Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো বাংলাদেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৯২ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চার দিনের মাথায় ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৭টা ৫ মিনিটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল নেপালের লেবুচি থেকে ৯৩ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.১। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

ভূ-কম্পনটি বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভারত, ভুটানে অনুভূত হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা বলেন, আজ সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

তিনি জানান, ঢাকা থেকে ৬১৮ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে চীনের একটি স্থানে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়। ভূ-কম্পনটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।

এর আগে ৩ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল চীনের জিজ্যাংয়ে (তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল)। উৎপত্তিস্থলে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে। ইন্ডিয়ান প্লেট ও ইউরেশিয়া প্লেটের বিস্তৃতি এ অঞ্চলে। ইউরেশিয়া ও ইন্ডিয়ান টেকটোনিক প্লেটের ফল্টে বড় ধরনের আঘাতের কারণে এর আগেও এ অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। ২০১৫ সালে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল আরও একটি শক্তিশালী আফটার শক হয়। ১৯৩৪ সালের পর নেপালে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল এটি। এতে ৮ হাজার ৬৬৯ জন নিহত হয়।। বহু স্থাপনা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ১১:৪৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চার দিনের মাথায় ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৭টা ৫ মিনিটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল নেপালের লেবুচি থেকে ৯৩ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.১। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

ভূ-কম্পনটি বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভারত, ভুটানে অনুভূত হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা বলেন, আজ সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

তিনি জানান, ঢাকা থেকে ৬১৮ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে চীনের একটি স্থানে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়। ভূ-কম্পনটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।

এর আগে ৩ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল চীনের জিজ্যাংয়ে (তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল)। উৎপত্তিস্থলে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে। ইন্ডিয়ান প্লেট ও ইউরেশিয়া প্লেটের বিস্তৃতি এ অঞ্চলে। ইউরেশিয়া ও ইন্ডিয়ান টেকটোনিক প্লেটের ফল্টে বড় ধরনের আঘাতের কারণে এর আগেও এ অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। ২০১৫ সালে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল আরও একটি শক্তিশালী আফটার শক হয়। ১৯৩৪ সালের পর নেপালে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল এটি। এতে ৮ হাজার ৬৬৯ জন নিহত হয়।। বহু স্থাপনা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।