Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বড় হার টাইগ্রেসদের, সিরিজ সমতায় ভারত

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২৬:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩
  • ১৯৫ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ালো হারমানপ্রিত কউরের দল। শুধু ঘুরে দাঁড়ানোই নয়, স্বাগতিকদের রীতিমত নাকাল করে ছাড়লো সফরকারী দল। বড় হারে বাংলাদেশের জন্য বাড়লো সিরিজ জেতার অপেক্ষা।

বুধবার (১৯ জুলাই) মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে বাংলাদেশ নারী দলকে ১০৮ রানে হারিয়েছে ভারত। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রানের সংগ্রহ পায় সফরকারী দল। জবাব দিতে নেমে ১২০ রানেই থামে স্বাগতিকরা। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে সফরকারী দল। একই ভেন্যুতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ২২ জুলাই।

তিন টি-টোয়েন্টি ও প্রথম ওয়ানডে খেলা হয়েছিল একই উইকেটে, এবার বদলে যায় সেটি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এদিন পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মারুফা আক্তার। অফ স্ট্যাম্পের বেশ বাইরে পড়ে তার বল সুইং করে ভেতরে ঢোকে, কিছুই করার ছিল না ব্যাটারের। ১ চারে ১৩ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান প্রিয়া পুনিয়া।

বাংলাদেশকে পরের উইকেটও এনে দেন মারুফা, এবার অবশ্য ফিল্ডারের ভূমিকায়। তার বলে সোজা খেলেছিলেন স্মৃতি মান্ধানা। মারুফার হাত ছুয়ে বল লাগে স্ট্যাম্পে। নন স্ট্রাইকে থাকা ইয়াস্তিকা ভাটিয়া ক্রিজে ছিলেন না, ৩ চারে ২৩ বলে ১৫ রান করে আউট হয়ে যান তিনি।

এরপর হারমানপ্রিত কৌরের সঙ্গে ২৮ রান যোগ করে আউট হয়ে যান স্মৃতিও। দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে ফেরান তরুণ লেগ স্পিনার রাবেয়া খাতুন। স্মৃতি এগিয়ে এলেও লেন্থ বুঝতে পারেননি, সুইং করে বল লাগে স্ট্যাম্পে। ৪ চারে ৫৮ বলে ৩৬ রান করে আউট হন স্মৃতি।

জেমাইমা রদ্রিগেজকে নিয়ে এরপর দলকে এগিয়ে নেন হারমানপ্রিত। ৯১ বলে তাদের ৭৩ রানের জুটি অবশ্য ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। হাতে ব্যথা পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হন হারমান, তখন বিচ্ছেদ হয় তাদের। মাঝে এক উইকেট বিরতি দিয়ে অবশ্য তারা আবারও জুটি গড়েন।

৩৬ বলে ২৫ রান করে হারলিন দেওল আউট হয়ে গেলে ফের ব্যাটিংয়ে নামেন হারমানপ্রিত। পরের জুটিতে ১৫ বলে ২৫ রান করেন দুজন। তাদের এই ঝড়ো জুটিতে রানও বড় হয় ভারতের। ৯ চারে ৭৮ বলে ৮৬ রান করে নাহিদার বলে জেমাইমা স্ট্যাম্পড হলে ভাঙে এই জুটি। ৩ চারে ৮৮ বলে ৫২ রান করেন হারমান। বাংলাদেশের পক্ষে দুই উইকেট করে নেন সুলতানা খাতুন ও নাহিদা আক্তার।

জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ৯ বলে ২ রান করে আউট হয়ে যান উদ্বোধনী ব্যাটার শারমিন আক্তার সুপ্তা। দীপ্তি শর্মার বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ১৯ বলে ১২ রান করে মেঘনা সিংয়ের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। একাদশে ফেরা লতা মণ্ডলও ফেরেন দ্রুতই।

২৩ বল খেলে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান এই ব্যাটার। স্নেহা রানার বলে হন বোল্ড। ৩৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ আশা দেখছিল ফারজানা হক ও রিতু মণির জুটিতে। কিন্তু তাদের জুটি ভাঙতেই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ১৪ রানে শেষ সাত উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ, এর মধ্যে তিনটি ছিল স্ট্যাম্পিং।

শুরুটা হয় ফারজানাকে দিয়ে। দেবিকা ভাদিয়ার বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হওয়ার আগে ৫ চারে ৮১ বলে ৪৭ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। এরপর ৪৬ বলে ২৭ রানে আউট রিতু, তিনি ফেরেন জেমাইমা রদ্রিগেজের বলে। এ দুজনই দলের সেরা দুই রান সংগ্রাহক। পরের সাত ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ভারতের পক্ষে কেবল ৩ ওভার ১ বল হাত ঘুরিয়েই ৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন জেমাইমা। তিন উইকেট নেন দেবিকাও।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

বড় হার টাইগ্রেসদের, সিরিজ সমতায় ভারত

প্রকাশের সময় : ০৫:২৬:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ালো হারমানপ্রিত কউরের দল। শুধু ঘুরে দাঁড়ানোই নয়, স্বাগতিকদের রীতিমত নাকাল করে ছাড়লো সফরকারী দল। বড় হারে বাংলাদেশের জন্য বাড়লো সিরিজ জেতার অপেক্ষা।

বুধবার (১৯ জুলাই) মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে বাংলাদেশ নারী দলকে ১০৮ রানে হারিয়েছে ভারত। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রানের সংগ্রহ পায় সফরকারী দল। জবাব দিতে নেমে ১২০ রানেই থামে স্বাগতিকরা। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে সফরকারী দল। একই ভেন্যুতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ২২ জুলাই।

তিন টি-টোয়েন্টি ও প্রথম ওয়ানডে খেলা হয়েছিল একই উইকেটে, এবার বদলে যায় সেটি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এদিন পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মারুফা আক্তার। অফ স্ট্যাম্পের বেশ বাইরে পড়ে তার বল সুইং করে ভেতরে ঢোকে, কিছুই করার ছিল না ব্যাটারের। ১ চারে ১৩ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান প্রিয়া পুনিয়া।

বাংলাদেশকে পরের উইকেটও এনে দেন মারুফা, এবার অবশ্য ফিল্ডারের ভূমিকায়। তার বলে সোজা খেলেছিলেন স্মৃতি মান্ধানা। মারুফার হাত ছুয়ে বল লাগে স্ট্যাম্পে। নন স্ট্রাইকে থাকা ইয়াস্তিকা ভাটিয়া ক্রিজে ছিলেন না, ৩ চারে ২৩ বলে ১৫ রান করে আউট হয়ে যান তিনি।

এরপর হারমানপ্রিত কৌরের সঙ্গে ২৮ রান যোগ করে আউট হয়ে যান স্মৃতিও। দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে ফেরান তরুণ লেগ স্পিনার রাবেয়া খাতুন। স্মৃতি এগিয়ে এলেও লেন্থ বুঝতে পারেননি, সুইং করে বল লাগে স্ট্যাম্পে। ৪ চারে ৫৮ বলে ৩৬ রান করে আউট হন স্মৃতি।

জেমাইমা রদ্রিগেজকে নিয়ে এরপর দলকে এগিয়ে নেন হারমানপ্রিত। ৯১ বলে তাদের ৭৩ রানের জুটি অবশ্য ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। হাতে ব্যথা পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হন হারমান, তখন বিচ্ছেদ হয় তাদের। মাঝে এক উইকেট বিরতি দিয়ে অবশ্য তারা আবারও জুটি গড়েন।

৩৬ বলে ২৫ রান করে হারলিন দেওল আউট হয়ে গেলে ফের ব্যাটিংয়ে নামেন হারমানপ্রিত। পরের জুটিতে ১৫ বলে ২৫ রান করেন দুজন। তাদের এই ঝড়ো জুটিতে রানও বড় হয় ভারতের। ৯ চারে ৭৮ বলে ৮৬ রান করে নাহিদার বলে জেমাইমা স্ট্যাম্পড হলে ভাঙে এই জুটি। ৩ চারে ৮৮ বলে ৫২ রান করেন হারমান। বাংলাদেশের পক্ষে দুই উইকেট করে নেন সুলতানা খাতুন ও নাহিদা আক্তার।

জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ৯ বলে ২ রান করে আউট হয়ে যান উদ্বোধনী ব্যাটার শারমিন আক্তার সুপ্তা। দীপ্তি শর্মার বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ১৯ বলে ১২ রান করে মেঘনা সিংয়ের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। একাদশে ফেরা লতা মণ্ডলও ফেরেন দ্রুতই।

২৩ বল খেলে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান এই ব্যাটার। স্নেহা রানার বলে হন বোল্ড। ৩৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ আশা দেখছিল ফারজানা হক ও রিতু মণির জুটিতে। কিন্তু তাদের জুটি ভাঙতেই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ১৪ রানে শেষ সাত উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ, এর মধ্যে তিনটি ছিল স্ট্যাম্পিং।

শুরুটা হয় ফারজানাকে দিয়ে। দেবিকা ভাদিয়ার বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হওয়ার আগে ৫ চারে ৮১ বলে ৪৭ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। এরপর ৪৬ বলে ২৭ রানে আউট রিতু, তিনি ফেরেন জেমাইমা রদ্রিগেজের বলে। এ দুজনই দলের সেরা দুই রান সংগ্রাহক। পরের সাত ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ভারতের পক্ষে কেবল ৩ ওভার ১ বল হাত ঘুরিয়েই ৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন জেমাইমা। তিন উইকেট নেন দেবিকাও।