Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্যায় সাঁকো ভেসে যাওয়ায় নৌকাই ভরসা

বন্যায় ভেসে যাওয়া সাঁকো

কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের চলাচলের মাধ্যম ছিল একটি কাঠের সাঁকো। বন্যায় সেই সাঁকোটি ভেসে গেছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা গ্রামে তিস্তার শাখা বুড়াই নদীর উপর নির্মিত কাঁঠের সাঁকোটি ভেসে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ। তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা এখন নৌকা।

এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, দুই সপ্তাহ আগে বন্যার পানির স্রোতে সাঁকোটি ভেসে গেছে। জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় শিক্ষক আবদুল মান্নান বলেন, অন্তত ২০ বছর ধরে স্থানীয় লোকজন চাঁদা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের ওই সাঁকোটি নির্মাণ করে। তবে উপজেলার খোদ্দা ও লাঠশালার চরে বেক্সিমকো কোম্পানির নির্মাণাধীন পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পের কর্মকর্তাদের চলাচলের জন্য তারা ২০১৮ সালে কাঁঠের সাঁকো নির্মাণ করে। সেই সুবিধা ভোগ করে চরবাসী চলাচল করতেন।

আরও পড়ুন : ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ৩

ব্যবসায়ী যুগল চন্দ্র বলেন, সাঁকো ভেঙে ভেসে যাওয়ায় কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে সাঁকোটি নির্মাণ করা দরকার।

তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, তিনি এলাকা ঘুরে দেখেছেন। এখন পানি বেশি এবং নদীতে তীব্র স্রোত রয়েছে। সে কারণে কাজে হাত দিতে দেরি হচ্ছে। তবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই মেরামত সম্পন্ন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী লুতফুল হাসান জানান, এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘবে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বন্যায় সাঁকো ভেসে যাওয়ায় নৌকাই ভরসা

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০২০

কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের চলাচলের মাধ্যম ছিল একটি কাঠের সাঁকো। বন্যায় সেই সাঁকোটি ভেসে গেছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা গ্রামে তিস্তার শাখা বুড়াই নদীর উপর নির্মিত কাঁঠের সাঁকোটি ভেসে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ। তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা এখন নৌকা।

এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, দুই সপ্তাহ আগে বন্যার পানির স্রোতে সাঁকোটি ভেসে গেছে। জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় শিক্ষক আবদুল মান্নান বলেন, অন্তত ২০ বছর ধরে স্থানীয় লোকজন চাঁদা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের ওই সাঁকোটি নির্মাণ করে। তবে উপজেলার খোদ্দা ও লাঠশালার চরে বেক্সিমকো কোম্পানির নির্মাণাধীন পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পের কর্মকর্তাদের চলাচলের জন্য তারা ২০১৮ সালে কাঁঠের সাঁকো নির্মাণ করে। সেই সুবিধা ভোগ করে চরবাসী চলাচল করতেন।

আরও পড়ুন : ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ৩

ব্যবসায়ী যুগল চন্দ্র বলেন, সাঁকো ভেঙে ভেসে যাওয়ায় কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে সাঁকোটি নির্মাণ করা দরকার।

তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, তিনি এলাকা ঘুরে দেখেছেন। এখন পানি বেশি এবং নদীতে তীব্র স্রোত রয়েছে। সে কারণে কাজে হাত দিতে দেরি হচ্ছে। তবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই মেরামত সম্পন্ন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী লুতফুল হাসান জানান, এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘবে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।