Dhaka শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে : আনু মুহাম্মদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে বলে মন্তব্য করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, এই সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে, ছাত্রদের মুক্তি দিতে হবে, কারফিউ উঠিয়ে নিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) ‘গণগ্রেফতার বন্ধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, আটক শিক্ষার্থী-জনতার মুক্তি, কারফিউ প্রত্যাহার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া এবং অসংখ্য শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যার দায়ে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ’ চেয়ে আয়োজিত দ্রোহযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আমাদের সবাইকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা সহিংসতা চালাতে চায় তাদের ব্যাপারে সাবধানে থাকতে হবে। সরকার এবং দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গোষ্ঠী চক্রান্তের চেষ্টা করছে। এ থেকে সাবধান থাকতে হবে। দেশের তিন বছরের বাচ্চা থেকে শ্রমজীবী, পেশাজীবী সবার উপর আক্রমণ আসছে। জমিন থেকে আক্রমণ আসছে, আকাশ থেকে আক্রমণ আসছে। গুলিতে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। যারা নিহত হয়েছেন তাদের মা-বাবারা হাহাকার করছেন। হাজার হাজার আহত হয়েছেন, তাদের মা-বাবারা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন।

তিনি বলেন, আমরা ৫২ এর পর থেকে অনেক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, কিন্তু মাত্র কয়েকদিনে এই জুলাইয়ে যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছে তা কেউ করেনি, এতো রক্তপাত কেউ করেনি। সরকার ভেবেছিল এরকম নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালালে আন্দোলন দমে যাবে। কিন্তু প্রতিবাদ আরও বেড়েছে। শিক্ষক অভিভাবক নাগরিক সমাজ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন মুক্ত বাংলাদেশের জন্য লড়াই করছে। এই মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এই দখলদারের কাছ থেকে রক্ষা করতে হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে : আনু মুহাম্মদ

প্রকাশের সময় : ০৮:১৭:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে বলে মন্তব্য করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, এই সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে, ছাত্রদের মুক্তি দিতে হবে, কারফিউ উঠিয়ে নিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) ‘গণগ্রেফতার বন্ধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, আটক শিক্ষার্থী-জনতার মুক্তি, কারফিউ প্রত্যাহার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া এবং অসংখ্য শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যার দায়ে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ’ চেয়ে আয়োজিত দ্রোহযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আমাদের সবাইকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা সহিংসতা চালাতে চায় তাদের ব্যাপারে সাবধানে থাকতে হবে। সরকার এবং দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গোষ্ঠী চক্রান্তের চেষ্টা করছে। এ থেকে সাবধান থাকতে হবে। দেশের তিন বছরের বাচ্চা থেকে শ্রমজীবী, পেশাজীবী সবার উপর আক্রমণ আসছে। জমিন থেকে আক্রমণ আসছে, আকাশ থেকে আক্রমণ আসছে। গুলিতে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। যারা নিহত হয়েছেন তাদের মা-বাবারা হাহাকার করছেন। হাজার হাজার আহত হয়েছেন, তাদের মা-বাবারা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন।

তিনি বলেন, আমরা ৫২ এর পর থেকে অনেক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, কিন্তু মাত্র কয়েকদিনে এই জুলাইয়ে যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছে তা কেউ করেনি, এতো রক্তপাত কেউ করেনি। সরকার ভেবেছিল এরকম নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালালে আন্দোলন দমে যাবে। কিন্তু প্রতিবাদ আরও বেড়েছে। শিক্ষক অভিভাবক নাগরিক সমাজ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন মুক্ত বাংলাদেশের জন্য লড়াই করছে। এই মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এই দখলদারের কাছ থেকে রক্ষা করতে হবে।