নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রায় সপ্তাহ খানেক নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছেছেন।ফেরার সময় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়। ফিরতি পথে নেতাকর্মী ও সংবাদকর্মীদের সঙ্গে সালাম বিনিময় করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেল পৌনে ৫টায় তিনি হাসপাতাল থেকে বাসার উদ্দেশে রওনা হন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার (৪ মে) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে রওনা করে বাসায় পৌঁছেন সন্ধ্যায় ৬টা ২০ মিনিটে। এসময় পরিবারের সদস্য, বাড়ির কাজের সহকারীসহ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাসার উদ্দেশে রওনা দেন খালেদা জিয়া। তার গাড়িবহর অনুসরণ করে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদলের কয়েকশ নেতাকর্মী গুলশানের বাসা পর্যন্ত আসে। তারা পুরো রাস্তায় স্লোগান দিতে দিতে আসেন। খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরও ধীর গতিতে আগাতে থাকে গুলশানের দিকে। ফলে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গুলশানে পৌঁছতে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
গত রোববার বিকেলে শারীরিক পরীক্ষার অংশ হিসেবে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে।
এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। নানা শারীরিক জটিলতায় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস তিনি সিসিইউতে ছিলেন।
পরে ১৯ জুন বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পর ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন তিনি।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত ছয় দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ফলে তিনি তার গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন।