Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৬শ মিটার দৌড়ালেন মাহমুদউল্লাহ-শান্তরা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:১২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৯০ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

টিম বাংলাদেশের নতুন স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেইলির পরামর্শে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে এক ব্যতিক্রমী রানিং করলেন জাতীয় দলের সম্ভাব্য ৩৪ ক্রিকেটার।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য এখনও দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দল ঘোষণার আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরখ করতে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তারই অংশ হিসেবে আজ সকালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিক ট্র্যাকে দৌড়ালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তসহ ৩৫ জন ক্রিকেটার।

শনিবার (২০ এপ্রিল) যে ৩৪ জন ক্রিকেটার দৌড়ালেন, তাদের মধ্যে শর্ট স্প্রিন্ট ছাড়াও পুরো অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে ৪ বার চক্কর মানে ১৬০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হলো। ৩৪ জনকে ২ ভাগে ভাগ করে ওই দূরপাল্লার দৌড় প্রতিযোগিতার প্রথম ভাগে ১৭ জনের মধ্যে পেসার তানজিম হাসান সাকিব হয়েছেন প্রথম।

১৬০০ মিটার দৌড়ের প্রথম বহরে তানজিম সাকিবের পরে দ্বিতীয় হয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। বরাবর প্রথম তিন চারজনের মধ্যে থাকলেও শেষ দিকে গিয়ে খানিক পিছিয়ে পড়ে পঞ্চম হয়েছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। এ বহরে তৃতীয় হয়েছেন মুমিনুল হক।

হালের ফাস্টবোলিং সেনসেশন নাহিদ রানা দ্বিতীয় বহরে ১৬০০ মিটার দৌড় সবার আগে শেষ করেন। তার পেছনে থেকে দ্বিতীয় হয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ। এই বহরে তৃতীয় হয়েছেন আরেক তরুণ পেসার মুশফিক হাসান। অফস্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদি হাসান দ্বিতীয় বহরে ১৬০০ মিটার দৌড়ে চতুর্থ হয়েছেন।

এখন যারা জাতীয় দলের আশপাশে আছেন, তাদের মধ্যে একমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এখানে ২০০৪ সালে একটি কর্পোরেট টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলেছেন। এছাড়া আজ যে ৩৪ জন ক্রিকেটার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে রানিং করলেন, তাদের মধ্যে মুশফিকুর রহিম ২০০৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বয়সভিত্তিক ক্রিকেট আসরে বিকেএসপির হয়ে এ মাঠে খেলেছেন।

এই ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স অ্যাসেসমেন্টে অংশ নেননি তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদের মতো তারকারা। সাকিব দেশের বাইরে আছেন। তাসকিন ডিপিএলে টানা ম্যাচ খেলায় বাড়তি ঝুঁকি নেননি। তাছাড়া চোটের কারণে ছিলেন না সৌম্য সরকার।

যেকোনো সিরিজের আগে প্রস্তুতির শুরুটা অবশ্য এভাবেই হয়। সেটা এত দিন হয়েছে মিরপুর শেরে-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। এবার সেটা হল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। কারণ শেরে-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টানা খেলা থাকার কারণে মাঠের ঘাস বড় হয়েছে, মাঠও হয়েছে ভারী। তাই স্বাভাবিকভাবে সেখানে দৌড়ানো ক্রিকেটারদের জন্য কষ্টের। তাই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাককে বেছে নিয়েছে বিসিবি।

টাইগারদের নতুন ট্রেইনার ন্যাথান কিলি চেয়েছেন এ রকম একটা জায়গায় ক্রিকেটারদের স্প্রিন্ট দেখে কার ফিটনেসের কী অবস্থা বুঝতে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রস্তুতির প্রথম পর্ব সেরে আবারও মিরপুর শের-ই-বাংলায় ফিরে যাবেন ক্রিকেটাররা। সেখানে হবে প্রস্তুতির বাকি অংশ।

রানিং টেস্ট প্রসঙ্গে বিসিবির ট্রেইনার মীর ইফতি খায়রুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অনেক দিন আমরা ফিটনেস পরীক্ষা নিইনি ক্রিকেটারদের। এটাতে আসলে পাস-ফেলের কিছু নেই। খেলোয়াড়দের বর্তমান অবস্থা কী, তা জানা। বেশ কয়েকটা সিরিজ গেছে, বিপিএল গেছে, ডিপিএল যাচ্ছে, এরপর ওদের ফিটনেসের অবস্থা কী, সেটা জানার জন্য। এটা জানার পরে খেলোয়াড়দের আলাদা আলাদা কাকে কোন ফিটনেস ট্রেনিং করাতে হবে, এগুলো আমরা বের করব। তারপর ওদের জানিয়ে দেব, সেভাবে আমরা বাস্তবায়ন করব সেটি। ১৬০০ মিটার নিয়েছি তাদের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমটা কীভাবে কাজ করে বা ওদের সামর্থ্য কেমন সব মিলিয়ে ফিটনেসের জানার জন্য।’

অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বেছে নেওয়ার ব্যাপারে ইফতি বলেন, ‘অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বেছে নেওয়ার কারণ আসলে টাইমিংয়ের একটা বিষয় আছে। আমরা যদি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণ করি, তাহলে বেশ কিছু টেস্টিং মেথড আছে, আমরা আজ ১৬০০ মিটার টাইম-ট্রায়াল নিলাম। অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে যদি নিই, তাহলে প্রপার টাইমিংটা হয়। কারণ ওইভাবেই হিসাব করা হয়। এটা ওদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো।’

দৌড় পরীক্ষা শেষে সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীসের স্মৃতি ভাগাভাগি, ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আবারও ফেরা সত্যি দারুণ। আমাদের জীবনে খেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হওয়া, খেলা দেখে শেখা—সব এই স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করেই।’

তারপর এই মাঠে প্রথম পা রাখার গল্প শোনালেন নাফীস, ‘১৯৯৪ সালে প্রথম এই মাঠে আসি আমি। অনেক আইকন ক্রিকেটার এখানে খেলতেন। তাদের দেখতে মাঠে আসতাম। ২০০৪ সালে আমার ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস এই মাঠে খেলেছি, ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলাম। তখন হয়তো বুঝিনি, কিন্তু এখন বুঝি সেই ইনিংসটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রতিটা ইঞ্চি ইতিহাস বহন করে। আমাদের প্রজন্মের খেলোয়াড়, শুধু ক্রিকেটার নয়, অন্য খেলার খেলোয়াড়েরাও এ কথা বলবে।’

এই প্রজন্মের ক্রিকেটাররা এই মাঠে না খেললেও নাফীসের ভাষায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সবার কাছেই আলাদা মাহাত্ম্য নিয়ে থাকবে ‘যারা একদম নতুন প্রজন্ম, তারা হয়তো এখানে খেলেনি। কিন্তু এই স্টেডিয়ামের কথা নিশ্চয়ই শুনেছে। অনেকের জন্ম ২০০০ সালের আশপাশে। তাদের খেলার কথাও নয়। তবে আইকনিক স্টেডিয়াম যেহেতু, এটার গল্প নিশ্চয়ই শুনেছে। দেখুন, সাধারণত সকাল ৬টায় ফিটনেস টেস্ট দেখতে এত মানুষের আশার কথা নয়। যেহেতু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, তাই এসেছে। সবার জন্যই দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল।’

মুশফিকুর রহিম মজার ছলে বলেছেন, অ্যাথলেটদের মতো যেহেতু তারা দৌড়াবেন, সেহেতু তাদের জন্য পুরষ্কারের ব্যবস্থা থাকলে আরও ভালো হতো। বিসিবির এক কর্মকর্তাকে তিনি মজা করে জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘পতাকা কই? পতাকা আনবেন না!’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৬শ মিটার দৌড়ালেন মাহমুদউল্লাহ-শান্তরা

প্রকাশের সময় : ০১:১২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

টিম বাংলাদেশের নতুন স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেইলির পরামর্শে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে এক ব্যতিক্রমী রানিং করলেন জাতীয় দলের সম্ভাব্য ৩৪ ক্রিকেটার।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য এখনও দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দল ঘোষণার আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরখ করতে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তারই অংশ হিসেবে আজ সকালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিক ট্র্যাকে দৌড়ালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তসহ ৩৫ জন ক্রিকেটার।

শনিবার (২০ এপ্রিল) যে ৩৪ জন ক্রিকেটার দৌড়ালেন, তাদের মধ্যে শর্ট স্প্রিন্ট ছাড়াও পুরো অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে ৪ বার চক্কর মানে ১৬০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হলো। ৩৪ জনকে ২ ভাগে ভাগ করে ওই দূরপাল্লার দৌড় প্রতিযোগিতার প্রথম ভাগে ১৭ জনের মধ্যে পেসার তানজিম হাসান সাকিব হয়েছেন প্রথম।

১৬০০ মিটার দৌড়ের প্রথম বহরে তানজিম সাকিবের পরে দ্বিতীয় হয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। বরাবর প্রথম তিন চারজনের মধ্যে থাকলেও শেষ দিকে গিয়ে খানিক পিছিয়ে পড়ে পঞ্চম হয়েছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। এ বহরে তৃতীয় হয়েছেন মুমিনুল হক।

হালের ফাস্টবোলিং সেনসেশন নাহিদ রানা দ্বিতীয় বহরে ১৬০০ মিটার দৌড় সবার আগে শেষ করেন। তার পেছনে থেকে দ্বিতীয় হয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ। এই বহরে তৃতীয় হয়েছেন আরেক তরুণ পেসার মুশফিক হাসান। অফস্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদি হাসান দ্বিতীয় বহরে ১৬০০ মিটার দৌড়ে চতুর্থ হয়েছেন।

এখন যারা জাতীয় দলের আশপাশে আছেন, তাদের মধ্যে একমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এখানে ২০০৪ সালে একটি কর্পোরেট টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলেছেন। এছাড়া আজ যে ৩৪ জন ক্রিকেটার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে রানিং করলেন, তাদের মধ্যে মুশফিকুর রহিম ২০০৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বয়সভিত্তিক ক্রিকেট আসরে বিকেএসপির হয়ে এ মাঠে খেলেছেন।

এই ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স অ্যাসেসমেন্টে অংশ নেননি তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদের মতো তারকারা। সাকিব দেশের বাইরে আছেন। তাসকিন ডিপিএলে টানা ম্যাচ খেলায় বাড়তি ঝুঁকি নেননি। তাছাড়া চোটের কারণে ছিলেন না সৌম্য সরকার।

যেকোনো সিরিজের আগে প্রস্তুতির শুরুটা অবশ্য এভাবেই হয়। সেটা এত দিন হয়েছে মিরপুর শেরে-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। এবার সেটা হল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। কারণ শেরে-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টানা খেলা থাকার কারণে মাঠের ঘাস বড় হয়েছে, মাঠও হয়েছে ভারী। তাই স্বাভাবিকভাবে সেখানে দৌড়ানো ক্রিকেটারদের জন্য কষ্টের। তাই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাককে বেছে নিয়েছে বিসিবি।

টাইগারদের নতুন ট্রেইনার ন্যাথান কিলি চেয়েছেন এ রকম একটা জায়গায় ক্রিকেটারদের স্প্রিন্ট দেখে কার ফিটনেসের কী অবস্থা বুঝতে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রস্তুতির প্রথম পর্ব সেরে আবারও মিরপুর শের-ই-বাংলায় ফিরে যাবেন ক্রিকেটাররা। সেখানে হবে প্রস্তুতির বাকি অংশ।

রানিং টেস্ট প্রসঙ্গে বিসিবির ট্রেইনার মীর ইফতি খায়রুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অনেক দিন আমরা ফিটনেস পরীক্ষা নিইনি ক্রিকেটারদের। এটাতে আসলে পাস-ফেলের কিছু নেই। খেলোয়াড়দের বর্তমান অবস্থা কী, তা জানা। বেশ কয়েকটা সিরিজ গেছে, বিপিএল গেছে, ডিপিএল যাচ্ছে, এরপর ওদের ফিটনেসের অবস্থা কী, সেটা জানার জন্য। এটা জানার পরে খেলোয়াড়দের আলাদা আলাদা কাকে কোন ফিটনেস ট্রেনিং করাতে হবে, এগুলো আমরা বের করব। তারপর ওদের জানিয়ে দেব, সেভাবে আমরা বাস্তবায়ন করব সেটি। ১৬০০ মিটার নিয়েছি তাদের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমটা কীভাবে কাজ করে বা ওদের সামর্থ্য কেমন সব মিলিয়ে ফিটনেসের জানার জন্য।’

অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বেছে নেওয়ার ব্যাপারে ইফতি বলেন, ‘অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বেছে নেওয়ার কারণ আসলে টাইমিংয়ের একটা বিষয় আছে। আমরা যদি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণ করি, তাহলে বেশ কিছু টেস্টিং মেথড আছে, আমরা আজ ১৬০০ মিটার টাইম-ট্রায়াল নিলাম। অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে যদি নিই, তাহলে প্রপার টাইমিংটা হয়। কারণ ওইভাবেই হিসাব করা হয়। এটা ওদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো।’

দৌড় পরীক্ষা শেষে সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীসের স্মৃতি ভাগাভাগি, ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আবারও ফেরা সত্যি দারুণ। আমাদের জীবনে খেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হওয়া, খেলা দেখে শেখা—সব এই স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করেই।’

তারপর এই মাঠে প্রথম পা রাখার গল্প শোনালেন নাফীস, ‘১৯৯৪ সালে প্রথম এই মাঠে আসি আমি। অনেক আইকন ক্রিকেটার এখানে খেলতেন। তাদের দেখতে মাঠে আসতাম। ২০০৪ সালে আমার ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস এই মাঠে খেলেছি, ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলাম। তখন হয়তো বুঝিনি, কিন্তু এখন বুঝি সেই ইনিংসটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রতিটা ইঞ্চি ইতিহাস বহন করে। আমাদের প্রজন্মের খেলোয়াড়, শুধু ক্রিকেটার নয়, অন্য খেলার খেলোয়াড়েরাও এ কথা বলবে।’

এই প্রজন্মের ক্রিকেটাররা এই মাঠে না খেললেও নাফীসের ভাষায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সবার কাছেই আলাদা মাহাত্ম্য নিয়ে থাকবে ‘যারা একদম নতুন প্রজন্ম, তারা হয়তো এখানে খেলেনি। কিন্তু এই স্টেডিয়ামের কথা নিশ্চয়ই শুনেছে। অনেকের জন্ম ২০০০ সালের আশপাশে। তাদের খেলার কথাও নয়। তবে আইকনিক স্টেডিয়াম যেহেতু, এটার গল্প নিশ্চয়ই শুনেছে। দেখুন, সাধারণত সকাল ৬টায় ফিটনেস টেস্ট দেখতে এত মানুষের আশার কথা নয়। যেহেতু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, তাই এসেছে। সবার জন্যই দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল।’

মুশফিকুর রহিম মজার ছলে বলেছেন, অ্যাথলেটদের মতো যেহেতু তারা দৌড়াবেন, সেহেতু তাদের জন্য পুরষ্কারের ব্যবস্থা থাকলে আরও ভালো হতো। বিসিবির এক কর্মকর্তাকে তিনি মজা করে জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘পতাকা কই? পতাকা আনবেন না!’