Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, কিন্তু পেছনের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়নি : আইনমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৪০:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৮৯ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, কিন্তু পেছনের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও স্বাধীনতা রক্ষা করার কথা বলতে হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারীরা বাংলাদেশকে কী দিয়েছে? তারা উপহার হিসেবে এ দেশকে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দিয়েছে। এ আইনে তারা বলেছে, যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছে তাদের বিচার করা যাবে না। তাদের কোনো কোর্ট প্রশ্ন করতে পারবে না কেন হত্যা করেছে? এ বিষয়টি আপনারা খতিয়ে দেখতে পারেন। আমার জানামতে সারা বিশ্বে এমন আইন বিরল।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে তারা আরেকটি বিরল উদাহরণ সৃষ্টি করল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা তার স্বপ্নকে আবার বাঁচিয়ে তুলতে পারত এমন চার নেতাকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হলো। অথচ জেলখানায় বন্দিরা সরকারের নিরাপত্তায় থাকে। সেখানে সুপরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করেছে। আজকে অনেক মানবাধিকার সংগঠন ও এনজিও প্রশ্ন করে জেলখানায় কেন মারা গেলো? কেন চিকিৎসা নিতে গিয়ে মরল? অথচ জাতীয় এ চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হলো তা নিয়ে কিন্তু কেউ মুখ খোলে না। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন জাগ্রত হয় না।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে যারা হত্যা করেছিল তাদের সবাইকে বিদেশে যাওয়ার সুবিধা করে দেওয়া হলো। তারা যাতে বিচারের সম্মুখীন না হন সেই সুবিধাই দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতায় বসে জিয়াউর রহমান তার আজ্ঞাবহ সবাইকে পুরস্কৃত করলেন। যদি কেউ পিয়ন হওয়ার ক্ষমতা রাখেন তাকে সচিব বানিয়ে দিলেন, কাউকে অ্যাম্বাসেডর বানিয়ে দিলেন। এভাবেই তাদের প্রতিষ্ঠিত করলেন। পাশাপাশি তিনি একটি বার্তা দিয়ে দিলেন এদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। এরা সরকার দ্বারা নিরাপত্তায় রক্ষিত।

তিনি বলেন, আপনারা সবাই জানেন তিনি (জিয়াউর রহমান) রাজাকার আল-বদরদের নিয়ে সরকার গঠন করলেন। যারা দেশবিরোধী তাদের নিয়েই সরকার গঠন হলো। তারাই ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা করে। এগুলাই তাদের উপহার। আজ তারা লম্বা লম্বা কথা বলেন। তবে আমি যে তালিকা দিলাম তার উত্তর তারা দিতে পারবে না। তারা সারা দেশের সব কোর্টে একযোগে বোমা হামলা উপহার দিয়েছে, রমনার বটমূল উপহার দিয়েছে।

তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করেছে। এখনো সেটা অব্যাহত আছে। এতে তাদের লাভ ৩০ লাখ শহীদকে অপমান করা। জাতির জনকের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা। তার আদর্শকে মুছে ফেলা। কিন্তু আমি বলে দিতে চাই, সে দিন গত হয়েছে। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা একটি সেবামূলক সরকার ব্যবস্থা সফলভাবে পরিচালনা করছেন। তিনি ক্ষমতায় এসেছেন বলেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মওদুদ আহমদ আইনমন্ত্রী থাকার সময় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার শুনানি শুরু করতে দুজন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ করতে আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু করেননি। এখন বিএনপির কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশের মানুষ যদি বিচারক হয়, বঙ্গবন্ধু হত্যার সারকামস

(এভিডেন্স) দেখা যাবে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এ কারণে ক্ষমতা থাকাকালে এর বিচারের উদ্যোগ নেননি তিনি। বরং ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দিয়ে হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করেছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্র চলছে। আনিসুল হক ইতিহাস থেকে শিখে বলছে, এই ষড়যন্ত্র রুখতে হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে জয়লাভ করাতে হবে। এই হোক আমাদের আজকের শপথ। তাহলেই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ হবে। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে। না হলে হয়তো এই যে ভূমি, এটি বিএনপি-জামায়াত মিলে বিরান করে ফেলবে, মানুষ থাকবে না। এজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আমরা বাংলাদেশ চাই, বিএনপি জামায়াতের ধ্বংসের রাজনীতি চাই না। সময় এসেছে জবাব দেওয়ার।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের পরিচয় প্রকাশে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করা হবে বলেও এ সময় জানান তিনি।

এ নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, অনেকেই প্রশ্ন করতে পারে, নতুন প্রজন্ম ভাবতে পারে, আমরা কি এটি প্রতিহিংসার জন্য করছি? না, আমরা এটা প্রতিহিংসার জন্য করছি না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এই যে একটা কলঙ্কময় অধ্যায়, আমার মনে হয়, এই কলঙ্কময় অধ্যায়ের সমাপ্তি প্রয়োজন। বাংলাদেশকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য এবং বাংলাদেশকে যেন কেউ পুনর্বার আঘাত করতে না পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য সেই পরিচয়গুলো বাংলাদেশের নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জানা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আমরা সেই প্রয়োজনটুকু মেটানোর জন্য একটি কমিশন গঠন করব এবং সেটি হবে অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের কমিশন। ইতিহাস ঘেঁটে, ইতিহাসের ওপর গবেষণা করে সত্য প্রতিষ্ঠা করে জনগণের কাছে রেখে যাব। নতুন প্রজন্ম যারা আসবে, তারা জানবে কারা ষড়যন্ত্রকারী এবং কুশীলব ছিল, তাদের পরিবার সম্পর্কেও যেন সচেতন থাকে। বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে যেন আর কোনো ষড়যন্ত্র তারা করতে না পারে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। সেমিনারে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গবেষক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বিশিষ্ট কবি ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর প্রমুখ।

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, কিন্তু পেছনের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়নি : আইনমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:৪০:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, কিন্তু পেছনের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিবিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও স্বাধীনতা রক্ষা করার কথা বলতে হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারীরা বাংলাদেশকে কী দিয়েছে? তারা উপহার হিসেবে এ দেশকে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দিয়েছে। এ আইনে তারা বলেছে, যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছে তাদের বিচার করা যাবে না। তাদের কোনো কোর্ট প্রশ্ন করতে পারবে না কেন হত্যা করেছে? এ বিষয়টি আপনারা খতিয়ে দেখতে পারেন। আমার জানামতে সারা বিশ্বে এমন আইন বিরল।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে তারা আরেকটি বিরল উদাহরণ সৃষ্টি করল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা তার স্বপ্নকে আবার বাঁচিয়ে তুলতে পারত এমন চার নেতাকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হলো। অথচ জেলখানায় বন্দিরা সরকারের নিরাপত্তায় থাকে। সেখানে সুপরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করেছে। আজকে অনেক মানবাধিকার সংগঠন ও এনজিও প্রশ্ন করে জেলখানায় কেন মারা গেলো? কেন চিকিৎসা নিতে গিয়ে মরল? অথচ জাতীয় এ চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হলো তা নিয়ে কিন্তু কেউ মুখ খোলে না। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্ন জাগ্রত হয় না।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে যারা হত্যা করেছিল তাদের সবাইকে বিদেশে যাওয়ার সুবিধা করে দেওয়া হলো। তারা যাতে বিচারের সম্মুখীন না হন সেই সুবিধাই দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতায় বসে জিয়াউর রহমান তার আজ্ঞাবহ সবাইকে পুরস্কৃত করলেন। যদি কেউ পিয়ন হওয়ার ক্ষমতা রাখেন তাকে সচিব বানিয়ে দিলেন, কাউকে অ্যাম্বাসেডর বানিয়ে দিলেন। এভাবেই তাদের প্রতিষ্ঠিত করলেন। পাশাপাশি তিনি একটি বার্তা দিয়ে দিলেন এদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। এরা সরকার দ্বারা নিরাপত্তায় রক্ষিত।

তিনি বলেন, আপনারা সবাই জানেন তিনি (জিয়াউর রহমান) রাজাকার আল-বদরদের নিয়ে সরকার গঠন করলেন। যারা দেশবিরোধী তাদের নিয়েই সরকার গঠন হলো। তারাই ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা করে। এগুলাই তাদের উপহার। আজ তারা লম্বা লম্বা কথা বলেন। তবে আমি যে তালিকা দিলাম তার উত্তর তারা দিতে পারবে না। তারা সারা দেশের সব কোর্টে একযোগে বোমা হামলা উপহার দিয়েছে, রমনার বটমূল উপহার দিয়েছে।

তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করেছে। এখনো সেটা অব্যাহত আছে। এতে তাদের লাভ ৩০ লাখ শহীদকে অপমান করা। জাতির জনকের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা। তার আদর্শকে মুছে ফেলা। কিন্তু আমি বলে দিতে চাই, সে দিন গত হয়েছে। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা একটি সেবামূলক সরকার ব্যবস্থা সফলভাবে পরিচালনা করছেন। তিনি ক্ষমতায় এসেছেন বলেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মওদুদ আহমদ আইনমন্ত্রী থাকার সময় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার শুনানি শুরু করতে দুজন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ করতে আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু করেননি। এখন বিএনপির কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশের মানুষ যদি বিচারক হয়, বঙ্গবন্ধু হত্যার সারকামস

(এভিডেন্স) দেখা যাবে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এ কারণে ক্ষমতা থাকাকালে এর বিচারের উদ্যোগ নেননি তিনি। বরং ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দিয়ে হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করেছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্র চলছে। আনিসুল হক ইতিহাস থেকে শিখে বলছে, এই ষড়যন্ত্র রুখতে হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে জয়লাভ করাতে হবে। এই হোক আমাদের আজকের শপথ। তাহলেই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ হবে। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে। না হলে হয়তো এই যে ভূমি, এটি বিএনপি-জামায়াত মিলে বিরান করে ফেলবে, মানুষ থাকবে না। এজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আমরা বাংলাদেশ চাই, বিএনপি জামায়াতের ধ্বংসের রাজনীতি চাই না। সময় এসেছে জবাব দেওয়ার।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের পরিচয় প্রকাশে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করা হবে বলেও এ সময় জানান তিনি।

এ নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, অনেকেই প্রশ্ন করতে পারে, নতুন প্রজন্ম ভাবতে পারে, আমরা কি এটি প্রতিহিংসার জন্য করছি? না, আমরা এটা প্রতিহিংসার জন্য করছি না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এই যে একটা কলঙ্কময় অধ্যায়, আমার মনে হয়, এই কলঙ্কময় অধ্যায়ের সমাপ্তি প্রয়োজন। বাংলাদেশকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য এবং বাংলাদেশকে যেন কেউ পুনর্বার আঘাত করতে না পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য সেই পরিচয়গুলো বাংলাদেশের নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জানা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আমরা সেই প্রয়োজনটুকু মেটানোর জন্য একটি কমিশন গঠন করব এবং সেটি হবে অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের কমিশন। ইতিহাস ঘেঁটে, ইতিহাসের ওপর গবেষণা করে সত্য প্রতিষ্ঠা করে জনগণের কাছে রেখে যাব। নতুন প্রজন্ম যারা আসবে, তারা জানবে কারা ষড়যন্ত্রকারী এবং কুশীলব ছিল, তাদের পরিবার সম্পর্কেও যেন সচেতন থাকে। বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে যেন আর কোনো ষড়যন্ত্র তারা করতে না পারে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। সেমিনারে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গবেষক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বিশিষ্ট কবি ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর প্রমুখ।