Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বড় জয়ে ফের শীর্ষে ভারত

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৮৬ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপের ২৯তম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১০০ রানে হারিয়ে টানা ৬ষ্ঠ জয়ে তুলে নিয়েছে ভারত। আগে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক রোহিত শর্মার ৮৭ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ২২৯ রানের পুঁজি পায় ভারত। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের তাণ্ডবে ৯১ বল বাকি থাকতেই মাত্র ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করলো রোহিত শর্মার দল। অন্যদিকে, টানা ৪ ম্যাচ হেরে সেমির আশা প্রায় শেষ বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। সবার আগে তাদের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হলো। আর সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো ভারত।

২৩০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে ইংল্যান্ড। যশপ্রীত বুমরার প্রথম ওভারে চার রান তুলতে পেরেছিল জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালানের উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে মালান ছয়, চার মেরে আগ্রাসী সূচনার ইঙ্গিত দেন। ওই ওভারে ১৩ রান আদায় করে ইংল্যান্ড। পরের দুই ওভারে দুজনের আঁটসাট বোলিংয়ে ৯ রান তোলে তারা।

বুমরার তৃতীয় ওভারে ধস শুরু। পঞ্চম বলে স্কয়ার কাট করতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন মালান (১৬)। জো রুট নেমেই এলবিডব্লিউ। রিভিউ নিলেও ডাক মারার লজ্জা পেতে হয় তাকে।

বেয়ারস্টো ও বেন স্টোকস তো ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বল থেকে নবম ওভারের প্রথম বল পর্যন্ত রানই করতে পারেনি। টানা ১৭ বল ডট দিয়ে একটি উইকেটও নেয় ভারত।

অষ্টম ওভারে মোহাম্মদ শামির শেষ বলে রানের খাতা না খুলে বোল্ড হন স্টোকস। ১৩ রানে বিরাট কোহলির হাত ফসকে জীবন পাওয়া বেয়ারস্টো (১৪) ভারতের এই পেসারের পরের ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হন। শামির হ্যাটট্রিক প্রচেষ্টা রুখে দেন মঈন আলী। ৩৯ রানে চার উইকেট হারায় ইংলিশরা। এই বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার পাওয়ার প্লের মধ্যে চার উইকেট পড়লো তাদের।

অধিনায়ক জস বাটলার ও মঈনের জুটি টিকে ছিল ১৬তম ওভার পর্যন্ত। কুলদীপ যাদব ১০ রানে বাটলারকে বোল্ড করেন।

লিয়াম লিভিংস্টোনকে নিয়ে দাঁত কামড়ে ক্রিজে পড়ে ছিলেন মঈন। শামি দ্বিতীয় স্পেলের বল হাতে নিয়ে তাকে ১৫ রানে লোকেশ রাহুলের ক্যাচ বানান।

৮১ রানে ৬ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ক্রিস ওকস ও লিভিংস্টোনের প্রতিরোধ ভাঙেন রবীন্দ্র জাদেজা। ১০ রান করে ওকস রাহুলের দক্ষতায় স্টাম্পিং হন। ৮ বলের মধ্যে লিভিংস্টোনকেও থামতে হয়, ২৭ রান করে কুলদীপের কাছে এলবিডব্লিউ হন। ৯৮ রানে ৮ উইকেট হারায় ইংলিশরা।

হারানোর কিছু ছিল না। ১৮২ বল পর ছক্কা মারেন ডেভিড উইলি। আদিল রশিদ ৩৪তম ওভারে বল বুঝে দুটি চার মারেন শামিকে। ভারতীয় পেসার তার প্রায়শ্চিত্ত করেন শেষ বলে ইংলিশ ব্যাটারের স্টাম্প উড়িয়ে। ১৩ রান করেন রশিদ।

পরের ওভারে বুমরা মার্ক উডকে বোল্ড করে জয় নিশ্চিত করেন। ১২৯ রানে ইংল্যান্ডকে অলআউট করে ভারত জেতে ১০০ রানে। বিশ্বকাপে ৫৯তম জয়ে নিউজিল্যান্ডকে পেছনে ফেললো রোহিতের দল। ৭৩ জয় নিয় সবার উপরে অস্ট্রেলিয়া। এই প্রথমবার ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে টানা চার ম্যাচ হারলো।

ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ শামি। এছাড়াও তিনটি উইকেট নেন জাসপ্রিত বুমরাহ। কুলদীপ যাদব নেন ২টি এবং রবীন্দ্র জাদেজা পান ১টি উইকেট।

এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ভারতীয় দুই ওপেনারকে চাপে রাখে ইংলিশ পেসাররা। প্রথম ২ ওভারে ভারত আজ নিতে পেরেছে মাত্র ৪ রান। এরপর তাণ্ডব চালান রোহিত শর্মা। কিন্তু নিজেদের ওপেনিং জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি। দলীয় ২৬ রানে শুভমান গিলের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ১৩ বলে ৯ রান করা শুভমান গিল ক্রিস ওকসের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন।

ক্রিজে এসে হতাশ করেছেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা ভিরাট কোহলি। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ডেভিড উইলির বলে মিড অফে বেন স্টোকসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন কোহলি। ৪ নম্বরে ব্যাট করতে আসা শ্রেয়াস আইয়ারও দলের হাল ধরতে পারেননি। মাত্র ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ক্রিস ওকসের শর্ট লেন্থের বলে টপ এজ হয়ে মার্ক উডের হাটে ধরা পড়েন শ্রেয়াস। ফলে মাত্র ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রোহিত শর্মার দল।

৫ম উইকেট জুটিতে রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের ব্যাটে শুরুর এই ধাক্কা সামাল দেয় ভারত। এই দুই ব্যাটার মিলে ৮৯ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১৩১ রানে ৫৮ বলে ৩৯ রান করে আউট হন রাহুল। ডেভিড উইলির গুড লেন্থের ডেলিভারিতে পুল শট খেলতে গিয়ে টপ এজ হয়ে মিড অনে দাঁড়িয়ে থাকা জনি বেয়ারস্টোর হাটে ধরা পড়েন তিনি। ক্যারিয়ারের ৫৪তম ফিফটি তুলে নেয়ার পর সেঞ্চুরির পথেই এগোচ্ছিলেন রোহিত। কিন্তু আদিল রশিদের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লিয়াম লিভিংস্টোনের হাতে ধরা পড়েন এ ডানহাতি ব্যাটার। ১০১ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৭ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক।

রোহিতের বিদায়ের পর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারায় ভারত। আদিল রশিদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন রবীন্দ্র জাদেজা। ক্রিজে এসেই মার্ক উডের বলে জস বাটলারের হাটে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ শামি। এরপর সুরিয়া কুমার যাদবের দৃঢ়তায় ২০০ পার করে। সঙ্গে জাসপ্রিত বুমরাহও (১৬) অবদান রাখেন। ৪৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রানে ফেরেন সুরিয়া। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৯ রান সংগ্রহ করে ভারত। ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন ডেভিড উইলি। এছাড়াও ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ শিকার করেন দু’টি করে উইকেট। মার্ক উড নেন ১টি উইকেট।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

বড় জয়ে ফের শীর্ষে ভারত

প্রকাশের সময় : ১১:৩৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপের ২৯তম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১০০ রানে হারিয়ে টানা ৬ষ্ঠ জয়ে তুলে নিয়েছে ভারত। আগে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক রোহিত শর্মার ৮৭ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ২২৯ রানের পুঁজি পায় ভারত। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের তাণ্ডবে ৯১ বল বাকি থাকতেই মাত্র ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করলো রোহিত শর্মার দল। অন্যদিকে, টানা ৪ ম্যাচ হেরে সেমির আশা প্রায় শেষ বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। সবার আগে তাদের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হলো। আর সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো ভারত।

২৩০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে ইংল্যান্ড। যশপ্রীত বুমরার প্রথম ওভারে চার রান তুলতে পেরেছিল জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালানের উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে মালান ছয়, চার মেরে আগ্রাসী সূচনার ইঙ্গিত দেন। ওই ওভারে ১৩ রান আদায় করে ইংল্যান্ড। পরের দুই ওভারে দুজনের আঁটসাট বোলিংয়ে ৯ রান তোলে তারা।

বুমরার তৃতীয় ওভারে ধস শুরু। পঞ্চম বলে স্কয়ার কাট করতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন মালান (১৬)। জো রুট নেমেই এলবিডব্লিউ। রিভিউ নিলেও ডাক মারার লজ্জা পেতে হয় তাকে।

বেয়ারস্টো ও বেন স্টোকস তো ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বল থেকে নবম ওভারের প্রথম বল পর্যন্ত রানই করতে পারেনি। টানা ১৭ বল ডট দিয়ে একটি উইকেটও নেয় ভারত।

অষ্টম ওভারে মোহাম্মদ শামির শেষ বলে রানের খাতা না খুলে বোল্ড হন স্টোকস। ১৩ রানে বিরাট কোহলির হাত ফসকে জীবন পাওয়া বেয়ারস্টো (১৪) ভারতের এই পেসারের পরের ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হন। শামির হ্যাটট্রিক প্রচেষ্টা রুখে দেন মঈন আলী। ৩৯ রানে চার উইকেট হারায় ইংলিশরা। এই বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার পাওয়ার প্লের মধ্যে চার উইকেট পড়লো তাদের।

অধিনায়ক জস বাটলার ও মঈনের জুটি টিকে ছিল ১৬তম ওভার পর্যন্ত। কুলদীপ যাদব ১০ রানে বাটলারকে বোল্ড করেন।

লিয়াম লিভিংস্টোনকে নিয়ে দাঁত কামড়ে ক্রিজে পড়ে ছিলেন মঈন। শামি দ্বিতীয় স্পেলের বল হাতে নিয়ে তাকে ১৫ রানে লোকেশ রাহুলের ক্যাচ বানান।

৮১ রানে ৬ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ক্রিস ওকস ও লিভিংস্টোনের প্রতিরোধ ভাঙেন রবীন্দ্র জাদেজা। ১০ রান করে ওকস রাহুলের দক্ষতায় স্টাম্পিং হন। ৮ বলের মধ্যে লিভিংস্টোনকেও থামতে হয়, ২৭ রান করে কুলদীপের কাছে এলবিডব্লিউ হন। ৯৮ রানে ৮ উইকেট হারায় ইংলিশরা।

হারানোর কিছু ছিল না। ১৮২ বল পর ছক্কা মারেন ডেভিড উইলি। আদিল রশিদ ৩৪তম ওভারে বল বুঝে দুটি চার মারেন শামিকে। ভারতীয় পেসার তার প্রায়শ্চিত্ত করেন শেষ বলে ইংলিশ ব্যাটারের স্টাম্প উড়িয়ে। ১৩ রান করেন রশিদ।

পরের ওভারে বুমরা মার্ক উডকে বোল্ড করে জয় নিশ্চিত করেন। ১২৯ রানে ইংল্যান্ডকে অলআউট করে ভারত জেতে ১০০ রানে। বিশ্বকাপে ৫৯তম জয়ে নিউজিল্যান্ডকে পেছনে ফেললো রোহিতের দল। ৭৩ জয় নিয় সবার উপরে অস্ট্রেলিয়া। এই প্রথমবার ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে টানা চার ম্যাচ হারলো।

ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ শামি। এছাড়াও তিনটি উইকেট নেন জাসপ্রিত বুমরাহ। কুলদীপ যাদব নেন ২টি এবং রবীন্দ্র জাদেজা পান ১টি উইকেট।

এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ভারতীয় দুই ওপেনারকে চাপে রাখে ইংলিশ পেসাররা। প্রথম ২ ওভারে ভারত আজ নিতে পেরেছে মাত্র ৪ রান। এরপর তাণ্ডব চালান রোহিত শর্মা। কিন্তু নিজেদের ওপেনিং জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি। দলীয় ২৬ রানে শুভমান গিলের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ১৩ বলে ৯ রান করা শুভমান গিল ক্রিস ওকসের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন।

ক্রিজে এসে হতাশ করেছেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা ভিরাট কোহলি। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ডেভিড উইলির বলে মিড অফে বেন স্টোকসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন কোহলি। ৪ নম্বরে ব্যাট করতে আসা শ্রেয়াস আইয়ারও দলের হাল ধরতে পারেননি। মাত্র ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ক্রিস ওকসের শর্ট লেন্থের বলে টপ এজ হয়ে মার্ক উডের হাটে ধরা পড়েন শ্রেয়াস। ফলে মাত্র ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রোহিত শর্মার দল।

৫ম উইকেট জুটিতে রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের ব্যাটে শুরুর এই ধাক্কা সামাল দেয় ভারত। এই দুই ব্যাটার মিলে ৮৯ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১৩১ রানে ৫৮ বলে ৩৯ রান করে আউট হন রাহুল। ডেভিড উইলির গুড লেন্থের ডেলিভারিতে পুল শট খেলতে গিয়ে টপ এজ হয়ে মিড অনে দাঁড়িয়ে থাকা জনি বেয়ারস্টোর হাটে ধরা পড়েন তিনি। ক্যারিয়ারের ৫৪তম ফিফটি তুলে নেয়ার পর সেঞ্চুরির পথেই এগোচ্ছিলেন রোহিত। কিন্তু আদিল রশিদের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লিয়াম লিভিংস্টোনের হাতে ধরা পড়েন এ ডানহাতি ব্যাটার। ১০১ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৭ রান করেন ভারতীয় অধিনায়ক।

রোহিতের বিদায়ের পর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারায় ভারত। আদিল রশিদের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন রবীন্দ্র জাদেজা। ক্রিজে এসেই মার্ক উডের বলে জস বাটলারের হাটে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ শামি। এরপর সুরিয়া কুমার যাদবের দৃঢ়তায় ২০০ পার করে। সঙ্গে জাসপ্রিত বুমরাহও (১৬) অবদান রাখেন। ৪৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রানে ফেরেন সুরিয়া। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৯ রান সংগ্রহ করে ভারত। ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন ডেভিড উইলি। এছাড়াও ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ শিকার করেন দু’টি করে উইকেট। মার্ক উড নেন ১টি উইকেট।