Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাগাতিপাড়ায় ব্রিজের স্প্যান থেকে পাইল বিচ্ছিন্ন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা ব্রিজের স্প্যান থেকে ১২টি পাইলের মধ্যে একটি পাইল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ব্রিজটি। এছাড়া পাইলের পাশের মাটি সরে গেছে, খসে পড়ছে ঢালাই। এতে করে ভারি যানবাহন চলাচলের সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় দুর্ঘটনারোধে দ্রুত সংস্কারসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনসহ স্থানীয়রা।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০০৪-০৫ অর্থ বছরে ৬৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বড়াল নদরে উপর ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তানভীর এন্টারপ্রাইজ ব্রীজ নির্মাণ কাজের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। ব্রীজটিতে মোট ৪টি স্প্যানের মধ্যে অন্যগুলো ঠিক থাকলেও মাঝের একটি স্প্যানের ১২টি পাইল ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্প্যানের সঙ্গে সংযুক্ত ১২টি পাইলের একটি পাইল ডেবে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

তমালতলা-সাদিমারা মোড় পর্যন্ত সড়কটি সম্প্রতি সংস্কার করায় এবং মালঞ্চি-আড়ানীর প্রধান সড়কের গালিমপুর বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভারি যানবাহনগুলো পারাপারে এই ব্রিজ বেশি ব্যবহার করা হয়। রবিবার সরেজমিনে গিয়ে এসব দৃশ্য চোখে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, ব্রিজ এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি কেটে নেওয়ায় ব্রিজটির পাইল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় দ্রুত ব্রিজটি মেরামত করা প্রয়োজন বলেও জানান তারা।

ফরহাদ হোসেন নামের এক ট্রাক চালক জানান, ভারি যানবাহন চলাচলের সময় ওই স্থানে ব্রিজটি অনেকটা দোল খায়। ফলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

‘নিরাপদ সড়ক চাই’র বাগাতিপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি আরিফুল ইসলাম তপু জানান, তমালতলা ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এলজিইডির বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। সংস্কারের লক্ষ্যে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিজের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হতে পারে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বড়াল নদে পানি থাকার কারণে এতদিন বিষয়টি দৃশ্যমান হয়নি। পানি কমে যাওয়ায় বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। স্থানীয়রা না জেনে সেখানে মাছ চাষ করায় পাইলের স্থান থেকে মাটি সরে গেছে। আমরা তাদেরকে সতর্ক করার চেষ্টা করছি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকান দখল দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি

বাগাতিপাড়ায় ব্রিজের স্প্যান থেকে পাইল বিচ্ছিন্ন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা ব্রিজের স্প্যান থেকে ১২টি পাইলের মধ্যে একটি পাইল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ব্রিজটি। এছাড়া পাইলের পাশের মাটি সরে গেছে, খসে পড়ছে ঢালাই। এতে করে ভারি যানবাহন চলাচলের সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় দুর্ঘটনারোধে দ্রুত সংস্কারসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনসহ স্থানীয়রা।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০০৪-০৫ অর্থ বছরে ৬৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বড়াল নদরে উপর ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তানভীর এন্টারপ্রাইজ ব্রীজ নির্মাণ কাজের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। ব্রীজটিতে মোট ৪টি স্প্যানের মধ্যে অন্যগুলো ঠিক থাকলেও মাঝের একটি স্প্যানের ১২টি পাইল ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্প্যানের সঙ্গে সংযুক্ত ১২টি পাইলের একটি পাইল ডেবে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

তমালতলা-সাদিমারা মোড় পর্যন্ত সড়কটি সম্প্রতি সংস্কার করায় এবং মালঞ্চি-আড়ানীর প্রধান সড়কের গালিমপুর বেইলি ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভারি যানবাহনগুলো পারাপারে এই ব্রিজ বেশি ব্যবহার করা হয়। রবিবার সরেজমিনে গিয়ে এসব দৃশ্য চোখে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, ব্রিজ এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি কেটে নেওয়ায় ব্রিজটির পাইল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় দ্রুত ব্রিজটি মেরামত করা প্রয়োজন বলেও জানান তারা।

ফরহাদ হোসেন নামের এক ট্রাক চালক জানান, ভারি যানবাহন চলাচলের সময় ওই স্থানে ব্রিজটি অনেকটা দোল খায়। ফলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

‘নিরাপদ সড়ক চাই’র বাগাতিপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি আরিফুল ইসলাম তপু জানান, তমালতলা ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এলজিইডির বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। সংস্কারের লক্ষ্যে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিজের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হতে পারে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বড়াল নদে পানি থাকার কারণে এতদিন বিষয়টি দৃশ্যমান হয়নি। পানি কমে যাওয়ায় বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। স্থানীয়রা না জেনে সেখানে মাছ চাষ করায় পাইলের স্থান থেকে মাটি সরে গেছে। আমরা তাদেরকে সতর্ক করার চেষ্টা করছি।