Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় শাপলা মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল ১৫ দোকান

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : 

বগুড়ার শাপলা মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ১৫টি দোকান ভস্মিভূত হয়েছে। আগুন নিভাতে গিয়ে পানিতে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কমপক্ষে ২০টি দোকানের মালামাল। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে কাপড় এবং ছাপাখানা রয়েছে। ঈদ মার্কেটে দোকান পুড়ে এবং পানিতে কাপড় ভিজে নিঃস্ব হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ৮টা দিকে শহরের স্টেশন রোড এলাকায় শাপলা মার্কেটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনের খবর পেয়ে বগুড়ার তিনটি ফায়ার স্টেশনের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে নিয়ন্ত্রণ করে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে প্রায় দেড় কোটির ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ( শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে।

মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, আগুন লাগা দোকানের বেশিরভাগ কাপড়ের। বাকিগুলো ছাপাখানার। সকাল ৮টার দিকে মার্কেট বন্ধ থাকা অবস্থায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। তারা প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী মাসুদ জানান, ঈদের জন্য দোকানে প্রায় ১৪ লাখ টাকার তৈরি পোশাক ছিল। সেগুলো সব পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মধ্যে ৭টি ছাপাখানা ব্যবসায়ীর বলে জানান আল-আমিন নামে ভুক্তভোগী। তিনি বলেন, আমার দোকানে চারটা কম্পিউটারসহ প্রায় চার লাখ টাকার মালামাল ছিল। সোয়া আটটার দিকে খবর পেয়ে এসে দেখি কিছুই নেই।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার কর্মীরা। পরে বগুড়া সদরের চারটি এবং শাজাহানপুর ও কাহালু উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজে যোগ দেয়।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক বলেন, সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে আমরা শাপলা সুপার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাই। খবর পেয়ে প্রথমে সদরের ৫টি এবং পরে কাহালুর ২টি ও শাজাহানপুরের ২টি ইউনিট এসে যোগ দেয়। প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আগুনে ১৫টি দোকান পুড়ে গেছে। তবে কি কারণে আগুন লেগেছে এবং কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত না করে বলা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, আগুন নেভাতে গিয়ে নূরজাত নামে আমাদের এক সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

বগুড়ায় শাপলা মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল ১৫ দোকান

প্রকাশের সময় : ০১:০৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : 

বগুড়ার শাপলা মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ১৫টি দোকান ভস্মিভূত হয়েছে। আগুন নিভাতে গিয়ে পানিতে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কমপক্ষে ২০টি দোকানের মালামাল। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে কাপড় এবং ছাপাখানা রয়েছে। ঈদ মার্কেটে দোকান পুড়ে এবং পানিতে কাপড় ভিজে নিঃস্ব হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ৮টা দিকে শহরের স্টেশন রোড এলাকায় শাপলা মার্কেটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনের খবর পেয়ে বগুড়ার তিনটি ফায়ার স্টেশনের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে নিয়ন্ত্রণ করে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে প্রায় দেড় কোটির ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ( শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে।

মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, আগুন লাগা দোকানের বেশিরভাগ কাপড়ের। বাকিগুলো ছাপাখানার। সকাল ৮টার দিকে মার্কেট বন্ধ থাকা অবস্থায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। তারা প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী মাসুদ জানান, ঈদের জন্য দোকানে প্রায় ১৪ লাখ টাকার তৈরি পোশাক ছিল। সেগুলো সব পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মধ্যে ৭টি ছাপাখানা ব্যবসায়ীর বলে জানান আল-আমিন নামে ভুক্তভোগী। তিনি বলেন, আমার দোকানে চারটা কম্পিউটারসহ প্রায় চার লাখ টাকার মালামাল ছিল। সোয়া আটটার দিকে খবর পেয়ে এসে দেখি কিছুই নেই।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার কর্মীরা। পরে বগুড়া সদরের চারটি এবং শাজাহানপুর ও কাহালু উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজে যোগ দেয়।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক বলেন, সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে আমরা শাপলা সুপার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাই। খবর পেয়ে প্রথমে সদরের ৫টি এবং পরে কাহালুর ২টি ও শাজাহানপুরের ২টি ইউনিট এসে যোগ দেয়। প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আগুনে ১৫টি দোকান পুড়ে গেছে। তবে কি কারণে আগুন লেগেছে এবং কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত না করে বলা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, আগুন নেভাতে গিয়ে নূরজাত নামে আমাদের এক সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।