Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি : ম্যাথিউ মিলার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৯৬ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি। ভোটে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিবে না দেশটি ।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

ভিসা নীতি নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মিলার বলেন, আমি বলব, যেমনটা আমরা আগেও বলেছি, যেমনটা গত মে মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ নতুন নীতি ঘোষণা করেছিলেন, তখনো আমরা বলেছিলাম, এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশে নির্বাচনে কারও পক্ষ নেওয়া নয়। এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা বা সমর্থন করা। আমি বলব, গত শুক্রবার যখন আমরা এ নতুন ভিসা বিধিনিষেধ কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছিলাম, তখন আমরা উল্লেখ করেছি, এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নিয়মিত বিবৃতিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। মে মাসে যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছিলেন; সেসময়ই অনেক বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচনে, কোনো দলের পক্ষ নেয়ার বা স্বার্থ উদ্ধারের অবকাশ নেই। বরং, দেশটিতে অবাধ-সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতেই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা।

বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মিলার জানান, এ বিষয়ে তার কোনো মন্তব্য নেই।

ব্রিফিংয়ে মিলারের কাছে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ২৪ সেপ্টেম্বর নতুন ভিসা নীতিতে গণমাধ্যম ব্যক্তিরাও অন্তর্ভুক্ত হবেন বলে উল্লেখ করেন, যা ব্যাপক উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা গণমাধ্যমে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন সাবেক সম্পাদক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার পরিপন্থী।

প্রশ্নকারী মিলারের কাছে জানতে চান, এ নিষেধাজ্ঞা যদি গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তা মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানের গুরুত্বকে ক্ষুণ্ন করবে বলে তিনি মনে করেন কি না।

জবাবে মিলার জানান, ভিসা-সংক্রান্ত রেকর্ড গোপনীয় হওয়ায় সুনির্দিষ্ট সদস্য বা ব্যক্তি- কার জন্য এ নীতি প্রযোজ্য হবে, তার ঘোষণা তারা দেননি। তবে তারা এ বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে এ নীতি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধীদের জন্য প্রযোজ্য হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি : ম্যাথিউ মিলার

প্রকাশের সময় : ০২:১৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি। ভোটে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিবে না দেশটি ।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

ভিসা নীতি নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মিলার বলেন, আমি বলব, যেমনটা আমরা আগেও বলেছি, যেমনটা গত মে মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ নতুন নীতি ঘোষণা করেছিলেন, তখনো আমরা বলেছিলাম, এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশে নির্বাচনে কারও পক্ষ নেওয়া নয়। এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা বা সমর্থন করা। আমি বলব, গত শুক্রবার যখন আমরা এ নতুন ভিসা বিধিনিষেধ কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছিলাম, তখন আমরা উল্লেখ করেছি, এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নিয়মিত বিবৃতিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। মে মাসে যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছিলেন; সেসময়ই অনেক বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচনে, কোনো দলের পক্ষ নেয়ার বা স্বার্থ উদ্ধারের অবকাশ নেই। বরং, দেশটিতে অবাধ-সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতেই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা।

বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মিলার জানান, এ বিষয়ে তার কোনো মন্তব্য নেই।

ব্রিফিংয়ে মিলারের কাছে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ২৪ সেপ্টেম্বর নতুন ভিসা নীতিতে গণমাধ্যম ব্যক্তিরাও অন্তর্ভুক্ত হবেন বলে উল্লেখ করেন, যা ব্যাপক উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা গণমাধ্যমে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন সাবেক সম্পাদক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার পরিপন্থী।

প্রশ্নকারী মিলারের কাছে জানতে চান, এ নিষেধাজ্ঞা যদি গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তা মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানের গুরুত্বকে ক্ষুণ্ন করবে বলে তিনি মনে করেন কি না।

জবাবে মিলার জানান, ভিসা-সংক্রান্ত রেকর্ড গোপনীয় হওয়ায় সুনির্দিষ্ট সদস্য বা ব্যক্তি- কার জন্য এ নীতি প্রযোজ্য হবে, তার ঘোষণা তারা দেননি। তবে তারা এ বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে এ নীতি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধীদের জন্য প্রযোজ্য হবে।