Dhaka রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমের টানে হবিগঞ্জে ফিলিপাইনি তরুণী

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

প্রেমের সম্পর্ককে সার্থক করতে হাজার মাইল দুর ফিলিপাইন থেকে জুবেলিন নামে এক তরুণী এখন হবিগঞ্জের মাধবপুরে। শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে নিজের নাম পরিবর্তন করে জুবেলিন থেকে জান্নাত রহমান হয়ে বিয়েও করেছেন প্রেমিক আশিকুর রহমান মিশুকে।

প্রেমের টানে হবিগঞ্জের মাধবপুরে ছুটে এসেছেন ফিলিপাইনের তরুণী জুবেলিন। কাতারে চাকরি করার সুবাদে মাধবপুরের গোবিন্দপুর গ্রামের তরুণ আশিকুর রহমান মিশুর সঙ্গে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। সম্প্রতি মিশু বাংলাদেশের তার বাড়ি ফিরে আসেন। খবর পেয়ে ওই তরুণীও বাংলাদেশে ছুটে আসেন। অতঃপর তাদের শুভ পরিণয় হয়।

শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে নিজের নাম পরিবর্তন করে জুবেলিন থেকে জান্নাত রহমান হয়ে বিয়েও করেছেন প্রেমিক আশিকুর রহমান মিশুকে।

এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি লোকমুখে প্রচার হতে থাকলে বিদেশী বধুকে দেখতে আশিকুরের বাড়িতে গিয়ে ভীড় করছেন উৎসুখ জনতা। আশিকুর রহমান মিশু একজন কাতার প্রবাসি। সে মাধবপুর উপজেলার উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর কামারহাটি গ্রামের স্কুল শিক্ষক লুৎফুর রহমানের ছেলে।

সোমবার (৪ মার্চ) ফিলিপাইনি তরুণী জুবেলিন প্রেমিক মিশুকে পেতে তার গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। বাড়ির সব সম্মতিতে পরে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) হবিগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা বিয়ে করেন। এর আগে তরুণী আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে নিজের ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে জুবেলিন নাম পরিবর্তন করে জান্নাত রহমান নামে বিয়ে করেন।

আশিকুল ইসলাম মিশু বলেন, কাতারের দোহায় একটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যর্থনায় কাজ করেন জুবেলিন বাউতিস্তা। একই শহরে ব্যবসা করেন মিশু। পাঁচ বছর আগে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। একপর্যায়ে তা প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। ছয় মাস আগে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা।

তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার আদালতে আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ে পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুজনই কাতারে কর্মস্থলে ফিরে যাব। এ সময় সুন্দর জীবনের কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন মিশু।

মিশুর চাচা আমিনুল ইসলাম সুমন বলেন, অন্য সকল বিয়ের চেয়ে এটি ছিল ভিন্ন একটি বিয়ে। বিদেশী নব বধুকে দেখতে মানুষের ভিড় লেগেই আছে। পরিবার বলছে ছেলের সুখে আমরাই সুখি। ভিন দেশী মেয়ে আমাদের ছেলেকে ভালোবেসে হাজার মাইল দুর থেকে এসেছে। পুরোপুরি বউয়ের মর্যাদা দিয়েই আমরা তাকে রাখবো।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে বিদেশে-অনলাইনে পরে থাকতে হবে : তারেককে ইঙ্গিত করে পাটওয়ারী

প্রেমের টানে হবিগঞ্জে ফিলিপাইনি তরুণী

প্রকাশের সময় : ০২:২৪:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

প্রেমের সম্পর্ককে সার্থক করতে হাজার মাইল দুর ফিলিপাইন থেকে জুবেলিন নামে এক তরুণী এখন হবিগঞ্জের মাধবপুরে। শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে নিজের নাম পরিবর্তন করে জুবেলিন থেকে জান্নাত রহমান হয়ে বিয়েও করেছেন প্রেমিক আশিকুর রহমান মিশুকে।

প্রেমের টানে হবিগঞ্জের মাধবপুরে ছুটে এসেছেন ফিলিপাইনের তরুণী জুবেলিন। কাতারে চাকরি করার সুবাদে মাধবপুরের গোবিন্দপুর গ্রামের তরুণ আশিকুর রহমান মিশুর সঙ্গে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। সম্প্রতি মিশু বাংলাদেশের তার বাড়ি ফিরে আসেন। খবর পেয়ে ওই তরুণীও বাংলাদেশে ছুটে আসেন। অতঃপর তাদের শুভ পরিণয় হয়।

শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে নিজের নাম পরিবর্তন করে জুবেলিন থেকে জান্নাত রহমান হয়ে বিয়েও করেছেন প্রেমিক আশিকুর রহমান মিশুকে।

এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি লোকমুখে প্রচার হতে থাকলে বিদেশী বধুকে দেখতে আশিকুরের বাড়িতে গিয়ে ভীড় করছেন উৎসুখ জনতা। আশিকুর রহমান মিশু একজন কাতার প্রবাসি। সে মাধবপুর উপজেলার উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর কামারহাটি গ্রামের স্কুল শিক্ষক লুৎফুর রহমানের ছেলে।

সোমবার (৪ মার্চ) ফিলিপাইনি তরুণী জুবেলিন প্রেমিক মিশুকে পেতে তার গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। বাড়ির সব সম্মতিতে পরে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) হবিগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা বিয়ে করেন। এর আগে তরুণী আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে নিজের ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে জুবেলিন নাম পরিবর্তন করে জান্নাত রহমান নামে বিয়ে করেন।

আশিকুল ইসলাম মিশু বলেন, কাতারের দোহায় একটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যর্থনায় কাজ করেন জুবেলিন বাউতিস্তা। একই শহরে ব্যবসা করেন মিশু। পাঁচ বছর আগে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। একপর্যায়ে তা প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। ছয় মাস আগে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা।

তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার আদালতে আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ে পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুজনই কাতারে কর্মস্থলে ফিরে যাব। এ সময় সুন্দর জীবনের কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন মিশু।

মিশুর চাচা আমিনুল ইসলাম সুমন বলেন, অন্য সকল বিয়ের চেয়ে এটি ছিল ভিন্ন একটি বিয়ে। বিদেশী নব বধুকে দেখতে মানুষের ভিড় লেগেই আছে। পরিবার বলছে ছেলের সুখে আমরাই সুখি। ভিন দেশী মেয়ে আমাদের ছেলেকে ভালোবেসে হাজার মাইল দুর থেকে এসেছে। পুরোপুরি বউয়ের মর্যাদা দিয়েই আমরা তাকে রাখবো।