টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি :
এবারের ইলেকশনে আওয়ামী লীগ ১৮ সালের মতো সিল মেরে নিতে পারবে না বলে মন্তব্য করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, আজ আওয়ামী লীগের নেতারা আমাকে চিনতে পারেন না? গালাগালি করেন? সেদিন আমরা প্রতিবাদ না করলে জিয়া এতোদিন আপনাদের নরক অথবা বেহেস্তে পাঠিয়ে দিতেন। আজকে যে আওয়ামী লীগ বেঁচে আছে, ৭৫ সালে প্রতিবাদের জোরেই বেঁচে আছে। সেজন্য আওয়ামী লীগের আজকের বন্ধুদের বলছি, বঙ্গবন্ধু মরার সময় আপনারা আওয়ামী লীগের কেউ ছিলেন না।
বুধবার (১৬ আগস্ট) মাকড়াই দিবস উপলক্ষে ঘাটাইলে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ৭১ সালে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা আনার পর ভেবেছিলাম, আনন্দের (স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধার নাম আনন্দ) মতো (ভালো) দিন যাবে। কিন্তু না, পারি নাই। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে ঘাটাইল, ভূয়াপুর, গোপালপুর, কালিয়াকৈরসহ বহু জায়গায় অস্ত্র হাতে ঘুরেছি। দেখেছি, সবার আগে আওয়ামী লীগের লোকেরা পালিয়েছে।
তিনি বলেন, স্বধীনতার পর যারা আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ২০/৫০ পাকি (বিঘা) কইরা জমি কিনছে, তারা সব পলাইছে। সীমান্তের আদিবাসীরা সেই সময় বলেছে, ওরা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, আমরা এর বদলা নেব। এভাবে তারা জাতির পিতাকে মান্য করেছে। কিন্তু আদিবাসীদের কেউ খরব নেয়নি। খালেদা জিয়া-এরশাদ খবর নেয়নি- তো কোনো কথা ছিল না। কিন্তু শেখ হাসিনা খবর না নিলে আজ হোক অথবা তো কাল হোক কথা হবেই।
১৯৭১ সালের ১৬ আগস্ট বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের মাকড়াই নামক স্থানে গুলিবিদ্ধ হন। সেখানে হাতেম আলী নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। সেই থেকে এই দিনকে (১৬ আগস্ট) ‘মাকড়াই দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
ঘাটাইলের কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আ. হালিমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার (বীর প্রতীক), সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সদস্য শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল জেলার সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউর রহমান বদি, ঘাটাইলের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক প্রমুখ।