Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবাজারে বিএনপি নাশকতা করেছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে মানুষের স্বপ্ন পুড়ে গেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনও নাশকতা করেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি অগ্নিকাণ্ড নিয়েও রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছে।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর আজিমপুর সরকারি কলোনি মাঠে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ও ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা কি না, আন্দোলনের ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এই ঘটনা ঘটাচ্ছে কি না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। যারা আজ মায়াকান্না করে, তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার দিকে নজর দিয়েছে কি না তা তদন্ত করা দরকার।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, কঠিন সময়ে, পবিত্র ঈদের প্রস্তুতি লগ্নে বঙ্গবাজারে দুঃখজনক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে অনেক মানুষের স্বপ্ন পুড়ে গেছে। অনেক মানুষের অনেক আকাঙ্ক্ষার মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষের প্রিয় বাজার বঙ্গবাজার। অনেক সাধারণ মানুষ ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন। সস্তা মূল্যে কিনতে পারবেন না সেই দুঃখ, সেই বেদনা অনেক মানুষের মাঝে থাকবে।

পবিত্র রমজানে বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রোজার দিনেও তিনশ’ স্থানে রাস্তা অবরোধ করে মানুষকে অতীতের মতো কষ্ট দিচ্ছে বিএনপি। যদি তারা রাস্তা বন্ধ করে এসব অবরোধ করে রোজাদারদের কষ্ট দেয়, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে কোনও প্রকার বিশৃঙ্খলা, অগ্নিসন্ত্রাসের উসকানি দেয়, তাহলে আওয়ামী লীগও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি দেবে।

বিএনপির ‘হাট ভেঙে গেছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, যতই চিৎকার করুক বিএনপির ভাঙা হাট আর জমবে না। বিএনপি হাঁটুভাঙা দল, আর দাঁড়াতে পারবে না। আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এই সংকটের মধ্যেও দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে। শেখ হাসিনা কথা দিয়ে কথা রাখেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনাদের সেই নিরপেক্ষ ব্যক্তি কে? তত্ত্বাবধায়কের নামে ২০০১ সালের মতো, ২০০৬ সালের মতো অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারা চায়। সেই তত্ত্বাবধায়ক বাংলার মানুষ চায় না। নষ্ট রাজনীতি বাদ দিয়ে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান।

বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু হলেও বিএনপি আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করে মন্তব্য করে কাদের বলেন, মানুষ শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে, আগামী নির্বাচনেও জনগণ তাকেই নির্বাচিত করবে। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যে অন্তঃকোন্দল বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, সড়ক নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৪ জনের মধ্যে ২০ জন বাংলাদেশের লোক। এখানে তো আপনারা কোন কথা বলেননি, কাউকে দায়ী করেননি। বিএনপি এমন এক বিরোধী দল, যদি বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু হয়, তাহলে বলবে এটা আওয়ামী লীগ সরকারের দোষ।

লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান জামালের সভাপতিত্বে ইফতারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। পরে সুবিধাভোগীদের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

বঙ্গবাজারে বিএনপি নাশকতা করেছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৭:২৭:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে মানুষের স্বপ্ন পুড়ে গেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনও নাশকতা করেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি অগ্নিকাণ্ড নিয়েও রাজনীতি করার অপচেষ্টা করছে।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর আজিমপুর সরকারি কলোনি মাঠে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ও ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা কি না, আন্দোলনের ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এই ঘটনা ঘটাচ্ছে কি না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। যারা আজ মায়াকান্না করে, তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার দিকে নজর দিয়েছে কি না তা তদন্ত করা দরকার।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, কঠিন সময়ে, পবিত্র ঈদের প্রস্তুতি লগ্নে বঙ্গবাজারে দুঃখজনক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে অনেক মানুষের স্বপ্ন পুড়ে গেছে। অনেক মানুষের অনেক আকাঙ্ক্ষার মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষের প্রিয় বাজার বঙ্গবাজার। অনেক সাধারণ মানুষ ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন। সস্তা মূল্যে কিনতে পারবেন না সেই দুঃখ, সেই বেদনা অনেক মানুষের মাঝে থাকবে।

পবিত্র রমজানে বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রোজার দিনেও তিনশ’ স্থানে রাস্তা অবরোধ করে মানুষকে অতীতের মতো কষ্ট দিচ্ছে বিএনপি। যদি তারা রাস্তা বন্ধ করে এসব অবরোধ করে রোজাদারদের কষ্ট দেয়, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে কোনও প্রকার বিশৃঙ্খলা, অগ্নিসন্ত্রাসের উসকানি দেয়, তাহলে আওয়ামী লীগও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি দেবে।

বিএনপির ‘হাট ভেঙে গেছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, যতই চিৎকার করুক বিএনপির ভাঙা হাট আর জমবে না। বিএনপি হাঁটুভাঙা দল, আর দাঁড়াতে পারবে না। আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এই সংকটের মধ্যেও দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে। শেখ হাসিনা কথা দিয়ে কথা রাখেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনাদের সেই নিরপেক্ষ ব্যক্তি কে? তত্ত্বাবধায়কের নামে ২০০১ সালের মতো, ২০০৬ সালের মতো অস্বাভাবিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারা চায়। সেই তত্ত্বাবধায়ক বাংলার মানুষ চায় না। নষ্ট রাজনীতি বাদ দিয়ে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান।

বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু হলেও বিএনপি আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করে মন্তব্য করে কাদের বলেন, মানুষ শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে, আগামী নির্বাচনেও জনগণ তাকেই নির্বাচিত করবে। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যে অন্তঃকোন্দল বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, সড়ক নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৪ জনের মধ্যে ২০ জন বাংলাদেশের লোক। এখানে তো আপনারা কোন কথা বলেননি, কাউকে দায়ী করেননি। বিএনপি এমন এক বিরোধী দল, যদি বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু হয়, তাহলে বলবে এটা আওয়ামী লীগ সরকারের দোষ।

লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান জামালের সভাপতিত্বে ইফতারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। পরে সুবিধাভোগীদের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।