Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে উড়িয়ে শীর্ষে নিউজিল্যান্ড

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:১০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩
  • ২০২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মুশফিকুর রহিমের ফিফটি ও সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জোড়া চল্লিশোর্ধ রানের উপর ভর করে ২৪৫ রানের পুঁজি পায় টাইগাররা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ওপেনার রাচিন রবীন্দ্রকে হারালেও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারেল মিচেলের জোড়া ফিফটিতে ৪৩ বল বাকি থাকতেই সহজ জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। ফলে টানা ৩ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এলো কিউইরা। অন্যদিকে, টানা দ্বিতীয় হারে সেমির পথটা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ালো সাকিবের দলের।

হতাশার হলেও সত্যি, চলমান বিশ্বকাপে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রান। এর সঙ্গে চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামের অতীত পরিসংখ্যানও কিছুটা আশা জাগাচ্ছিল সাকিব আল হাসানদের। কারণ এই ভেন্যুতে প্রথমে ব্যাট করা দলের গড় রান যে ২২৪, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দলের গড় সংগ্রহ ২০৬। যদিও সেই সমীকরণ আর বাংলাদেশের জন্য খাটেনি।

ম্যাচজুড়ে কয়েক বার উইকেটের সুযোগ দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তার ভেতর দুয়েকটা ছিল কঠিন, এরপর ক্যাচ-রানআউট মিলিয়ে সহজ সুযোগও বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারেনি। অথচ মাত্র ১২ রানেই প্রথম উইকেট হারানো কিউইরা বড় বিপদে পড়তে পারত। কিন্তু ঠাণ্ডা মাথার উইলিয়ামসনের পর ডেভন কনওয়ে ও ড্যারিল মিচেলরা পথ হারাতে দেয়নি কিউইদের। আহত হয়ে ৭৮ রানে যখন উইলিয়ামসন ফিরছিলেন, তখন তাদের জয়ের আনুষ্ঠানিকতা বাকি ছিল কেবল। তার আগে কনওয়ের সঙ্গে ৮০ এবং মিচেলের সঙ্গে তিনি ১০৮ রানের দুটি জয়ের ভিত গড়া জুটি গড়েন।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের ফিফটিতে ভর করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

জবাব দিতে নেমে কিউইরাও শুরুতে বেশ বিপদেই পড়ে গিয়েছিল। ১৩ বলে ৯ রান করে রাচিন রবীন্দ্র আউট হন মোস্তাফিজুর রহমানের বলে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ব্যাটার ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিকুর রহিমের হাতে। এরপর ক্যাচ মিসের মহড়া দেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। শুরুটা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ- ডেভেন কনওয়েকে ৪ রানে তিনি জীবন দেন মোস্তাফিজুর রহমানের বলে।

এরপর তাসকিন আহমেদ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ক্যাচ ছাড়েন। এর মধ্যে ৮০ রানের জুটি গড়ে ফেলেন কনওয়ে ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তাদের এই জুটি ভাঙে সাকিব আল হাসানের হাত ধরে। তাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন ডেভন কনওয়ে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি; ৩ চারে ৫৯ বলে ৪৫ রান করে ফেরেন সাজঘরে।

কনওয়ের ফেরাও রানের গতি কমাতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের। ড্যারেল মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টানতে থাকেন এ বছর প্রথমবারের মতো ওয়ানডে খেলতে নামা উইলিয়ামসন। তাকে শেষ অবধি আউটই করতে পারেনি বাংলাদেশ, তিনি হন রিটায়ার্ড হার্ড। একবার শান্তর করা থ্রো তার আঙুলে লাগে, পরে ব্যথার কাছে নত স্বীকার করে উঠে যেতে হয় তাকে। ১০৭ বল খেলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ১০৭ বলে ৭৮ রান করে তিনি ফেরেন সাজঘরে। এরপর গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে বাকিটা পথ পাড়ি দেন ড্যারিল মিচেল। ৬৭ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। তবে শুরুটা ভালো করতে পারেনি টাইগার ওপেনাররা। ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরে গেছেন লিটন।

ট্রেন্ট বোল্টকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন ওপেনার লিটন দাস। কিন্তু শটটি ঠিকঠাক খেলতে পারেননি। ডিপ ফাইন লেগে দাঁড়ানো ম্যাট হেনরির হাতে ধরা পড়েন। জীবনের ২৯তম বসন্তে পা দেওয়া লিটনের জন্মদিনটা রাঙানো হয়নি। অবশ্য তার ব্যাটে দুর্দশা চলছে অনেক দিন ধরেই। মাঝে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসে রানে ফেরার বার্তা দিয়েছিলেন-এই যা।

শূন্য রানে বাংলাদেশি ওপেনারের বিদায়ের পর মিরাজ-তানজিদ তামিমের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালায় বাংলাদেশ। দারুণ শুরুও পেয়েছিলেন প্রথম দুই ম্যাচে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যথাক্রমে ৫ ও ১ রানে আউট হওয়া তানজিদ। তবে বেশিদূর এগোতে পারলেন না তরুণ এই ওপেনার। লকি ফার্গুসনের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে কনওয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে থেমেছেন। সাজঘরে ফেরার আগে করেন ১৭ বলে ৪ চারে ১৬ রান।

দলে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটিং পজিশন কত? খোদ মিরাজও হয়তো বলতে পারবেন না। আগের ম্যাচেই খেলেছিলেন পাঁচে, আজ নামলেন তিনে। ভালো খেলছিলেনও। শেষমেশ আবারও আক্ষেপেই পুড়তে হলো বাংলাদেশকে। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ ফাইন লেগে ম্যাট হ্যানরির হাতে ধরা পড়লেন মিরাজ। আউট হওয়ার আগে ৩০ রান করতে খেলেছেন ৪৬ বল।

দলীয় ৫৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ শিবিরে আসা যাওয়ার মিছিল শুরু হয়। ১৩তম ওভারে টাইগারদের চাপে রেখে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮ বলে ৭ রান করে গ্লেন ফিলিপসের শিকার হন তিনি। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ৯৬ রানের জুটিতে ম্যাচের হাল ধরে বাংলাদেশ।

তবে দলীয় ১৫২ রানে সাকিব ব্যক্তিগত ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মুশফিকুর রহিম দারুণ অর্ধশতক তুলে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু ম্যাট হেনরির বলে ব্যক্তিগত ৬৬ রান করে বোল্ড হন তিনি। তাওহীদ হৃদয়ও ক্রিজে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ফলে আবারো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। ১৫২/৪ থেকে ১৮০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে অলআউটের দ্বারপ্রান্তে চলে যায় বাংলাদেশ।

শেষ দিকে তাসকিন ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে দুইশো ছাড়ায় বাংলাদেশের ইনিংস। ১৯ বলে দুই ছক্কায় ১৭ রান করে মিচেল স্যান্টনারের বলে আউট হন তাসকিন। শেষ দিকে টেলএন্ডারদের নিয়ে উইকেট বাঁচানোর চেষ্টা চালান মাহমুদউল্লাহ। যদিও এদিন খুব একটা স্বস্তিতে দেখা যায়নি তাকে। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশ ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৪৫ রানের মাঝারি পুঁজি পায়।

বল হাতে ৩ উইকেট নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার লোকি ফার্গুসন। ২টি করে উইকেট গেছে বোল্ট এবং ম্যাট হেনরির ঝুলিতে। আর গ্লেন ফিলিপস ও স্পিনার মিচেল স্যান্টনার নেন ১টি করে উইকেট।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশকে উড়িয়ে শীর্ষে নিউজিল্যান্ড

প্রকাশের সময় : ১১:১০:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মুশফিকুর রহিমের ফিফটি ও সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জোড়া চল্লিশোর্ধ রানের উপর ভর করে ২৪৫ রানের পুঁজি পায় টাইগাররা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ওপেনার রাচিন রবীন্দ্রকে হারালেও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারেল মিচেলের জোড়া ফিফটিতে ৪৩ বল বাকি থাকতেই সহজ জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। ফলে টানা ৩ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এলো কিউইরা। অন্যদিকে, টানা দ্বিতীয় হারে সেমির পথটা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ালো সাকিবের দলের।

হতাশার হলেও সত্যি, চলমান বিশ্বকাপে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রান। এর সঙ্গে চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামের অতীত পরিসংখ্যানও কিছুটা আশা জাগাচ্ছিল সাকিব আল হাসানদের। কারণ এই ভেন্যুতে প্রথমে ব্যাট করা দলের গড় রান যে ২২৪, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দলের গড় সংগ্রহ ২০৬। যদিও সেই সমীকরণ আর বাংলাদেশের জন্য খাটেনি।

ম্যাচজুড়ে কয়েক বার উইকেটের সুযোগ দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তার ভেতর দুয়েকটা ছিল কঠিন, এরপর ক্যাচ-রানআউট মিলিয়ে সহজ সুযোগও বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারেনি। অথচ মাত্র ১২ রানেই প্রথম উইকেট হারানো কিউইরা বড় বিপদে পড়তে পারত। কিন্তু ঠাণ্ডা মাথার উইলিয়ামসনের পর ডেভন কনওয়ে ও ড্যারিল মিচেলরা পথ হারাতে দেয়নি কিউইদের। আহত হয়ে ৭৮ রানে যখন উইলিয়ামসন ফিরছিলেন, তখন তাদের জয়ের আনুষ্ঠানিকতা বাকি ছিল কেবল। তার আগে কনওয়ের সঙ্গে ৮০ এবং মিচেলের সঙ্গে তিনি ১০৮ রানের দুটি জয়ের ভিত গড়া জুটি গড়েন।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের ফিফটিতে ভর করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

জবাব দিতে নেমে কিউইরাও শুরুতে বেশ বিপদেই পড়ে গিয়েছিল। ১৩ বলে ৯ রান করে রাচিন রবীন্দ্র আউট হন মোস্তাফিজুর রহমানের বলে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ব্যাটার ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিকুর রহিমের হাতে। এরপর ক্যাচ মিসের মহড়া দেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। শুরুটা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ- ডেভেন কনওয়েকে ৪ রানে তিনি জীবন দেন মোস্তাফিজুর রহমানের বলে।

এরপর তাসকিন আহমেদ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ক্যাচ ছাড়েন। এর মধ্যে ৮০ রানের জুটি গড়ে ফেলেন কনওয়ে ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তাদের এই জুটি ভাঙে সাকিব আল হাসানের হাত ধরে। তাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন ডেভন কনওয়ে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি; ৩ চারে ৫৯ বলে ৪৫ রান করে ফেরেন সাজঘরে।

কনওয়ের ফেরাও রানের গতি কমাতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের। ড্যারেল মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টানতে থাকেন এ বছর প্রথমবারের মতো ওয়ানডে খেলতে নামা উইলিয়ামসন। তাকে শেষ অবধি আউটই করতে পারেনি বাংলাদেশ, তিনি হন রিটায়ার্ড হার্ড। একবার শান্তর করা থ্রো তার আঙুলে লাগে, পরে ব্যথার কাছে নত স্বীকার করে উঠে যেতে হয় তাকে। ১০৭ বল খেলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ১০৭ বলে ৭৮ রান করে তিনি ফেরেন সাজঘরে। এরপর গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে বাকিটা পথ পাড়ি দেন ড্যারিল মিচেল। ৬৭ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। তবে শুরুটা ভালো করতে পারেনি টাইগার ওপেনাররা। ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরে গেছেন লিটন।

ট্রেন্ট বোল্টকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন ওপেনার লিটন দাস। কিন্তু শটটি ঠিকঠাক খেলতে পারেননি। ডিপ ফাইন লেগে দাঁড়ানো ম্যাট হেনরির হাতে ধরা পড়েন। জীবনের ২৯তম বসন্তে পা দেওয়া লিটনের জন্মদিনটা রাঙানো হয়নি। অবশ্য তার ব্যাটে দুর্দশা চলছে অনেক দিন ধরেই। মাঝে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসে রানে ফেরার বার্তা দিয়েছিলেন-এই যা।

শূন্য রানে বাংলাদেশি ওপেনারের বিদায়ের পর মিরাজ-তানজিদ তামিমের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালায় বাংলাদেশ। দারুণ শুরুও পেয়েছিলেন প্রথম দুই ম্যাচে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যথাক্রমে ৫ ও ১ রানে আউট হওয়া তানজিদ। তবে বেশিদূর এগোতে পারলেন না তরুণ এই ওপেনার। লকি ফার্গুসনের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে কনওয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে থেমেছেন। সাজঘরে ফেরার আগে করেন ১৭ বলে ৪ চারে ১৬ রান।

দলে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটিং পজিশন কত? খোদ মিরাজও হয়তো বলতে পারবেন না। আগের ম্যাচেই খেলেছিলেন পাঁচে, আজ নামলেন তিনে। ভালো খেলছিলেনও। শেষমেশ আবারও আক্ষেপেই পুড়তে হলো বাংলাদেশকে। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ ফাইন লেগে ম্যাট হ্যানরির হাতে ধরা পড়লেন মিরাজ। আউট হওয়ার আগে ৩০ রান করতে খেলেছেন ৪৬ বল।

দলীয় ৫৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ শিবিরে আসা যাওয়ার মিছিল শুরু হয়। ১৩তম ওভারে টাইগারদের চাপে রেখে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮ বলে ৭ রান করে গ্লেন ফিলিপসের শিকার হন তিনি। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ৯৬ রানের জুটিতে ম্যাচের হাল ধরে বাংলাদেশ।

তবে দলীয় ১৫২ রানে সাকিব ব্যক্তিগত ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মুশফিকুর রহিম দারুণ অর্ধশতক তুলে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু ম্যাট হেনরির বলে ব্যক্তিগত ৬৬ রান করে বোল্ড হন তিনি। তাওহীদ হৃদয়ও ক্রিজে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ফলে আবারো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। ১৫২/৪ থেকে ১৮০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে অলআউটের দ্বারপ্রান্তে চলে যায় বাংলাদেশ।

শেষ দিকে তাসকিন ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে দুইশো ছাড়ায় বাংলাদেশের ইনিংস। ১৯ বলে দুই ছক্কায় ১৭ রান করে মিচেল স্যান্টনারের বলে আউট হন তাসকিন। শেষ দিকে টেলএন্ডারদের নিয়ে উইকেট বাঁচানোর চেষ্টা চালান মাহমুদউল্লাহ। যদিও এদিন খুব একটা স্বস্তিতে দেখা যায়নি তাকে। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশ ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৪৫ রানের মাঝারি পুঁজি পায়।

বল হাতে ৩ উইকেট নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার লোকি ফার্গুসন। ২টি করে উইকেট গেছে বোল্ট এবং ম্যাট হেনরির ঝুলিতে। আর গ্লেন ফিলিপস ও স্পিনার মিচেল স্যান্টনার নেন ১টি করে উইকেট।