আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
হিন্দু মেয়ের সঙ্গে প্রেম ছিল ছেলের। এর দায়ে ভারতের উত্তর প্রদেশের সীতাপুরে এক মুসলিম দম্পতি লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিবেশীরা। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এনডটিভির খবরে বলা হয়েছে, আব্বাস ও তার স্ত্রী কামরুল নিশার ছেলের সঙ্গে হত্যায় অভিযুক্ত একজনের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনার জেরে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আব্বাস ও কামরুল নিশার।
দম্পতির মৃত্যুর পর থেকে অভিযুক্ত দুজন পলাতক রয়েছেন। সীতাপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) চক্রেশ মিশ্র জানান, কয়েক বছর আগে প্রতিবেশী এক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান আব্বাসের ছেলে শওকত। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর গ্রেফতারও হয়েছিলেন আব্বাসের ছেলে। কয়েকদিন আগে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপরই তাঁর পরিবারের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেন মেয়ের পরিবার।
পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট চক্রেস মিশ্রা আরও জানিয়েছেন, ‘গ্রামবাসীর তথ্য অনুযায়ী, মৃত দম্পতির ছেলে শওকত এবং প্রতিবেশি হিন্দু ব্যক্তি রামপালের মেয়ে রুবির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শওকত ২০২০ সালে রুবিকে অপহরণ করে। ওই সময় রুবি প্রাপ্তবয়স্ক ছিল না। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর শওকতকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। শওকত (ছাড়া পেয়ে) গত জুনে আবারও রুবিকে অপহরণ ও বিয়ে করে।’
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে এবং জড়িত আরও দুজনকে ধরার চেষ্টা চলছে।
ভারতে গুরুতর অপরাধ ছাড়াই মুসলিমদের পিটিয়ে হত্যার ঘটনা হরহামেশা ঘটে। তারই সর্বশেষ বলি হলেন আব্বাস ও তার স্ত্রী।