জামালপুর জেলা প্রতিনিধি :
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিক মারধরের শিকার হয়েছেন। ভুক্তভোগী সাংবাদিকের অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলর মো. কামরুজ্জামানের স্বজন ও সমর্থকেরা তাঁর ওপর হামলা করেছেন। এ ঘটনার প্রধান আসামি মো. তৌহিদুজ্জামান তৌহিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার নামাপাড়া এলাকায় তৌহিদের বাড়ির সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আহত মতিন রহমান দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের নামাপাড়া এলাকায় তাঁর ওপর হামলা হয়। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আটক ব্যক্তির নাম তৌহিদুজ্জামান। তিনি কাউন্সিলর মো. কামরুজ্জামানের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যার দিকে বকশীগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সদ্য বিজয়ী কাউন্সিলর মো. কামরুজ্জামানের সমর্থকদের সঙ্গে পরাজিত প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। ওই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে সেখানে যান সাংবাদিক মতিন রহমান। তিনি কাউন্সিলর মো. কামরুজ্জামানের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ওই কাউন্সিলরের সমর্থক ও স্বজনেরা তাঁর ওপর হামলা করেন। পরে অন্য সাংবাদিক ও স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
সাংবাদিক মতিন রহমান বলেন, কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে সংঘর্ষের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। একপর্যায়ে কাউন্সিলর কামরুজ্জামানের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই কাউন্সিলরের লোকজন আমার ওপর হামলা করেন। এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ সম্পর্কে কাউন্সিলর মো. কামরুজ্জামান বলেন, ওই সাংবাদিককে মারধর করা হয়নি। ঘটনার সময় আমার বাড়িতে পারিবারিক মিটিং করছিলাম। তখন তিনি ভিডিও করছিলেন। তখন আমার এক ভাই ওই সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নেন। পরে মুঠোফোনটি তাঁকে দিয়েও দিয়েছি।
বকশীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সঞ্জয় সাহা বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনাটি পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এই ঘটনায় শহরের নামাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।