নিজস্ব প্রতিবেদক :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি স্থবির করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর (ডিএফপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার সময় দেশে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৯.৫৪ শতাংশ। যা আমরা এখনো ছুঁতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের আগেই উন্নত হতো বাংলাদেশ।
দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি যারা চায়নি তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ যখন পুনর্গঠন করে সমৃদ্ধির পথে যাচ্ছিল, তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। দেশের যারা সমৃদ্ধ চায়নি তারাই এর সঙ্গে জড়িত।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালে খাদ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সবাই ফসল ফলায়। ৭৫-এ ১০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন করা হয়েছিল।
বাঙালি জীবনের বেদনাবিধূর আগস্ট মাস ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে নাশকতার ছক আঁকা হয়েছে বলে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী তিনি বলেন, সোমবার (১৪ আগস্ট) দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। সেটিকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা হচ্ছে গতরাত থেকে। এটি হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত আগস্ট মাসজুড়ে সারাদেশব্যাপী যে নাশকতা-বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করেছে তারই অংশ।
আগস্ট মাস এলেই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, জঙ্গিগোষ্ঠী তৎপর হয় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে, ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। ১৭ আগস্ট সারাদেশে পাঁচশ’ জায়গায় বোমা ফোটানো হয়েছে। ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলাতেই বোমা ফোটানো হয়েছে।
আগস্ট মাসকে বাঙালি জীবনের বেদনাবিধূর মাস হিসেবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই আগস্ট মাসেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। এই আগস্ট মাসেই মহাপ্রয়াণ ঘটেছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের, মৃত্যুবরণ করেছেন দ্রোহের কবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। এই আগস্ট মাসেই ফাঁসির মঞ্চে নিজে গলায় দড়ি পরিয়েছেন ক্ষুদিরাম বসু।
মন্ত্রী বলেন, বাঙালি জীবনের বেদনাবিধূর এই মাস এলেই বাঙালিবিরোধী, বাঙালিত্ববিরোধী, আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি বিরোধী, দেশবিরোধী অপশক্তি তৎপর হয়। সে জন্য আমাদের সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আর দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
ডিএফপির মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া।