Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে নির্মাণের দুই মাসের মধ্যেই সড়কে ভাঙন, উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং

বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি : 

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ফতেপুর বাজার থেকে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত এলজিইডির সড়কের এক কিলোমিটার পুনর্র্নিমাণ কাজ শেষ হয় দুই মাস আগে। এরমধ্যে ৭টি স্থানে সড়ক ভেঙে গেছে। হাতের চাপে সহজেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং ও পর্যাপ্ত প্যারাসাইলিং না থাকায় সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে।

সরেজমিনে যেয়ে দেখা গেছে, নতুন নির্মিত এক কিলোমিটার সড়কের সাতটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ ভাঙনই হয়েছে সড়কের পাশে থাকা পুকুরগুলোর পাড় থেকে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং।

স্থানীয়রা জানান, বহুদিন ধরে এই ভাঙা সড়কের কারণে চরম ভোগান্তিতে ছিলেন তারা। নির্মাণকাজ শুরুর সময় সবাই আশাবাদী ছিলেন, এবার দুর্ভোগের অবসান হবে। কিন্তু কাজ শেষের দুই মাসের মধ্যে ভাঙ্গনের এই চিত্রে তারা হতাশ।

চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ নওশের শেখ বলেন, সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া ও বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা বারবার আপত্তি জানালেও ঠিকাদার আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। উল্টো পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ভয় দেখিয়ে আমাদের চুপ করানো হয়েছে। হাতের চাপে সহজেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং।

একই গ্রামের বাসিন্দা জসিম মিনা বলেন, সড়কের দুই পাশে থাকা পুকুরের পাড়ে মাত্র তিনটি স্থানে প্যারাসাইলিং দেওয়া হয়েছে। বাকি অংশে কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় ৭টি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের কাজ শুরু হওয়ায় আমরা ভেবেছিলাম দুর্ভোগ কমবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, সমস্যার কোনো সমাধান হবে না।

বাগেরহাট এলজিইডি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরীফুজ্জামান জানান, কচুয়া উপজেলার ফতেপুর বাজার থেকে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত চন্দ্রপাড়া গ্রামের এক কিলোমিটার সড়কের পুনর্র্নিমাণ ও প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয় এবছরের ৩ ফেব্রুয়ারি। ৯০ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তুবা এন্টারপ্রাইজ কাজ শেষ করেছে ১৫ এপ্রিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি পিরিয়ড এখনো রয়েছে। সড়কের যেসব জায়গা ভেঙেছে, সেসব স্থানে ঠিকাদারকে পুনরায় সংস্কার করে দিতে হবে। তা না হলে তাদের জামানতের অর্থ দিয়েই কাজ করানো হবে।

 

আবহাওয়া

ডিসেম্বরে বিয়ে করছেন মধুমিতা

বাগেরহাটে নির্মাণের দুই মাসের মধ্যেই সড়কে ভাঙন, উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং

প্রকাশের সময় : ০৪:৪২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি : 

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ফতেপুর বাজার থেকে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত এলজিইডির সড়কের এক কিলোমিটার পুনর্র্নিমাণ কাজ শেষ হয় দুই মাস আগে। এরমধ্যে ৭টি স্থানে সড়ক ভেঙে গেছে। হাতের চাপে সহজেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং ও পর্যাপ্ত প্যারাসাইলিং না থাকায় সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে।

সরেজমিনে যেয়ে দেখা গেছে, নতুন নির্মিত এক কিলোমিটার সড়কের সাতটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ ভাঙনই হয়েছে সড়কের পাশে থাকা পুকুরগুলোর পাড় থেকে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং।

স্থানীয়রা জানান, বহুদিন ধরে এই ভাঙা সড়কের কারণে চরম ভোগান্তিতে ছিলেন তারা। নির্মাণকাজ শুরুর সময় সবাই আশাবাদী ছিলেন, এবার দুর্ভোগের অবসান হবে। কিন্তু কাজ শেষের দুই মাসের মধ্যে ভাঙ্গনের এই চিত্রে তারা হতাশ।

চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ নওশের শেখ বলেন, সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া ও বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা বারবার আপত্তি জানালেও ঠিকাদার আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। উল্টো পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ভয় দেখিয়ে আমাদের চুপ করানো হয়েছে। হাতের চাপে সহজেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং।

একই গ্রামের বাসিন্দা জসিম মিনা বলেন, সড়কের দুই পাশে থাকা পুকুরের পাড়ে মাত্র তিনটি স্থানে প্যারাসাইলিং দেওয়া হয়েছে। বাকি অংশে কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় ৭টি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের কাজ শুরু হওয়ায় আমরা ভেবেছিলাম দুর্ভোগ কমবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, সমস্যার কোনো সমাধান হবে না।

বাগেরহাট এলজিইডি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরীফুজ্জামান জানান, কচুয়া উপজেলার ফতেপুর বাজার থেকে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত চন্দ্রপাড়া গ্রামের এক কিলোমিটার সড়কের পুনর্র্নিমাণ ও প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয় এবছরের ৩ ফেব্রুয়ারি। ৯০ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তুবা এন্টারপ্রাইজ কাজ শেষ করেছে ১৫ এপ্রিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি পিরিয়ড এখনো রয়েছে। সড়কের যেসব জায়গা ভেঙেছে, সেসব স্থানে ঠিকাদারকে পুনরায় সংস্কার করে দিতে হবে। তা না হলে তাদের জামানতের অর্থ দিয়েই কাজ করানো হবে।