Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাইডেনের সেলফি দেখে বিএনপির পশ্চাৎযাত্রা শুরু হয়ে গেছে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাইডেনের সেলফি দেখে বিএনপির পশ্চাৎযাত্রা শুরু হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল বলেন, আজকে নতুন একটা খবর আছে, জি-২০ সম্মেলন হচ্ছে দিল্লিতে। আটলান্টিকের ওপারে হোয়াইট হাউসে থেকে নিষেধাজ্ঞা দেবে এ আশায় ছিল বিএনপি। কিন্তু কী দেখা গেল? মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেই সেলফি তুললেন শেখ হাসিনার সঙ্গে, সঙ্গে পুতুলও ছিলেন। বিএনপির এখন কী হবে? পতনযাত্রা নাকি পশ্চাতযাত্রা। কেবলই পেছনের দিকে বিএনপিকে যেতে হচ্ছে। বাইডেন সাহেব শেখ হাসিনার সঙ্গে ছবি তুলেছেন কেমন করে? এসব ভালো লাগেনি বিএনপির।

কাদের বলেন, আজকের পদযাত্রায় জনগণ নেই, জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই। বাংলাদেশ বৃহৎ শক্তির শক্তিকেন্দ্র। এই বলয় বন্ধুত্বের বলয়, এখানে কোনো শত্রুতা নেই। বাংলাদেশের জাতির পিতা বলে গেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে জো বাইডেনের ছবি দেখে হতাশার নদীতে হাবুডুবু খাচ্ছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এখন শুধু আসবে। এখন নেগেটিভ আসবে না, সব পজিটিভ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির যে গণমিছিল, সেটা দেখে মনে হচ্ছে গণমিছিলে আর জনগণ আসবে না, জনগণ নেই। তাদের নেতাকর্মীরা আর আমেরিকার দিকে তাকাবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি একটি দল, তারা সারা বাংলাদেশে মিথ্যার মহামারি ছড়াচ্ছে। মিথ্যার মহামারি এখন বিএনপির অবদানে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। তাদের গ্রামের একজন কর্মীও মিথ্যা কথা বলা শিখে গেছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন কী খবর? সিঙ্গাপুর থেকে শলাপরামর্শ নিয়ে এসেছেন। সেই আন্দোলন এখন ভুয়া। ২১ দফা, এক দফা, ২৭ দফা, বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। কোনো জনসমর্থন নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মিছিল আন্দোলনে জনগণ নেই, আমেরিকাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপির আন্দোলন সব ভুয়া, তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে কত ধানে কত চাল।

বিদেশিদের আগমন আওয়ামী লীগের জন্য সবুজ সংকেত বলেও জানান দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নীতি অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতেই পছন্দ করে।

তিনি বলেন, বিএনপির উপরে উপরে আন্দোলন করবে এবং তলে তলে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নির্বাচন না করলে তারেক রহমান নির্বাচন মনোনয়নের বাণিজ্য কীভাবে করবে? বিএনপির বিরুদ্ধে খেলা হবে, ফাউল করলে হলুদ কার্ড লাল কার্ড দেখানো হবে। বিএনপি দিনের আলোতেও রাতের অন্ধকার দেখে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপি সব সিটে ক্যান্ডিডেট (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী) খাড়া করে দিয়েছে। একজন দুইজন করে, কোথাও আরও বেশি। ওপরে ওপরে আন্দোলন, তলে তলে নির্বাচন- এমন অবস্থা বিএনপির। যার যত বেশি টাকা, সে তত বেশি লন্ডনে পাড়ি জমাচ্ছে। নির্বাচন না করলে বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্য কীভাবে হবে? খেলায় হেরে গেছে ওরা। খালি নির্বাচনটা হওয়া বাকি। ফাইনাল খেলাতেও বিএনপি হেরে যাবে।’

এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এ শান্তি সমাবেশ চলবে। বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন অন্ধকার দেখছে। মিছিল শেষ করে হাত-পা গুটিয়ে শুয়ে পড়েছে। একটারও রাতে ঘুম আসবে না। রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকান দখল দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি

বাইডেনের সেলফি দেখে বিএনপির পশ্চাৎযাত্রা শুরু হয়ে গেছে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৭:০৩:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাইডেনের সেলফি দেখে বিএনপির পশ্চাৎযাত্রা শুরু হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল বলেন, আজকে নতুন একটা খবর আছে, জি-২০ সম্মেলন হচ্ছে দিল্লিতে। আটলান্টিকের ওপারে হোয়াইট হাউসে থেকে নিষেধাজ্ঞা দেবে এ আশায় ছিল বিএনপি। কিন্তু কী দেখা গেল? মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেই সেলফি তুললেন শেখ হাসিনার সঙ্গে, সঙ্গে পুতুলও ছিলেন। বিএনপির এখন কী হবে? পতনযাত্রা নাকি পশ্চাতযাত্রা। কেবলই পেছনের দিকে বিএনপিকে যেতে হচ্ছে। বাইডেন সাহেব শেখ হাসিনার সঙ্গে ছবি তুলেছেন কেমন করে? এসব ভালো লাগেনি বিএনপির।

কাদের বলেন, আজকের পদযাত্রায় জনগণ নেই, জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই। বাংলাদেশ বৃহৎ শক্তির শক্তিকেন্দ্র। এই বলয় বন্ধুত্বের বলয়, এখানে কোনো শত্রুতা নেই। বাংলাদেশের জাতির পিতা বলে গেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে জো বাইডেনের ছবি দেখে হতাশার নদীতে হাবুডুবু খাচ্ছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এখন শুধু আসবে। এখন নেগেটিভ আসবে না, সব পজিটিভ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির যে গণমিছিল, সেটা দেখে মনে হচ্ছে গণমিছিলে আর জনগণ আসবে না, জনগণ নেই। তাদের নেতাকর্মীরা আর আমেরিকার দিকে তাকাবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি একটি দল, তারা সারা বাংলাদেশে মিথ্যার মহামারি ছড়াচ্ছে। মিথ্যার মহামারি এখন বিএনপির অবদানে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। তাদের গ্রামের একজন কর্মীও মিথ্যা কথা বলা শিখে গেছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন কী খবর? সিঙ্গাপুর থেকে শলাপরামর্শ নিয়ে এসেছেন। সেই আন্দোলন এখন ভুয়া। ২১ দফা, এক দফা, ২৭ দফা, বিএনপির আন্দোলন ভুয়া। কোনো জনসমর্থন নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মিছিল আন্দোলনে জনগণ নেই, আমেরিকাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপির আন্দোলন সব ভুয়া, তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে কত ধানে কত চাল।

বিদেশিদের আগমন আওয়ামী লীগের জন্য সবুজ সংকেত বলেও জানান দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নীতি অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতেই পছন্দ করে।

তিনি বলেন, বিএনপির উপরে উপরে আন্দোলন করবে এবং তলে তলে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নির্বাচন না করলে তারেক রহমান নির্বাচন মনোনয়নের বাণিজ্য কীভাবে করবে? বিএনপির বিরুদ্ধে খেলা হবে, ফাউল করলে হলুদ কার্ড লাল কার্ড দেখানো হবে। বিএনপি দিনের আলোতেও রাতের অন্ধকার দেখে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপি সব সিটে ক্যান্ডিডেট (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী) খাড়া করে দিয়েছে। একজন দুইজন করে, কোথাও আরও বেশি। ওপরে ওপরে আন্দোলন, তলে তলে নির্বাচন- এমন অবস্থা বিএনপির। যার যত বেশি টাকা, সে তত বেশি লন্ডনে পাড়ি জমাচ্ছে। নির্বাচন না করলে বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্য কীভাবে হবে? খেলায় হেরে গেছে ওরা। খালি নির্বাচনটা হওয়া বাকি। ফাইনাল খেলাতেও বিএনপি হেরে যাবে।’

এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এ শান্তি সমাবেশ চলবে। বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন অন্ধকার দেখছে। মিছিল শেষ করে হাত-পা গুটিয়ে শুয়ে পড়েছে। একটারও রাতে ঘুম আসবে না। রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ।