Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : 

বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও নায়িকা বানানোর আশ্বাসে ধর্ষণ, নির্যাতন ও গর্ভপাত করানোর অভিযোগে কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে বগুড়া আদালতে মামলা হয়েছে।

রোববার (৪ মে) এক নারী বাদী হয়ে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলাটি করেন।

আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল হক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলার অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও বগুড়ার পুলিশ সুপারকে। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আলী আজগর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত অন্য ব্যক্তিরা হলেন হিরো আলমের মেয়ে আলো খাতুন, সহকারী আল আমিন, মালেক, মালেকের স্ত্রী জেরিন এবং আহসান হাবিব।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, হিরো আলম বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও নায়িকা বানানোর আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। পরে এক মৌলভি ডেকে কবুল পড়িয়ে তাঁকে বিয়ে করার কথা বলে বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে বসবাস করেন। একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গত ১৮ এপ্রিল বগুড়ার নিজ বাড়িতে নিয়ে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেওয়া হয়। রাজি না হওয়ায় ২১ এপ্রিল হিরো আলমসহ অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাকে মারধর করেন। এতে গুরুতর রক্তক্ষরণ হলে ওই নারীকে শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার গর্ভপাত ঘটে। পরবর্তী সময়ে ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সিনেমা তৈরির কথা বলে হিরো আলম ওই নারীর কাছ থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ধার নেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হিরো আলম জানান, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে এই মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি এর সঠিক তদন্ত চান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বগুড়ায় হিরো আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

প্রকাশের সময় : ১২:৪৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : 

বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও নায়িকা বানানোর আশ্বাসে ধর্ষণ, নির্যাতন ও গর্ভপাত করানোর অভিযোগে কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে বগুড়া আদালতে মামলা হয়েছে।

রোববার (৪ মে) এক নারী বাদী হয়ে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলাটি করেন।

আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল হক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলার অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও বগুড়ার পুলিশ সুপারকে। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আলী আজগর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত অন্য ব্যক্তিরা হলেন হিরো আলমের মেয়ে আলো খাতুন, সহকারী আল আমিন, মালেক, মালেকের স্ত্রী জেরিন এবং আহসান হাবিব।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, হিরো আলম বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও নায়িকা বানানোর আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। পরে এক মৌলভি ডেকে কবুল পড়িয়ে তাঁকে বিয়ে করার কথা বলে বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে বসবাস করেন। একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গত ১৮ এপ্রিল বগুড়ার নিজ বাড়িতে নিয়ে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেওয়া হয়। রাজি না হওয়ায় ২১ এপ্রিল হিরো আলমসহ অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাকে মারধর করেন। এতে গুরুতর রক্তক্ষরণ হলে ওই নারীকে শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার গর্ভপাত ঘটে। পরবর্তী সময়ে ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সিনেমা তৈরির কথা বলে হিরো আলম ওই নারীর কাছ থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ধার নেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হিরো আলম জানান, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে এই মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি এর সঠিক তদন্ত চান।