Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বড় দল হিসেবে বিএনপির স্যাক্রিফাইসটাও বেশি : তারেক রহমান

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : 

দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশের বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির স্যাক্রিফাইসটাও বেশি বলে দাবি করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বুধবার (২ জুলাই) পটুয়াখালী জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপির সব ক্ষমতার উৎস জনগণ। দল হিসেবে আমাদের নীতি ও আদর্শ নিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে। আমাদের নেতাকর্মীদের বলছি, জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকেই পাশে রাখুন।

তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। বড় হলে সমস্যাও বেশি, দায়িত্ব অনেক, স্যাক্রিফাইসটাও বেশি। গণতন্ত্র যখনই হুমকির মুখে পড়েছে, তখনই বিএনপি রাজপথে নেমেছে, এই ঐতিহ্যকে সামনে রেখেই দলকে আরও সুসংগঠিত করা হচ্ছে।

তারেক বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তি যদি শক্ত করতে হয়, তবে বিএনপিকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ভিন্নমতকে সহনশীলতা ও সম্মান দেখিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোই হবে দলের পথ।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাজনৈতিক সংস্কারের প্রস্তাব বিএনপি আগেই দিয়েছে। তারপরও অন্তর্বর্তী সরকারের ঐকমত্য কমিশনেও অনেক ছাড় দিয়েছে বিএনপি। অনেক বিষয়ে একমত না হলেও গণতন্ত্রের স্বার্থে ছাড় দিয়েছে বিএনপি। যেন সবাই নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যায়।

বিএনপির গণতান্ত্রিক চর্চার প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্রের চর্চা আমরা শুধু রাষ্ট্রে নয়, দলের মধ্যেও বজায় রাখতে চাই। গণতন্ত্রে বিশ্বাস বলেই আমরা ভিন্নমতকে গুরুত্ব দিই, শুনি এবং সমাধানের চেষ্টা করি।’

দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একজনের অপকর্মের দায় যেন পুরো দলকে না বহন করতে হয়। দলের সুনাম নষ্ট হয় এমন কাজ থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা ও তাদের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করাই হবে দলের মূল দায়িত্ব।

খুব শিগগিরই দেশে ফেরার আশা প্রকাশ তারেক রহমান মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে যাতে কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, কিছু কিছু সংস্কার প্রস্তাবের সাথে বিএনপি একমত নয়। তবুও গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে দলটি অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়েছে। কারণ বড় দল হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব বেশি।

তারেক রহমান বলেন, সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করছে সরকার। প্রত্যেকটি দলেরই নিজস্ব আদর্শ ও লক্ষ্য রয়েছে। কিছু মিডিয়ার বিএনপি সংস্কার মানছে না, এমনটা বলা হচ্ছে। কিন্তু সত্যটা হলো সংস্কার প্রশ্নে বিএনপি অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়েছে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র মানেই মতপার্থক্য থাকবে। বড় দল হিসেবে একমত না হলেও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে সম্মান দিতে হবে। দলগুলোর সাথে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। গণতন্ত্রের জন্য সহনশীলতা থাকতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আমরা যদি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই, তাহলে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আমরা কৃষকদের জন্য কী করবো, শিক্ষার্থীদের জন্য কী করবো, নারীদের জন্য কী করবো, দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিচার ও আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে কীভাবে ঢেলে সাজাবো- এসব প্রশ্নের জবাব আমাদের কাছে থাকতে হবে। তা জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপির সব রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস জনগণ- এই শিক্ষাই আমাদের দিয়ে গেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি আমাদের বলে গেছেন, আমাদের দেখিয়ে গেছেন। আমরা জানি, বুঝি, বহুবার তা প্রমাণিত হয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, আমাদের দলের নীতি, আদর্শ, লক্ষ্য বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা- এগুলো শুধু নিজেদের মধ্যে রাখলেই চলবে না, এগুলো নিয়ে যেতে হবে জনগণের কাছে। আজ যেমন আপনারা কাউন্সিলর হিসেবে এখানে একত্রিত হয়েছেন, ঠিক তেমনই বাংলাদেশের জনগণই আমাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে মূল ভূমিকা রাখে।

তিনি বলেন, আমরা যদি দেশের রাজনীতির দিকে তাকাই, তাহলে বুঝি- আসন্ন জাতীয় নির্বাচনেও জনগণের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি সবসময় জনগণের প্রত্যাশার নির্বাচন চায়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মানুষ যখন জানে আপনি বিএনপির নেতা অথবা কর্মী, তখন সাধারণ মানুষের মধ্যে আপনার প্রতি একটি প্রত্যাশা জন্ম নেয়। আমাদের সেই প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই চলতে হবে। আমি বিভিন্ন সময়ে বলেছি, জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণের সঙ্গে থাকুক, জনগণকে সঙ্গে রাখুন। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমাদের মূল দায়িত্ব হলো জনগণকে খুশি রাখা এবং তাদের সমর্থন ধরে রাখা।

তিনি আরও বলেন, গত এক বছর আগেও এই দিনে স্বৈরাচার আমাদের ঘাড়ের ওপর চেপে বসেছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষ সেই স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছে। কারণ জনগণ যেমন চেয়েছিল, তাদের দল থেকে নেতাকর্মীরা তেমনভাবে কেউ কথা বলেনি, কাজ করেনি। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না করায় তাদের আজ এই পরিণতি। তাই আমাদের মূল দায়িত্ব মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করা।

তারেক রহমান নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, আপনি যদি এলাকায় এমন কোনো কাজ করেন, যা সাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করে না, তাহলে তার নেতিবাচক প্রভাব বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকেই ভোগ করতে হবে। শহীদ জিয়ার সৈনিক হিসেবে আমরা এমন কোনো কাজ করবো না, যেটা সাধারণ মানুষকে আমাদের ওপর বিরক্ত করে।

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টির সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

বড় দল হিসেবে বিএনপির স্যাক্রিফাইসটাও বেশি : তারেক রহমান

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৮:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : 

দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশের বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির স্যাক্রিফাইসটাও বেশি বলে দাবি করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বুধবার (২ জুলাই) পটুয়াখালী জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপির সব ক্ষমতার উৎস জনগণ। দল হিসেবে আমাদের নীতি ও আদর্শ নিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে। আমাদের নেতাকর্মীদের বলছি, জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকেই পাশে রাখুন।

তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। বড় হলে সমস্যাও বেশি, দায়িত্ব অনেক, স্যাক্রিফাইসটাও বেশি। গণতন্ত্র যখনই হুমকির মুখে পড়েছে, তখনই বিএনপি রাজপথে নেমেছে, এই ঐতিহ্যকে সামনে রেখেই দলকে আরও সুসংগঠিত করা হচ্ছে।

তারেক বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তি যদি শক্ত করতে হয়, তবে বিএনপিকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ভিন্নমতকে সহনশীলতা ও সম্মান দেখিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোই হবে দলের পথ।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাজনৈতিক সংস্কারের প্রস্তাব বিএনপি আগেই দিয়েছে। তারপরও অন্তর্বর্তী সরকারের ঐকমত্য কমিশনেও অনেক ছাড় দিয়েছে বিএনপি। অনেক বিষয়ে একমত না হলেও গণতন্ত্রের স্বার্থে ছাড় দিয়েছে বিএনপি। যেন সবাই নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যায়।

বিএনপির গণতান্ত্রিক চর্চার প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্রের চর্চা আমরা শুধু রাষ্ট্রে নয়, দলের মধ্যেও বজায় রাখতে চাই। গণতন্ত্রে বিশ্বাস বলেই আমরা ভিন্নমতকে গুরুত্ব দিই, শুনি এবং সমাধানের চেষ্টা করি।’

দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একজনের অপকর্মের দায় যেন পুরো দলকে না বহন করতে হয়। দলের সুনাম নষ্ট হয় এমন কাজ থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা ও তাদের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করাই হবে দলের মূল দায়িত্ব।

খুব শিগগিরই দেশে ফেরার আশা প্রকাশ তারেক রহমান মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে যাতে কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, কিছু কিছু সংস্কার প্রস্তাবের সাথে বিএনপি একমত নয়। তবুও গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে দলটি অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়েছে। কারণ বড় দল হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব বেশি।

তারেক রহমান বলেন, সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করছে সরকার। প্রত্যেকটি দলেরই নিজস্ব আদর্শ ও লক্ষ্য রয়েছে। কিছু মিডিয়ার বিএনপি সংস্কার মানছে না, এমনটা বলা হচ্ছে। কিন্তু সত্যটা হলো সংস্কার প্রশ্নে বিএনপি অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়েছে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র মানেই মতপার্থক্য থাকবে। বড় দল হিসেবে একমত না হলেও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে সম্মান দিতে হবে। দলগুলোর সাথে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। গণতন্ত্রের জন্য সহনশীলতা থাকতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আমরা যদি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই, তাহলে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আমরা কৃষকদের জন্য কী করবো, শিক্ষার্থীদের জন্য কী করবো, নারীদের জন্য কী করবো, দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিচার ও আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে কীভাবে ঢেলে সাজাবো- এসব প্রশ্নের জবাব আমাদের কাছে থাকতে হবে। তা জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপির সব রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস জনগণ- এই শিক্ষাই আমাদের দিয়ে গেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি আমাদের বলে গেছেন, আমাদের দেখিয়ে গেছেন। আমরা জানি, বুঝি, বহুবার তা প্রমাণিত হয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, আমাদের দলের নীতি, আদর্শ, লক্ষ্য বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা- এগুলো শুধু নিজেদের মধ্যে রাখলেই চলবে না, এগুলো নিয়ে যেতে হবে জনগণের কাছে। আজ যেমন আপনারা কাউন্সিলর হিসেবে এখানে একত্রিত হয়েছেন, ঠিক তেমনই বাংলাদেশের জনগণই আমাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে মূল ভূমিকা রাখে।

তিনি বলেন, আমরা যদি দেশের রাজনীতির দিকে তাকাই, তাহলে বুঝি- আসন্ন জাতীয় নির্বাচনেও জনগণের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি সবসময় জনগণের প্রত্যাশার নির্বাচন চায়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মানুষ যখন জানে আপনি বিএনপির নেতা অথবা কর্মী, তখন সাধারণ মানুষের মধ্যে আপনার প্রতি একটি প্রত্যাশা জন্ম নেয়। আমাদের সেই প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই চলতে হবে। আমি বিভিন্ন সময়ে বলেছি, জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণের সঙ্গে থাকুক, জনগণকে সঙ্গে রাখুন। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমাদের মূল দায়িত্ব হলো জনগণকে খুশি রাখা এবং তাদের সমর্থন ধরে রাখা।

তিনি আরও বলেন, গত এক বছর আগেও এই দিনে স্বৈরাচার আমাদের ঘাড়ের ওপর চেপে বসেছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষ সেই স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছে। কারণ জনগণ যেমন চেয়েছিল, তাদের দল থেকে নেতাকর্মীরা তেমনভাবে কেউ কথা বলেনি, কাজ করেনি। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না করায় তাদের আজ এই পরিণতি। তাই আমাদের মূল দায়িত্ব মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করা।

তারেক রহমান নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, আপনি যদি এলাকায় এমন কোনো কাজ করেন, যা সাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করে না, তাহলে তার নেতিবাচক প্রভাব বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকেই ভোগ করতে হবে। শহীদ জিয়ার সৈনিক হিসেবে আমরা এমন কোনো কাজ করবো না, যেটা সাধারণ মানুষকে আমাদের ওপর বিরক্ত করে।

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টির সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান।