Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বড় জয় দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করলো যুক্তরাষ্ট্র

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
  • ১৯২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

অনেকটা সাদামাটাভাবেই শুরু হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। তবে দিনশেষে মাঠের খেলাই যে আসল, সেটাই যেন আবার প্রমাণ হল৷ প্রথমবারের মতো বিশ্বমঞ্চ মাতাতে এসেই চার-ছক্কার পসরা সাজিয়ে বসল আইসিসির দুই সহযোগী দেশ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে অ্যারন জোন্সের টর্নেডো ইনিংসে চড়ে শুভসূচনা করেছে মার্কিনিরা।

রোববার (২ জুন) ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করে কানাডা। জবাবে ১৪ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রানের খাতা খোলার আগে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন স্টিভেন টেলর। তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন কানাডার পেসার কলিম সানা। এরপর রিভিউ নিলেও তাতে লাভ হয়নি স্বাগতিকদের।

এরপর মোনাঙ্ককে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আন্দ্রেস গাউস। তবে মোনাঙ্কও বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। পাওয়ার প্লে’র পরই প্যাভিলিয়নে ফেরেন যুক্তরাষ্ট্রের এই দলপতি। দলীয় ৪২ রানে হেলিগারের শিকার হয়ে ফেরার আগে ২ বাউন্ডারিতে সাজান ১৬ রানের ইনিংস।

অধিনায়কের বিদায়ের পরেই যেন বদলে যায় যুক্তরাষ্ট্রের ইনিংস। তৃতীয় উইকেটে ৫৫ বলে ১৩১ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথ দেখান গাউস ও অ্যারন জোন্স। গাউস ৪৬ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৫ রান করে বিদায় নেন। তবে কোরি অ্যান্ডারসনকে নিয়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন জোন্স। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ডানহাতি এই ব্যাটার ৪টি বাউন্ডারি ও ১০টি ছক্কা হাঁকান। আর অ্যান্ডারসন ৫ বলে অপরাজিত থাকেন ৩ রানে।

এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় কানাডা। দুই ওপেনার অ্যারন জনসন ও নাভনিত ধালিয়ালের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ইনিংসের পাঁচ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৪৩ রান জড়ো করে তারা। তবে পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে উইকেটের দেখা পায় স্বাগতিক দল। হারমীতের বলে নিতিশ কুমারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫ বাউন্ডারিতে ১৬ বলে ২৩ রানে ফেরেন জনসন।

এরপর ব্যাটিংয়ে আসা প্রাগাত সিংও বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। ৭ বলে মাত্র ৫ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। হঠাৎ জোড়া উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে কানাডা। তবে ধালিয়ালের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে চাপ সামলে নেন নিকোলাস কিরটোন। তাদের ৩৭ বলে ৬২ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন বুনেছিল কানাডা।

এরপর স্বাগতিকদের ত্রাতা হন নিউজিল্যান্ড ছেড়ে আমেরিকায় পাড়ি জমানো কোরি অ্যান্ডারসন। ইনিংসের ১৫তম ওভারে নিজের প্রথম ডেলিভারিতেই ওপেনার ধালিয়ালকে সাজঘরে ফেরান তিনি। লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৩ ছক্কা ও ৬ চারে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ৬১ রান।

এরপর কিছুটা কমে কানাডার রানের গতি। অল্প সময়ের ব্যবধানে আলি খানের বলে অ্যান্ডারসনের মুঠোবন্দি হয়ে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ রান করে কিরটোন ফিরলে ফের চাপে পড়ে কানাডা। শেষদিকে শ্রেয়াস মোভার অপরাজিত ৩২ এবং দিলপ্রীত বাজওয়ার ৫ বলে ১১ রানের ক্যামিওতে ১৯৪ রানে থামে কানাডার ইনিংস।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

বড় জয় দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করলো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ১১:৩৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

অনেকটা সাদামাটাভাবেই শুরু হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। তবে দিনশেষে মাঠের খেলাই যে আসল, সেটাই যেন আবার প্রমাণ হল৷ প্রথমবারের মতো বিশ্বমঞ্চ মাতাতে এসেই চার-ছক্কার পসরা সাজিয়ে বসল আইসিসির দুই সহযোগী দেশ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে অ্যারন জোন্সের টর্নেডো ইনিংসে চড়ে শুভসূচনা করেছে মার্কিনিরা।

রোববার (২ জুন) ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করে কানাডা। জবাবে ১৪ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রানের খাতা খোলার আগে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন স্টিভেন টেলর। তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন কানাডার পেসার কলিম সানা। এরপর রিভিউ নিলেও তাতে লাভ হয়নি স্বাগতিকদের।

এরপর মোনাঙ্ককে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আন্দ্রেস গাউস। তবে মোনাঙ্কও বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। পাওয়ার প্লে’র পরই প্যাভিলিয়নে ফেরেন যুক্তরাষ্ট্রের এই দলপতি। দলীয় ৪২ রানে হেলিগারের শিকার হয়ে ফেরার আগে ২ বাউন্ডারিতে সাজান ১৬ রানের ইনিংস।

অধিনায়কের বিদায়ের পরেই যেন বদলে যায় যুক্তরাষ্ট্রের ইনিংস। তৃতীয় উইকেটে ৫৫ বলে ১৩১ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথ দেখান গাউস ও অ্যারন জোন্স। গাউস ৪৬ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৫ রান করে বিদায় নেন। তবে কোরি অ্যান্ডারসনকে নিয়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন জোন্স। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ডানহাতি এই ব্যাটার ৪টি বাউন্ডারি ও ১০টি ছক্কা হাঁকান। আর অ্যান্ডারসন ৫ বলে অপরাজিত থাকেন ৩ রানে।

এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় কানাডা। দুই ওপেনার অ্যারন জনসন ও নাভনিত ধালিয়ালের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ইনিংসের পাঁচ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৪৩ রান জড়ো করে তারা। তবে পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে উইকেটের দেখা পায় স্বাগতিক দল। হারমীতের বলে নিতিশ কুমারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫ বাউন্ডারিতে ১৬ বলে ২৩ রানে ফেরেন জনসন।

এরপর ব্যাটিংয়ে আসা প্রাগাত সিংও বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। ৭ বলে মাত্র ৫ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। হঠাৎ জোড়া উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে কানাডা। তবে ধালিয়ালের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে চাপ সামলে নেন নিকোলাস কিরটোন। তাদের ৩৭ বলে ৬২ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন বুনেছিল কানাডা।

এরপর স্বাগতিকদের ত্রাতা হন নিউজিল্যান্ড ছেড়ে আমেরিকায় পাড়ি জমানো কোরি অ্যান্ডারসন। ইনিংসের ১৫তম ওভারে নিজের প্রথম ডেলিভারিতেই ওপেনার ধালিয়ালকে সাজঘরে ফেরান তিনি। লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৩ ছক্কা ও ৬ চারে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ৬১ রান।

এরপর কিছুটা কমে কানাডার রানের গতি। অল্প সময়ের ব্যবধানে আলি খানের বলে অ্যান্ডারসনের মুঠোবন্দি হয়ে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ রান করে কিরটোন ফিরলে ফের চাপে পড়ে কানাডা। শেষদিকে শ্রেয়াস মোভার অপরাজিত ৩২ এবং দিলপ্রীত বাজওয়ার ৫ বলে ১১ রানের ক্যামিওতে ১৯৪ রানে থামে কানাডার ইনিংস।