বরিশাল জেলা প্রতিনিধি :
ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন্ধ ঘোষণার ২২ ঘণ্টা পর নৌযান চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ সকল রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে। এ ছাড়া স্পিডবোট, মালবাহী নৌযানও চলাচল শুরু হয়।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিটিএর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।
তিনি বলেন, হামুনের প্রভাব কমে গেছে। সংকেত ৩-এ নেমে আসায় সদরঘাট থেকে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের বিপদ কেটে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সকাল ৮টা থেকে সব রুটে নৌযান চলাচল শুরু করে। সন্ধ্যায় আগের নিয়মেই ঢাকা রুটের লঞ্চ ছেড়ে যাবে।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় হামুন’র কারণে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, উপকূলে আতঙ্ক সৃষ্টি করে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কক্সবাজারে আঘাত হানতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় হামুন। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের ওপর থেকে শঙ্কা কেটে যায়। ওইদিন সন্ধ্যায় আকাশ রক্তবর্ণ দেখালেও বরিশাল শহর ও আশপাশের এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে না।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আহমেদ বলেন, হামুন কক্সবাজারে আঘাত হেনেছে। যে কারণে দক্ষিণাঞ্চলের ওপরে তেমন প্রভাব দেখা যায় নি। এই অঞ্চলের শঙ্কা কেটে গেছে। তবে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বাতাসের আর্দ্রতা, গতিবেগ স্বাভাবিক রয়েছে।