Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফুটবলের প্রথম বিলিয়নার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৪০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২০০ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

মাঠের ফুটবলে সাফল্য, সংস্কারের পর নতুন রূপে চালু হওয়া স্টেডিয়ামে দর্শকের জোয়ার, বিপণনে উৎকর্ষ, সবকিছুর যোগফল- এক বিলিয়ন ইউরো! ফুটবল মাঠে অসংখ্য রেকর্ড গড়ে অনেক ট্রফি জয় করা ক্লাব এবার এক অনন্য নজির গড়ল অর্থের খেলায়। বিশ্বের প্রথম বিলিয়ন ইউরো ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক আর্থিক সংস্থা ডিলয়েটের ‘ফুটবল মানি লিগ’-এ ম্যানচেস্টার সিটিকে সরিয়ে আবার শীর্ষে ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। গড়েছে নতুন এক মাইলফলক। ২০২৩-২৪ মৌসুমে স্প্যানিশ ক্লাবটির আয় ১০৪ কোটি ইউরো।

এই প্রথম কোনো ফুটবল ক্লাব এক মৌসুমে এক বিলিয়ন ইউরো আয় করতে পারল। আগের মৌসুমে (২০২২-২৩) রিয়ালের আয় ছিল ৮৩ কোটি ১০ লাখ ইউরো।

গত মৌসুমে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ তিনটি ট্রফি জয় করে রিয়াল। সান্তিয়াগো বের্নাবেউ স্টেডিয়ামের সংস্কারের পর শুরু হয়েছে এটির বহুমুখি ব্যবহার। ম্যাচের দিনের আয়ও বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সব মিলিয়েই আয়ের খেলায় এই সাফল্য পেয়েছে ইউরোপের সফলতম ক্লাবটি।

ডিলয়েটের হিসাবে, রিয়ালের ম্যাচের দিনের আয় দ্বিগুন বেড়ে হয়েছে ২৪ কাটি ৮০ লাখ ইউরো। এছাড়া তাদের জার্সিতে নতুন স্পন্সর, মার্চেন্ডাইজড পণ্যের বিক্রি বেড়েছে ১৯ শতাংশ। এখান থেকে আয় ৪৮ কোটি ২০ লাখ ইউরো।

ডিলয়েটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ ২০ ফুটবল ক্লাব মিলিয়ে ২০২৩-২৪ মৌসুমে আয় করেছে ১১ বিলিয়ন ২০ কোটি ইউরো, যা এক মৌসুমের রেকর্ড। ম্যাচের দিনের আয়, সম্প্রচার ও বাণিজ্যিক আয়, সবকিছু বেড়েই এই রেকর্ড হয়েছে।

আগেরবার শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি ক্লাবের ইতিহাসের রেকর্ড ৮৩ কোটি ৮০ লাখ ইউরো আয় করেছে গত মৌসুমে। তারপরও তারা দুইয়ে নেমে গেছে রিয়ালের আয়ের অনেক পেছনে থেকে। ৮০ কোটি ৬০ লাখ ইউরো আয় করে তিন নস্বরে আছে পিএসজি। মাঠের ফুটবলে বছরের পর বছর চরম দুর্দশা চললেও আয়ের খেলায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আছে চারে। তাদের আয় গত মৌসুমে ৭৭ কোটি ১০ লাখ ইউরো।

৭৬ কোটি ৫০ লাখ ইউরো আয় করে পাঁচে বায়ার্ন মিউনিখ, ছয়ে থাকা বার্সেলোনার আয় ৭৬ কোটি ৩ লাখ। সংস্কার কাজের জন্য কাম্প নউতে খেলা না হওয়ায় বার্সেলোনার ম্যাচের দিনের আয় কমে গেছে ৬ কোটি ৩০ লাখ ইউরো।

উয়েফার আর্থিক নীতি ভাঙার দায়ে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়া ইউভেন্তুস ১১ থেকে নেমে গেছে ১৬ নম্বর অবস্থানে।

মেয়েদের ফুটবলে আয়ের শীর্ষে অবশ্য টানা তৃতীয়বারের মতো আছে বার্সেলোনাই। প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ ইউরো আয় হয়েছে তাদের, আগের মৌসুমের চেয়ে বেড়েছে ২৬ শতাংশ। তাদের খুব কাছেই আছে আর্সেনালের মেয়েদের দল। মেয়েদের ফুটবলে ১ কেটি ৫০ লাখ ইউরো আয় করে রেয়াল মাদ্রিদ আছে পাঁচে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

ফুটবলের প্রথম বিলিয়নার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ

প্রকাশের সময় : ০৪:৪০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

মাঠের ফুটবলে সাফল্য, সংস্কারের পর নতুন রূপে চালু হওয়া স্টেডিয়ামে দর্শকের জোয়ার, বিপণনে উৎকর্ষ, সবকিছুর যোগফল- এক বিলিয়ন ইউরো! ফুটবল মাঠে অসংখ্য রেকর্ড গড়ে অনেক ট্রফি জয় করা ক্লাব এবার এক অনন্য নজির গড়ল অর্থের খেলায়। বিশ্বের প্রথম বিলিয়ন ইউরো ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক আর্থিক সংস্থা ডিলয়েটের ‘ফুটবল মানি লিগ’-এ ম্যানচেস্টার সিটিকে সরিয়ে আবার শীর্ষে ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। গড়েছে নতুন এক মাইলফলক। ২০২৩-২৪ মৌসুমে স্প্যানিশ ক্লাবটির আয় ১০৪ কোটি ইউরো।

এই প্রথম কোনো ফুটবল ক্লাব এক মৌসুমে এক বিলিয়ন ইউরো আয় করতে পারল। আগের মৌসুমে (২০২২-২৩) রিয়ালের আয় ছিল ৮৩ কোটি ১০ লাখ ইউরো।

গত মৌসুমে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ তিনটি ট্রফি জয় করে রিয়াল। সান্তিয়াগো বের্নাবেউ স্টেডিয়ামের সংস্কারের পর শুরু হয়েছে এটির বহুমুখি ব্যবহার। ম্যাচের দিনের আয়ও বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সব মিলিয়েই আয়ের খেলায় এই সাফল্য পেয়েছে ইউরোপের সফলতম ক্লাবটি।

ডিলয়েটের হিসাবে, রিয়ালের ম্যাচের দিনের আয় দ্বিগুন বেড়ে হয়েছে ২৪ কাটি ৮০ লাখ ইউরো। এছাড়া তাদের জার্সিতে নতুন স্পন্সর, মার্চেন্ডাইজড পণ্যের বিক্রি বেড়েছে ১৯ শতাংশ। এখান থেকে আয় ৪৮ কোটি ২০ লাখ ইউরো।

ডিলয়েটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ ২০ ফুটবল ক্লাব মিলিয়ে ২০২৩-২৪ মৌসুমে আয় করেছে ১১ বিলিয়ন ২০ কোটি ইউরো, যা এক মৌসুমের রেকর্ড। ম্যাচের দিনের আয়, সম্প্রচার ও বাণিজ্যিক আয়, সবকিছু বেড়েই এই রেকর্ড হয়েছে।

আগেরবার শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি ক্লাবের ইতিহাসের রেকর্ড ৮৩ কোটি ৮০ লাখ ইউরো আয় করেছে গত মৌসুমে। তারপরও তারা দুইয়ে নেমে গেছে রিয়ালের আয়ের অনেক পেছনে থেকে। ৮০ কোটি ৬০ লাখ ইউরো আয় করে তিন নস্বরে আছে পিএসজি। মাঠের ফুটবলে বছরের পর বছর চরম দুর্দশা চললেও আয়ের খেলায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আছে চারে। তাদের আয় গত মৌসুমে ৭৭ কোটি ১০ লাখ ইউরো।

৭৬ কোটি ৫০ লাখ ইউরো আয় করে পাঁচে বায়ার্ন মিউনিখ, ছয়ে থাকা বার্সেলোনার আয় ৭৬ কোটি ৩ লাখ। সংস্কার কাজের জন্য কাম্প নউতে খেলা না হওয়ায় বার্সেলোনার ম্যাচের দিনের আয় কমে গেছে ৬ কোটি ৩০ লাখ ইউরো।

উয়েফার আর্থিক নীতি ভাঙার দায়ে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়া ইউভেন্তুস ১১ থেকে নেমে গেছে ১৬ নম্বর অবস্থানে।

মেয়েদের ফুটবলে আয়ের শীর্ষে অবশ্য টানা তৃতীয়বারের মতো আছে বার্সেলোনাই। প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ ইউরো আয় হয়েছে তাদের, আগের মৌসুমের চেয়ে বেড়েছে ২৬ শতাংশ। তাদের খুব কাছেই আছে আর্সেনালের মেয়েদের দল। মেয়েদের ফুটবলে ১ কেটি ৫০ লাখ ইউরো আয় করে রেয়াল মাদ্রিদ আছে পাঁচে।