Dhaka শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাউফলে ৫ বছরেও শেষ হয়নি ৩ কি.মি. রাস্তার নির্মাণকাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা-কনকদিয়া-কাছিপাড়া সড়কের বৌলতলী বাজারে ব্রিজ থেকে ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি নির্মাণের কাজ দীর্ঘ ৫ বছরেও শেষ হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এই রাস্তা ও কালভার্ট নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোহিনুর অ্যান্ড রুটস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। রাস্তার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৩৩ লাখ ৮ হাজার ৫শ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের ৩০ জুন।

স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি নির্মাণের কাজ পাঁচ বছর আগে শুরু হলেও শেষ হয়নি চার ভাগের একভাগ কাজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই কাজ করা নিয়ে গাফিলতি করে আসছে। কয়েক হাজার মানুষের একমাত্র যাতায়াতের পথ এই সড়কটি। তবে এতদিন কাজ ফেলে রাখা হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার পর ঈদুল ফিতরের আগে মাত্র অর্ধ-কিলোমিটার সড়কে সুড়কি ফেলে উধাও হয়ে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে রাস্তায় যেখানে সুড়কি ফেলা হয়েছে সেখানেও ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের ইট। সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এলাকার মানুষসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যাওয়া আসায় পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।

কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার বলেন, মিল্টন নামের এক ঠিকাদার এর আগেও দু’টি প্রকল্পের কাজ নিয়ে গাফিলতি করেছে এবং কাজ দীর্ঘদিন ফেলে রেখেছিল। তারপরও তাকে কেন কাজ দেওয়া হয়েছে এটা আমার বুঝে আসছে না। তার মতো ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ায় আজ কয়েকটি এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

বরিশাল কোহিনুর অ্যান্ড রুটস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ঠিকাদার মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, করোনা মহামারী ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে বিলম্ব হয়েছে। দ্রুতই কাজটি সম্পন্ন করে ফেলব।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ লতিফ হোসেন বলেন, আমি বুঝতে পারছি না আপনি কোন সড়কের কথা বলছেন। একটু কষ্ট করে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

এ ব্যাপারে জানতে বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান হোসেনকে একাধিকবার তার মোবাইলফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ঈশ্বরদীতে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২

বাউফলে ৫ বছরেও শেষ হয়নি ৩ কি.মি. রাস্তার নির্মাণকাজ

প্রকাশের সময় : ০১:০০:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা-কনকদিয়া-কাছিপাড়া সড়কের বৌলতলী বাজারে ব্রিজ থেকে ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি নির্মাণের কাজ দীর্ঘ ৫ বছরেও শেষ হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এই রাস্তা ও কালভার্ট নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোহিনুর অ্যান্ড রুটস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। রাস্তার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৩৩ লাখ ৮ হাজার ৫শ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের ৩০ জুন।

স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি নির্মাণের কাজ পাঁচ বছর আগে শুরু হলেও শেষ হয়নি চার ভাগের একভাগ কাজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই কাজ করা নিয়ে গাফিলতি করে আসছে। কয়েক হাজার মানুষের একমাত্র যাতায়াতের পথ এই সড়কটি। তবে এতদিন কাজ ফেলে রাখা হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার পর ঈদুল ফিতরের আগে মাত্র অর্ধ-কিলোমিটার সড়কে সুড়কি ফেলে উধাও হয়ে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে রাস্তায় যেখানে সুড়কি ফেলা হয়েছে সেখানেও ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের ইট। সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এলাকার মানুষসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যাওয়া আসায় পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।

কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার বলেন, মিল্টন নামের এক ঠিকাদার এর আগেও দু’টি প্রকল্পের কাজ নিয়ে গাফিলতি করেছে এবং কাজ দীর্ঘদিন ফেলে রেখেছিল। তারপরও তাকে কেন কাজ দেওয়া হয়েছে এটা আমার বুঝে আসছে না। তার মতো ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ায় আজ কয়েকটি এলাকার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

বরিশাল কোহিনুর অ্যান্ড রুটস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ঠিকাদার মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, করোনা মহামারী ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে বিলম্ব হয়েছে। দ্রুতই কাজটি সম্পন্ন করে ফেলব।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ লতিফ হোসেন বলেন, আমি বুঝতে পারছি না আপনি কোন সড়কের কথা বলছেন। একটু কষ্ট করে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

এ ব্যাপারে জানতে বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান হোসেনকে একাধিকবার তার মোবাইলফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।