কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত মধ্যসস্বত্বভোগীদের কমিয়ে আনা জরুরি। এ ক্ষেত্রে যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উদ্যোক্তা থেকে গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছানোর সামাজিক ব্যবসা করছে, তারাও আমাদের থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা পাবেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, বন্যাসহ আরও কিছু কারণে দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চলছে। সিন্ডিকেট কিংবা ফরিয়াদের মজুতসহ কারসাজির কারণে বাজারে দ্রব্যমূল্য ও জনদুর্ভোগ বাড়ে। এর বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে থাকবে।

কৃষক থেকে গ্রাহক পর্যায়ে পণ্য পৌঁছানোর কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা এটি করবে তাদেরকে সহায়তা করবে সরকার। বিকল্প কৃষিবাজার চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। যাতে কৃষক সরাসরি পণ্য বেচতে পারে।

টাস্কফোর্স সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য ইতোমধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কাজ শুরু করেছে বলেও জানান শ্রম উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, বেসরকারিভাবে কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য পৌঁছে দেয়ার যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে তা আরও ছড়িয়ে দিতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

এসময় বাণিজ্যসচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন বলেন, কেউ অতি মুনাফার উদ্দেশে দাম বাড়ালে, কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবে। এ জন্য সরকার আমদানি, উৎপাদন, পাইকারি কিংবা খুচরা- সব পর্যায়ে নজর রাখছে।

দেশে বর্তমানে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের উচ্চ দামের কারণে কষ্টে আছেন সাধারণ মানুষ জানিয়ে তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে তাদের স্বস্তি দিতে সরকার খোলাবাজারে কৃষি পণ্যবিক্রিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সাধারণ ভোক্তাদের জন্য টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে (ট্রাকে করে) পণ্য বিক্রির নতুন উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে।

দেশে এক কোটি পরিবার কার্ডধারীর মধ্যে প্রতি মাসে কয়েকটি পণ্য বিক্রি করে আসছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এর পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের কাছে ট্রাকে করে ভর্তুকি মূল্যে তেল, ডাল ও চাল বিক্রি শুরু করেছে সংস্থাটি। এর ফলে পরিবার কার্ড না থাকলেও টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কেনার সুযোগ পাবেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

আজ থেকে ঢাকা মহানগরের ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরের ২০টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে এ বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে টিসিবি।

এদিকে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের পাশাপাশি আজ থেকে কার্ড ছাড়া ব্যক্তিরাও খোলা ট্রাক থেকে টিসিবির পণ্য কিনতে পারবেন বলে জানানো হয়। বুধবার (২৩ অক্টোবর) ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এখন থেকে তারা ছাড়াও সাধারণ ভোক্তার কাছে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য তেল, ডাল ও চাল বিক্রয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব পণ্য ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০টি ট্রাকে করে বিক্রি করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, টিসিবির নির্ধারিত পয়েন্টে ট্রাকের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে ন্যায্যমূল্যের পণ্য (৪৭০ টাকা দিয়ে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন) নিতে পারবেন ভোক্তারা।

২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এই কার্যক্রম চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে না এলে পরবর্তী সময়ে কার্যক্রম বাড়ানো হতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।