Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালবাসী ৩০০ কোটি টাকা ঋণী : মেয়র আবুল খায়ের

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেছেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনে প্রশাসনিক কাঠামো একেবারেই নেই, যেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে আপনারা হতাশ ও নিরাশ হবেন না। আপনাদের সবার সহযোগিতায় এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটবে। বরিশালবাসী ৩০০ কোটি টাকা ঋণী। আমি বরিশাল সিটি করপোরেশনে মাত্র ১২ কোটি টাকা পেয়েছি। তবে আপনাদের সবার সহযোগিতা পেলে এ দায় কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নগর ভবনের সামনে তৈরি অস্থায়ী মঞ্চে অনুষ্ঠিত অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নতুন মেয়র বলেন, এখানে কোনো বৈষম্যমূলক কিংবা হিংসামূলক কিছু ঘটবে না। আর যারা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রয়েছেন, তাদের অনুরোধ করবো, আপনারা নতুনভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবেন, মানুষকে সেবা দেবেন এবং দায়িত্বে কোনো অবহেলা করবেন না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি একটি অনুন্নত দেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছেন। আমারও ইচ্ছা এ বরিশালকে একটি সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। সেটি করতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। খুনি ও ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে হবে। দেশ থেকে জঙ্গিবাদ দূর করতে হবে, সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনি ইশতেহারে আমি যে ৩৫টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছি, তা অচিরে বাস্তবায়ন করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশালের উন্নয়নে যে বরাদ্দ দিয়েছেন তা সঠিকভাবে বরিশালের উন্নয়নে ব্যয় হবে। এ জন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি বরিশালকে একটি স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র আবুল খায়ের বলেন, ‘বরিশালবাসী যে মহান দায়িত্ব অর্পণ করেছে, তা সঠিকভাবে পালন করব। দুঃখজনক হলেও সত্যি, বরিশাল সিটির অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। হতাশ হলে চলবে না। নিরাশ হবেন না। এর উত্তরণ হবে। জবাবদিহিতার মাধ্যমে সিটি করপোরেশন পরিচালনা করা হবে। এখানে বৈষম্য-হিংসাত্মক আচরণ থাকবে না।’

প্রধানমন্ত্রী অনুদান দেওয়ায় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তার সুযোগ্যকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে চলছেন। তার নেতৃত্বে সমস্ত বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে শামিল হলেও বরিশালে সে অর্থে কোনো উন্নয়ন হয়নি। অথচ আশপাশে তার উন্নয়নের ছোঁয়া দৃশ্যমান। সারা দেশের মানুষ আজ পদ্মা ও পায়রা সেতুর সুফল ভোগ করছে। শুধু বরিশালবাসী এ থেকে সার্বিকভাবে বঞ্চিত রয়েছে। আমি কথা দিচ্ছি, এই সুফল পেতে যা যা করণীয় সবকিছু করব।’

খায়ের আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই, বরিশাল সিটি করপোরেশন হবে একটি উন্মুক্ত সিটি করপোরেশন। সিনিয়র সিটিজেনদের সেবা নিশ্চিত করা হবে এখানে। বাণিজ্যিক সব সুযোগ-সুবিধা আমরা গড়ে তুলব। যে পবিত্র দায়িত্বভার আমি গ্রহণ করলাম, তা সততা ও পবিত্রতার সঙ্গে পালন করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

মেয়র খোকন বলেন, আমি দুঃখের সঙ্গে উল্লেখ করতে চাই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে সামিল হলেও বরিশাল নগরী পশ্চাৎপদ। তবে বরিশালবাসীর দুঃখ-দুর্দশার কথা অনুধাবন করে আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগেই নেত্রী আটশ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। বরিশালবাসীর পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে অভিষেক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, বরিশাল ২ আসনের সংসদ সদস্য শাহে আলম, ৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুবিনা মীরা, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হাফিজ মল্লিক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বরিশাল নগর ছাড়াও জেলা-উপজেলা থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ, পেশাজীবী সংগঠনের নেতা, সিটি করপোরেশন নতুন পরিষদের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

আবহাওয়া

সারাদেশের সব পোশাক কারখানা ৫ আগস্ট বন্ধ

বরিশালবাসী ৩০০ কোটি টাকা ঋণী : মেয়র আবুল খায়ের

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেছেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনে প্রশাসনিক কাঠামো একেবারেই নেই, যেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে আপনারা হতাশ ও নিরাশ হবেন না। আপনাদের সবার সহযোগিতায় এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটবে। বরিশালবাসী ৩০০ কোটি টাকা ঋণী। আমি বরিশাল সিটি করপোরেশনে মাত্র ১২ কোটি টাকা পেয়েছি। তবে আপনাদের সবার সহযোগিতা পেলে এ দায় কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নগর ভবনের সামনে তৈরি অস্থায়ী মঞ্চে অনুষ্ঠিত অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নতুন মেয়র বলেন, এখানে কোনো বৈষম্যমূলক কিংবা হিংসামূলক কিছু ঘটবে না। আর যারা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রয়েছেন, তাদের অনুরোধ করবো, আপনারা নতুনভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবেন, মানুষকে সেবা দেবেন এবং দায়িত্বে কোনো অবহেলা করবেন না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি একটি অনুন্নত দেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছেন। আমারও ইচ্ছা এ বরিশালকে একটি সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। সেটি করতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। খুনি ও ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে হবে। দেশ থেকে জঙ্গিবাদ দূর করতে হবে, সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনি ইশতেহারে আমি যে ৩৫টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছি, তা অচিরে বাস্তবায়ন করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশালের উন্নয়নে যে বরাদ্দ দিয়েছেন তা সঠিকভাবে বরিশালের উন্নয়নে ব্যয় হবে। এ জন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি বরিশালকে একটি স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র আবুল খায়ের বলেন, ‘বরিশালবাসী যে মহান দায়িত্ব অর্পণ করেছে, তা সঠিকভাবে পালন করব। দুঃখজনক হলেও সত্যি, বরিশাল সিটির অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। হতাশ হলে চলবে না। নিরাশ হবেন না। এর উত্তরণ হবে। জবাবদিহিতার মাধ্যমে সিটি করপোরেশন পরিচালনা করা হবে। এখানে বৈষম্য-হিংসাত্মক আচরণ থাকবে না।’

প্রধানমন্ত্রী অনুদান দেওয়ায় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তার সুযোগ্যকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে চলছেন। তার নেতৃত্বে সমস্ত বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে শামিল হলেও বরিশালে সে অর্থে কোনো উন্নয়ন হয়নি। অথচ আশপাশে তার উন্নয়নের ছোঁয়া দৃশ্যমান। সারা দেশের মানুষ আজ পদ্মা ও পায়রা সেতুর সুফল ভোগ করছে। শুধু বরিশালবাসী এ থেকে সার্বিকভাবে বঞ্চিত রয়েছে। আমি কথা দিচ্ছি, এই সুফল পেতে যা যা করণীয় সবকিছু করব।’

খায়ের আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই, বরিশাল সিটি করপোরেশন হবে একটি উন্মুক্ত সিটি করপোরেশন। সিনিয়র সিটিজেনদের সেবা নিশ্চিত করা হবে এখানে। বাণিজ্যিক সব সুযোগ-সুবিধা আমরা গড়ে তুলব। যে পবিত্র দায়িত্বভার আমি গ্রহণ করলাম, তা সততা ও পবিত্রতার সঙ্গে পালন করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

মেয়র খোকন বলেন, আমি দুঃখের সঙ্গে উল্লেখ করতে চাই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে সামিল হলেও বরিশাল নগরী পশ্চাৎপদ। তবে বরিশালবাসীর দুঃখ-দুর্দশার কথা অনুধাবন করে আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগেই নেত্রী আটশ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। বরিশালবাসীর পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে অভিষেক অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, বরিশাল ২ আসনের সংসদ সদস্য শাহে আলম, ৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুবিনা মীরা, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হাফিজ মল্লিক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বরিশাল নগর ছাড়াও জেলা-উপজেলা থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ, পেশাজীবী সংগঠনের নেতা, সিটি করপোরেশন নতুন পরিষদের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।