Dhaka মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রোটিয়াদের স্বপ্নভঙ্গ করে ভারতের সঙ্গী অস্ট্রেলিয়া

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:০৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৯৬ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ক্রিকেটে চোকার্স শব্দটি শুনলেই ক্রীড়া প্রেমীদের সর্বপ্রথমেই দক্ষিণ আফ্রিকার কথা মনে পড়বে। কেননা, চোক শব্দটি দক্ষিণ আফ্রিকার একদম পরিপূরক শব্দ। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এখনও অবধি চারবার সেমিফাইনাল খেলেও একবারের জন্যও ফাইনালে পৌঁছাতে পারেনি তারা। পঞ্চমবারে এসেও সেমির জুজু কাটাতে পারলো না প্রোটিয়ারা।

১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অজিদের সঙ্গে প্রোটিয়াদের ঐতিহাসিক টাই ম্যাচটি আজও অমর হয়ে আছে ক্রিকেট দুনিয়ায়। তেমনই আরেকটি উত্তেজনায় ঠাসা সেমিফাইনাল দেখলো পুরো ক্রিকেট বিশ্ব যার পরতে পরতে ছিল উত্তেজনা।

প্রোটিয়াদের মাত্র ২১২ রানে অলআউট করেও কে ভেবেছিল এই ম্যাচ জিততে এতটা বেগ পেতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের সামনে অনেকটাই অসহায় পড়ছিল অজি ব্যাটাররা কিন্তু শেষ পর্যন্ত জশ ইংলিসের দৃঢ়তায় ২০১৫ বিশ্বকাপের পর আবারো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো অস্ট্রেলিয়া। প্রোটিয়াদের ৩ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ভারতের সঙ্গী হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ বলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২১২ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে ১৬ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া।

দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ২১৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেডের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পায় অজিরা। ইনিংসের শুরু থেকেই প্রোটিয়া বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলেন দুই অজি ওপেনার। মার্কো ইয়ানসেন-কাগিসো রাবাদাদের কোনো সুযোগই দেননি তারা। শুরু থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি মেরেছন তারা। প্রোটিয়া বোলারদের তুলোধুনো করে মাত্র ৬ ওভারে দু’জনে মিলে তুলেন ৬০ রান।

এরপরই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখে অস্ট্রেলিয়া। ১ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারায় অজিরা। মার্করামের বলে একটু জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওয়ার্নার। দারুণ ছন্দে থাকা বাঁহাতি এই ওপেনার আউট হন ১৮ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেও এদিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি মিচেল মার্শ। রাবাদার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে জোরের উপরে খেলেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। কভারে দাঁড়িয়ে থাকা ডাসেন ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন। ডাসেনের ‘অবিশ্বাস্য’ ফিল্ডিংয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় মার্শকে।

দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পরও অস্ট্রেলিয়াকে চাপে পড়তে দেননি হেড ও স্মিথ। ৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন হেড। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা হেডকে ফেরান মহারাজ। বাঁহাতি এই স্পিনারের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে সামনের পায়ে ভর দিয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন হেড। বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট-প্যাডের মাঝে অনেকটা ফাঁকা ছিল। সেখান দিয়ে মহারাজের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারি আঘাত হানে হেডের স্টাম্পে। বাঁহাতি এই ওপেনার ফিরে যান ৬২ রানের ইনিংস খেলে।

মার্নাস ল্যাবুশেনকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি শামসি। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন তিনি। রিভিউ নিলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি ১৮ রান করা এই ব্যাটারের। ক্রিজে এসে দ্রুতই ফিরে যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। শামসির শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে বলের লাইন মিস করে ফিরে গেছেন বোল্ড হয়ে। নিজের সবশেষ ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করা ম্যাক্সওয়েল এদিন আউট হয়েছেন ১ রানে।

সবশেষ ৬৭ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ভালোভাবেই ম্যাচে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে তাদের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় স্মিথ ও জশ ইংলিস জুটি। তারা দু’জনে মিলে যোগ করেন ৩৭ রান। স্মিথকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন জেরাল্ড কোয়েৎজে। ডানহাতি এই পেসারের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন। বল সোজা উপরে উঠে যাওয়ায় ক্যাচ লুফে নেন ডি কক। লম্বা সময় টিকে থাকা স্মিথকে ফিরতে হয় ৬২ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে।

স্মিথ ফেরার পর স্টার্ককে সঙ্গে নিয়ে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন ইংলিস। তখনও হাতে পর্যাপ্ত বল থাকায় চাপ নেয়ার তেমন প্রয়োজন ছিল না তার। অস্ট্রেলিয়া যখন জয় থেকে ২০ রান দূরে তখন সাজঘরে ফেরেন ইংলিস। কোয়েৎজের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ৪৯ বলে ২৮ রান করা অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার ব্যাটার। তবে ঠাণ্ডা মাথায় ম্যাচ শেষ করেন কামিন্স ও স্টার্ক। প্রোটিয়াদের হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন কোয়েৎজে ও শামসি। এছাড়াও একটি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা, কেশভ মহারাজ ও এইডেন মার্করাম।

এর আগে ইডেনে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অজি বোলারদের তোপে পড়ে প্রোটিয়া ব্যাটিং অর্ডার। ইনিংসের প্রথম ওভারেই মিচেল স্টার্কের শিকার হন বাভুমা। ৪ বলে শূন্য রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন টেম্বা। এরপর তার দেখানো পথে হাঁটেন আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক। ব্যাটিং পয়ায়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৮ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এরপর ইনিংসের ১২তম ওভারের ভেতর এইডেন মার্করাম ও রাসি ফন ডার ডুসেনকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে আফ্রিকা। দলীয় ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দ্রুত অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে প্রোটিয়ারা।

তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন হেনরি ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। তাদের জুটি বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। তবে ট্রেভিস হেডের ঘূর্ণিতে ৩১তম ওভারে ৯৫ রানের জুটি ভাঙে অজিরা। এরপর সেই ওভারে মার্কো ইয়ানসেনকে ফিরিয়ে ১১৯ রানে ৪ উইকেট থেকে আফ্রিকার ৬ উইকেটের পতন ঘটান হেড।

শেষ দিকে মিলাকে সঙ্গ দেন জেরাল্ড কোয়াটজি। এই বোলারকে সঙ্গে নিয়ে লড়াকু সংগ্রহের পথে এগিয়ে যান মিলার। শেষ পর্যন্ত কামিন্সের বলে নিজের শতরান পূরণ করে দলকে লড়াইয়ে পুঁজি এনে দিয়ে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪৯.৪ ওভারে ২১২ রান তুলে অলআউট হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বোচ্চ ১০১ রানের ইনিংস খেলেন মিলার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। দু’টি করে উইকেট শিকার করেন জশ হ্যাজলউড ও ট্রাভিস হেড।

আগামী ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ শিরোপার জন্য লড়বে অস্ট্রেলিয়া।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্রোটিয়াদের স্বপ্নভঙ্গ করে ভারতের সঙ্গী অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশের সময় : ১১:০৫:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ক্রিকেটে চোকার্স শব্দটি শুনলেই ক্রীড়া প্রেমীদের সর্বপ্রথমেই দক্ষিণ আফ্রিকার কথা মনে পড়বে। কেননা, চোক শব্দটি দক্ষিণ আফ্রিকার একদম পরিপূরক শব্দ। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এখনও অবধি চারবার সেমিফাইনাল খেলেও একবারের জন্যও ফাইনালে পৌঁছাতে পারেনি তারা। পঞ্চমবারে এসেও সেমির জুজু কাটাতে পারলো না প্রোটিয়ারা।

১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অজিদের সঙ্গে প্রোটিয়াদের ঐতিহাসিক টাই ম্যাচটি আজও অমর হয়ে আছে ক্রিকেট দুনিয়ায়। তেমনই আরেকটি উত্তেজনায় ঠাসা সেমিফাইনাল দেখলো পুরো ক্রিকেট বিশ্ব যার পরতে পরতে ছিল উত্তেজনা।

প্রোটিয়াদের মাত্র ২১২ রানে অলআউট করেও কে ভেবেছিল এই ম্যাচ জিততে এতটা বেগ পেতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের সামনে অনেকটাই অসহায় পড়ছিল অজি ব্যাটাররা কিন্তু শেষ পর্যন্ত জশ ইংলিসের দৃঢ়তায় ২০১৫ বিশ্বকাপের পর আবারো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো অস্ট্রেলিয়া। প্রোটিয়াদের ৩ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ভারতের সঙ্গী হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ বলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২১২ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে ১৬ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া।

দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ২১৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেডের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পায় অজিরা। ইনিংসের শুরু থেকেই প্রোটিয়া বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলেন দুই অজি ওপেনার। মার্কো ইয়ানসেন-কাগিসো রাবাদাদের কোনো সুযোগই দেননি তারা। শুরু থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি মেরেছন তারা। প্রোটিয়া বোলারদের তুলোধুনো করে মাত্র ৬ ওভারে দু’জনে মিলে তুলেন ৬০ রান।

এরপরই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখে অস্ট্রেলিয়া। ১ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারায় অজিরা। মার্করামের বলে একটু জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওয়ার্নার। দারুণ ছন্দে থাকা বাঁহাতি এই ওপেনার আউট হন ১৮ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেও এদিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি মিচেল মার্শ। রাবাদার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে জোরের উপরে খেলেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। কভারে দাঁড়িয়ে থাকা ডাসেন ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন। ডাসেনের ‘অবিশ্বাস্য’ ফিল্ডিংয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় মার্শকে।

দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পরও অস্ট্রেলিয়াকে চাপে পড়তে দেননি হেড ও স্মিথ। ৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন হেড। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা হেডকে ফেরান মহারাজ। বাঁহাতি এই স্পিনারের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে সামনের পায়ে ভর দিয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন হেড। বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট-প্যাডের মাঝে অনেকটা ফাঁকা ছিল। সেখান দিয়ে মহারাজের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারি আঘাত হানে হেডের স্টাম্পে। বাঁহাতি এই ওপেনার ফিরে যান ৬২ রানের ইনিংস খেলে।

মার্নাস ল্যাবুশেনকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি শামসি। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন তিনি। রিভিউ নিলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি ১৮ রান করা এই ব্যাটারের। ক্রিজে এসে দ্রুতই ফিরে যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। শামসির শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে বলের লাইন মিস করে ফিরে গেছেন বোল্ড হয়ে। নিজের সবশেষ ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করা ম্যাক্সওয়েল এদিন আউট হয়েছেন ১ রানে।

সবশেষ ৬৭ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ভালোভাবেই ম্যাচে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে তাদের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় স্মিথ ও জশ ইংলিস জুটি। তারা দু’জনে মিলে যোগ করেন ৩৭ রান। স্মিথকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন জেরাল্ড কোয়েৎজে। ডানহাতি এই পেসারের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন। বল সোজা উপরে উঠে যাওয়ায় ক্যাচ লুফে নেন ডি কক। লম্বা সময় টিকে থাকা স্মিথকে ফিরতে হয় ৬২ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে।

স্মিথ ফেরার পর স্টার্ককে সঙ্গে নিয়ে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন ইংলিস। তখনও হাতে পর্যাপ্ত বল থাকায় চাপ নেয়ার তেমন প্রয়োজন ছিল না তার। অস্ট্রেলিয়া যখন জয় থেকে ২০ রান দূরে তখন সাজঘরে ফেরেন ইংলিস। কোয়েৎজের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ৪৯ বলে ২৮ রান করা অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার ব্যাটার। তবে ঠাণ্ডা মাথায় ম্যাচ শেষ করেন কামিন্স ও স্টার্ক। প্রোটিয়াদের হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন কোয়েৎজে ও শামসি। এছাড়াও একটি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা, কেশভ মহারাজ ও এইডেন মার্করাম।

এর আগে ইডেনে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অজি বোলারদের তোপে পড়ে প্রোটিয়া ব্যাটিং অর্ডার। ইনিংসের প্রথম ওভারেই মিচেল স্টার্কের শিকার হন বাভুমা। ৪ বলে শূন্য রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন টেম্বা। এরপর তার দেখানো পথে হাঁটেন আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক। ব্যাটিং পয়ায়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৮ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এরপর ইনিংসের ১২তম ওভারের ভেতর এইডেন মার্করাম ও রাসি ফন ডার ডুসেনকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে আফ্রিকা। দলীয় ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দ্রুত অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে প্রোটিয়ারা।

তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন হেনরি ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। তাদের জুটি বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। তবে ট্রেভিস হেডের ঘূর্ণিতে ৩১তম ওভারে ৯৫ রানের জুটি ভাঙে অজিরা। এরপর সেই ওভারে মার্কো ইয়ানসেনকে ফিরিয়ে ১১৯ রানে ৪ উইকেট থেকে আফ্রিকার ৬ উইকেটের পতন ঘটান হেড।

শেষ দিকে মিলাকে সঙ্গ দেন জেরাল্ড কোয়াটজি। এই বোলারকে সঙ্গে নিয়ে লড়াকু সংগ্রহের পথে এগিয়ে যান মিলার। শেষ পর্যন্ত কামিন্সের বলে নিজের শতরান পূরণ করে দলকে লড়াইয়ে পুঁজি এনে দিয়ে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪৯.৪ ওভারে ২১২ রান তুলে অলআউট হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বোচ্চ ১০১ রানের ইনিংস খেলেন মিলার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। দু’টি করে উইকেট শিকার করেন জশ হ্যাজলউড ও ট্রাভিস হেড।

আগামী ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ শিরোপার জন্য লড়বে অস্ট্রেলিয়া।