Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালটি এখন নিজেই রোগাক্রান্ত

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল

সাবেক ১৯ টি জেলার বর্তমানে ৬৪ টি জেলার অন্যতম জেলা ফরিদপুর । ফরিদপুরে শতবছরের অধিক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালটি , এই হাসপাতালটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর কারাগার থাকা কালীন অবস্থায় বহুবার চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন ।

গত ১০ বছর পূর্বেও  বাংলাদেশের মধ্যে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবায় প্রথম স্থানে ছিল কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালটিকে চিকিৎসা সেবা দিলে ভালো হয় । কিছু কুচক্রী স্থানীয় ডাক্তারদের সহযোগীতায় হাসপাতালটি থেকে ফরিদপুরের প্রায় ১০ লক্ষাধিক লোক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত।

এখনো প্রতিদিন গড়ে ৮০০/১০০০ রোগীর চিকিৎসা সেবা নিতে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে আসে কিন্তু চিকিৎসকের অভাবে সাধারন রোগীরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না । প্রতিনিয়ত রোগীরা চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান আর এই সুযোগটি নিয়ে থেকে বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলি । রোগিরা বাধ্য হয়ে বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে যেতে হয় ।

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে সর্বমোট ৩৭ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন আবাসিক চিকিৎসক সহ ৭ জন । গুরুত্বপূর্ণ যে সকল ডাক্তারগুলো নেই সে চিকিৎসক গুলি হচ্ছে সিনিয়র কনসালটেন্ট অর্থপেডিক , জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি , জুনিয়র কনসালটেন্ট চক্ষু , সিনিয়র কনসালটেন্ট শিশু সহ ৩০ জন চিকিৎসক ।

আরও পড়ুন : ফরিদপুরে জাকের পার্টির মিশন সভা অনুষ্ঠিত

এই বিষয়ে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন প্রধান সহকারী জালাল সাহেব জানান , প্রতি মাসেই আমরা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগের মহা পরিচালক মহাদয়কে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক নেই বলে অবগত করি কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের মহা পরিচালকের কার্যালয় থেকে আমরা কোন চিকিৎসক পাচ্ছি না ।

বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায় , ফরিদপুরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি থাকায় একটি কুচক্রী মহলের সহযোগীতায় সকল ডাক্তাররা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি হয়ে আসে এতে চিকিৎসকদের সুবিধা ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালের নামটি ব্যবহার করে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চেম্বার নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ।

ঐ সকল  ডাক্তারদের ধারনা জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত থাকলে বেসরকারী রোগী কম পাওয়া যাবে আর এ সকল ডাক্তারদের সহযোগীতা করেন স্থানীয় ক্লিনিক মালিকরা ।

ফরিদপুর বাসীর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট  দাবি তার পিতা  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজরিত ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে অতি দ্রুত ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে চিকিৎসা সেবার নিশ্চিতকরণ করা হোক ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালটি এখন নিজেই রোগাক্রান্ত

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২১

সাবেক ১৯ টি জেলার বর্তমানে ৬৪ টি জেলার অন্যতম জেলা ফরিদপুর । ফরিদপুরে শতবছরের অধিক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালটি , এই হাসপাতালটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর কারাগার থাকা কালীন অবস্থায় বহুবার চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন ।

গত ১০ বছর পূর্বেও  বাংলাদেশের মধ্যে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবায় প্রথম স্থানে ছিল কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালটিকে চিকিৎসা সেবা দিলে ভালো হয় । কিছু কুচক্রী স্থানীয় ডাক্তারদের সহযোগীতায় হাসপাতালটি থেকে ফরিদপুরের প্রায় ১০ লক্ষাধিক লোক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত।

এখনো প্রতিদিন গড়ে ৮০০/১০০০ রোগীর চিকিৎসা সেবা নিতে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে আসে কিন্তু চিকিৎসকের অভাবে সাধারন রোগীরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না । প্রতিনিয়ত রোগীরা চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান আর এই সুযোগটি নিয়ে থেকে বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলি । রোগিরা বাধ্য হয়ে বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে যেতে হয় ।

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে সর্বমোট ৩৭ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন আবাসিক চিকিৎসক সহ ৭ জন । গুরুত্বপূর্ণ যে সকল ডাক্তারগুলো নেই সে চিকিৎসক গুলি হচ্ছে সিনিয়র কনসালটেন্ট অর্থপেডিক , জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি , জুনিয়র কনসালটেন্ট চক্ষু , সিনিয়র কনসালটেন্ট শিশু সহ ৩০ জন চিকিৎসক ।

আরও পড়ুন : ফরিদপুরে জাকের পার্টির মিশন সভা অনুষ্ঠিত

এই বিষয়ে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন প্রধান সহকারী জালাল সাহেব জানান , প্রতি মাসেই আমরা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগের মহা পরিচালক মহাদয়কে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক নেই বলে অবগত করি কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের মহা পরিচালকের কার্যালয় থেকে আমরা কোন চিকিৎসক পাচ্ছি না ।

বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায় , ফরিদপুরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি থাকায় একটি কুচক্রী মহলের সহযোগীতায় সকল ডাক্তাররা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি হয়ে আসে এতে চিকিৎসকদের সুবিধা ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালের নামটি ব্যবহার করে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চেম্বার নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ।

ঐ সকল  ডাক্তারদের ধারনা জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত থাকলে বেসরকারী রোগী কম পাওয়া যাবে আর এ সকল ডাক্তারদের সহযোগীতা করেন স্থানীয় ক্লিনিক মালিকরা ।

ফরিদপুর বাসীর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট  দাবি তার পিতা  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজরিত ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে অতি দ্রুত ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে চিকিৎসা সেবার নিশ্চিতকরণ করা হোক ।