নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বর্তমান সরকারের কোনও পরিচয় নেই বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণতন্ত্র-ভোটাধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আধিপত্য ও আগ্রাসনবিরোধী সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নুরুল হক নুর বলেন, বর্তমান সরকারের কোনও পরিচয় নেই। এরা জনবিচ্ছিন্ন, মাফিয়া, লুটেরা, ডাকাত, সন্ত্রাসী, চোর। এই কারণে আজ এদের কেউ পাত্তা দিচ্ছে না। এদের কথা কেউ শুনছে না। আজ বাংলাদেশের ইন্দোপ্যাসিফিক কৌশল কী হবে, অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের পদ্ধতি কী হবে, পোশাক খাতের বিকল্প বাজার কোথায়, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সরকার কী কৌশল নিয়েছে– এগুলো নিয়ে কোনও আলোচনা হয় না। কারণ কতগুলো অশিক্ষিত, দুর্নীতিবাজ, চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসী আজকে সংসদে বসে আছে। ওদের কাছে দেশপ্রেম, দেশের মানুষের জন্য কাজ করা, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। এরা আছে কে কীভাবে টাকা বানাবে সেই ধান্ধায়।

‘ভারত বাংলাদেশের সবকিছুতে হস্তক্ষেপ করছে’ অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশের এমপি, মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বিজিবি প্রধান, সেনাপ্রধান কে হবেন সেটা ঠিক করে দিচ্ছে পাশের দেশ ভারত। এমন ওপেন হস্তক্ষেপ চলছে। এটি নিয়ে রাজনৈতিক মহল থেকে কোনও সরব প্রতিবাদ বা প্রতিক্রিয়া আসছে না। কারণ সবাই দাদাবাবুদের গোলামি করে।

আওয়ামী লীগের নেতাদের সমালোচনা করে নুরুল হক নুর বলেছেন, ওবায়দুল কাদেররা যতই হুমকি-ধমকি দিক, তাদের কলিজা কাঁপে, ভয়ে রাতে ঘুম হয় না। কারণ, তারা ভালো করেই জানেন, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন। তারা জোর-জবরদস্তি করে সরকার গঠন করেছেন।

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে ছয় শতাধিকের বেশি মানুষকে গুম করা হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ সাহেবকে উত্তরা থেকে তুলে শিলং নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে সীমান্তের ওপারে পাওয়া গেছে। ইলিয়াস আলীকে এখনো পাওয়া যায়নি।

ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, এই দেশে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ। কাজেই এই ভারতীয় পণ্য আওয়ামী লীগকে সামাজিকভাবে বর্জন করুন। ওবায়দুল কাদেররা যতই হুমকি ধামকি দিক, তাদের কলিজা কাঁপে, ভয়ে রাতে ঘুম হয় না। কারণ তারা ভালো করেই জানেন, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন। তারা জোর-জবরদস্তি করে সরকার গঠন করেছে।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মতো ভারত দালাল নির্মূল কমিটি তৈরি করতে হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, এই প্রেস ক্লাবের টোকাই থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন সর্বত্র ভারতীয় এজেন্ট রয়েছে।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, রবিুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, যুবঅধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।