নিজস্ব প্রতিবেদক :
গোষ্ঠীতন্ত্রের কাছে জিম্মি হয়ে মির্জা ফখরুলরা অবচেতন মনে রাজতন্ত্রের মন্ত্র জপছেন বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ‘ক্ষমতার মোহে অন্ধ’। তিনি (ফখরুল) গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা আর রাজতন্ত্রকে গুলিয়ে ফেলছেন।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা সুসংহত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশের সংবিধান ও আইন মেনে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের আশা আকাঙক্ষাকে ধারণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে সরকারের সকল কার্যক্রম।
সেতুমন্ত্রী বলেন, অবৈধ ও অসাংবিধানিক পন্থায় বন্দুকের নলের মুখে ক্ষমতা দখলকারী স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা আর রাজতন্ত্রকে গুলিয়ে ফেলেছে! রাজতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার পার্থক্য অনুধাবনের ন্যূনতম কাণ্ডজ্ঞানও তার লোপ পেয়েছে। খুনি তারেকের কাছে নতজানু ফখরুল সাহেবরা গোষ্ঠীতন্ত্রের কাছে জিম্মি হয়ে অবচেতন মনে রাজতন্ত্রের মন্ত্র জপছে! তাদের নিজেদের অসহায়ত্ব ও পরাধীনতাকে জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিনিয়ত তাদের ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছে। আওয়ামী লীগ যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলেছিল তখন তা গণদাবি এবং সময়ের দাবি ছিল। গণদাবির প্রেক্ষিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি জোর জবরদস্তি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহারের মাধ্যমে তা বিতর্কিত ও কলঙ্কিত করেছিল। তাদের সেসব অপতৎপরতা বিচার-বিশ্লেষণ করেই মহামান্য আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার এবং সুদীর্ঘ সময় সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও প্রগতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেনাতন্ত্রের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা তথা জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের অভিযাত্রা এগিয়ে চলেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন আজ তা দৃশ্যমান বাস্তবতা। বঙ্গবন্ধুকন্যার ভিশনারি নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষিত তথ্যের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি সংঘটিত অপরাধসমূহ দমনে ডিজিটাল সিকিউরিটি নিশ্চিতকরণে দেশে দেশে ডিজিটাল আইন প্রণীত হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। কাউকে হয়রানি কিংবা ভিন্ন মত দমন এই আইনের লক্ষ্য নয়। বিএনপি যেহেতু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রাষ্ট্র এবং জনগণের স্বার্থবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সেহেতু তারা রাজনৈতিকভাবে এই আইনের বিরোধীতা করে আসছে।