নিজস্ব প্রতিবেদক :
আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের বিপ্লবী আইকন আবু সাঈদ। সাঈদসহ সব শহীদ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। আমরা তাদের কখনো ভুলবো না।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ভারতের দালাল শেখ হাসিনাকে যারা উৎখাত করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। শহীদদের আমরা কখনো ভুলব না। আজ থেকে ২০০ বছর পরও আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ যারা এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের তিতুমীরের মতো স্মরণ করবে মানুষ।
তিনি বলেন, এই আমলে আমার ৫ মাস কারাগারে থাকতে আপত্তি নেই। হ্যাঁ আমার বয়স হয়েছে, আমি বুড়ো হয়ে গেছি, কিন্তু জেলে থাকার মতো মানসিক এবং শারীরিক শক্তি এখনও আমার আছে। কাজেই আপনারা এটা নিয়ে একদম বিচলিত হবেন না। একদম উদ্বিগ্ন হবেন না। আইনকে তার রাস্তায় যেতে দিন। আমাকে আমার মতো করে লড়াই করতে দিন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, আপনারা জানেন গত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদি সরকারের বিরুদ্ধে আমি আমার মতো করে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে লড়াই করে গেছি। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতো করে লড়াই করেছে, আর আমি লড়াই করেছি আমার মতো করে।
মাহমুদুর রহমান আরো বলেন, এ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। যার ফলে ছয় বছর নির্বাসনে থাকার পর আমি মাতৃভূমিতে ফিরতে পেরেছি। আমাকে উদ্ভট ও মিথ্যা মামলায় সাত বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল।
তার নামে আরও অনেক মিথ্যা মামলা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমার মা গুরুতর অসুস্থ। তাই তাকে দেখতেই দ্রুত চলে আসা। দুদিন মায়ের সঙ্গে থাকতে চাই। আগামী রোববার আমি আদালতে যাবো। আমার নামে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আছে। এমনও হতে পারে আমাকে জেলে যেতে হতে পারে। আপনারা বিচলিত হবেন না। আমি আইনিভাবে সবকিছু মোকাবিলা করবো।
শেখ হাসিনার আমলে গত দশকে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সারা দেশে ১২৪টি মামলা করা হয়েছিল। ২০১০ সালের জুনে প্রথমে দফায় আমার দেশ বন্ধ ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আটক করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল আবারও দ্বিতীয় দফায় আমার দেশ বন্ধ করে মাহমুদুর রহমানকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর দিনের পর দিন রিমান্ডে নিয়ে চালানো হয় নির্যাতন। পরবর্তীতে সাজানো এক মামলায় মাহমুদুর রহমান এবং তার স্ত্রীকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে যান। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর গত ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হয়।