Dhaka শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্যাসিস্ট কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে চাই : আইন উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে আসামির ওপর যেন হামলা না হয় এজন্য আমরা সকাল ৭টায় শুনানির ব্যবস্থা করেছি। কোনোমতেই একজন আসামিকে আদালত প্রাঙ্গণে হামলা করা যাবে না। আমরা ফ্যাসিস্ট কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার সারা দেশে ঢালাও এবং গায়েবি মামলার কালচার শুরু করেছিল। তিনি সেই কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়েছেন।

বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যারা বিচারক তারা সংবিধান অনুযায়ী শপথ নিয়েছেন। কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে শপথ নেননি। কাজেই বিচার করবেন সংবিধান অনুযায়ী। বিচার বড় একটি মহৎ দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে কার্পণ্য করা যাবে না।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিচার বিভাগে যদি এমন কোনও বিচারক থাকেন, যিনি মানুষের কাছ থেকে তরবারি উপহার নেন, ছাত্র সংগঠনের কাছ থকে ফুল উপহার নেন, মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেন। বিচার বিভাগের জন্য এসব ভালো কিছু না।’

এদিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নিয়োগ অন্তর্বর্তী সরকারের সিগনেচার স্টেটমেন্ট বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা কোনও দলীয় মনোভাব রাখবেন না। আপনার বিবেকের সঙ্গে কথা বলেন, কারও সঙ্গে অবিচার করবেন না। নিন্ম আদালতে যারা আছেন, আপনারা মানুষকে যতটুকু সম্ভব হয়রানিমুক্ত রাখবেন।’

বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা গ্রহণযোগ্য নয়, এমন মন্তব্য করার পাশপাশি বিচারবিভাগকে সবচেয়ে বেশি দ্বায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হওয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

বিচারবিভাগের সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এরইমধ্যে কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ঢালাও মামলা করে মানুষ হয়রানি থেকে বের হতে চাই।

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

ফ্যাসিস্ট কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে চাই : আইন উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ১২:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, আদালতে আসামির ওপর যেন হামলা না হয় এজন্য আমরা সকাল ৭টায় শুনানির ব্যবস্থা করেছি। কোনোমতেই একজন আসামিকে আদালত প্রাঙ্গণে হামলা করা যাবে না। আমরা ফ্যাসিস্ট কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার সারা দেশে ঢালাও এবং গায়েবি মামলার কালচার শুরু করেছিল। তিনি সেই কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়েছেন।

বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যারা বিচারক তারা সংবিধান অনুযায়ী শপথ নিয়েছেন। কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে শপথ নেননি। কাজেই বিচার করবেন সংবিধান অনুযায়ী। বিচার বড় একটি মহৎ দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে কার্পণ্য করা যাবে না।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিচার বিভাগে যদি এমন কোনও বিচারক থাকেন, যিনি মানুষের কাছ থেকে তরবারি উপহার নেন, ছাত্র সংগঠনের কাছ থকে ফুল উপহার নেন, মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেন। বিচার বিভাগের জন্য এসব ভালো কিছু না।’

এদিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নিয়োগ অন্তর্বর্তী সরকারের সিগনেচার স্টেটমেন্ট বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা কোনও দলীয় মনোভাব রাখবেন না। আপনার বিবেকের সঙ্গে কথা বলেন, কারও সঙ্গে অবিচার করবেন না। নিন্ম আদালতে যারা আছেন, আপনারা মানুষকে যতটুকু সম্ভব হয়রানিমুক্ত রাখবেন।’

বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা গ্রহণযোগ্য নয়, এমন মন্তব্য করার পাশপাশি বিচারবিভাগকে সবচেয়ে বেশি দ্বায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হওয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

বিচারবিভাগের সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এরইমধ্যে কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ঢালাও মামলা করে মানুষ হয়রানি থেকে বের হতে চাই।