নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন ফারুক বলেছেন, দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট চলছে। ৭ তারিখের যে নির্বাচনে বর্তমান সরকার সংসদ চালিয়ে যাচ্ছেন, সেই নির্বাচনে আ.লীগের একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের অধিকারের কথা এ সরকারের কানে যায় না।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম (জিসফ) আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
খালেদা জিয়াসহ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস ও অন্যান্য রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন করা হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় অধ্যায় হলো এই ১৫ বছর। বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে। আজকে খালেদা জিয়া মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তিনি বলেন, ‘আজও কেন তার মুক্তি হচ্ছে না। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা কি অন্যায় করেছে? এর জবাব আপনি (শেখ হাসিনা) দিতে পারবেন না।’
‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার জন্য বিএনপিকে অনেক দিন খেসারত দিতে হবে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আপনি কি করে বলেন, বিএনপিকে অনেক খেসারত দিতে হবে। আমি আপনাকে উল্টো বলতে চাই, খেসারত আপনাকেই দিতে হবে। কারণ আপনারা জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া যে নির্বাচন করেছেন, যে সরকার আপনারা গঠন করেছেন তার খেসারত আপনাদেরই দিতে হবে যুগ যুগ ধরে। যেখানে সীমান্তে এখন প্রতিনিয়ত গুলি হচ্ছে, যেখানে মানুষের জীবন-জীবিকা ক্রয়ক্ষমতা বাইরে চলে যাচ্ছে, যেখানে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে তচনচ করে দিচ্ছেন, যেখানে আপনারা দেশে রাজনৈতিক সংকট তৈরি করে বাংলাদেশের ইতিহাসে আপনি যে কলঙ্ক সৃষ্টি করেছেন, গণতন্ত্র হত্যা করেছেন তাই এজন্য আপনাকেই খেসারত দিতে হবে।
তিনি বলেন, অপেক্ষা করুনৃ সময় খুব কাছে আপনাকে খেসারতের জন্য জনগণের কাছে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আপনারা যে কলঙ্ক লেপন করেছেন, এর জন্য আপনাদের দায়ী থাকতে হবে।
২৮ অক্টোবরে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড করে দিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মতো সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তারের ঘটনা ছিল সরকারের একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানে ‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’ বলেও মন্তব্য করেন জয়নুল আবদিন ফারুক।
সরকারের উদ্দেশে সাবেক বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ বলেন, এখনো সময় আছে, পদত্যাগ করুন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। তা না হলে জনগণের রোষানলে যখন পড়বে তখন শ্রীলংকার চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা আপনাদের হবে। বিএনপিকে আন্ডার স্টিমেট কইরেন না। বিএনপি জনগণের দল, বিএনপি শহীদ জিয়ার দল, বিএনপি খালেদা জিয়ার দল, বিএনপি তারেক রহমানের দল। বিএনপিতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, ছাত্রদলের মতো শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে ৃইনশাআল্লাহ আমরা রাজপথে আছি, জনগণকে নিয়ে আমরা রাজপথেই থাকবো।
সংগঠনের সভাপতি মনজুর রহীম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সোহেল রানার সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির আবদুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, ছাত্রদলের সাবেক নেতা এজমল হোসেন পাইলট, রফিকুল ইসলাম, কৃষক দলের কাদের সিদ্দিকী, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।