নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘যে প্রার্থীই অপরাধ করুক না কেন, দলমত নির্বিশেষে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রার্থী দেখে নয় বরং অপরাধ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ ও শক্তিশালীভাবে তাদের কাজ করে তবে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা হওয়ার সুযোগ নেই।
শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থী এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে পৃথক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, সরকারি সুবিধা ভোগ করেন এমন কেউ নির্বাচনের প্রচারে অংশগ্রহণ করলে যে প্রার্থীর প্রচার করবে তার প্রার্থিতা বাতিল করে দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন চায় সহিংসতামুক্ত সুষ্ঠু একটি নির্বাচন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে। এর বাইরে গেলেই শাস্তি পেতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিগত নির্বাচনে যারা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোটারদের নির্বিঘ্নে, নিরাপদে ও নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত ও ভোটপ্রদানের সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ তৈরিতে যা যা করতে হয় স্থানীয় প্রশাসন তাই করবে। কোনোভাবেই ভোটররা যেন অসন্তষ্ট ও ভীতির সৃষ্টি না হয় সেই ব্যাপারে সর্বদা সজাগ থাকতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা সংসদীয় আসনে থাকতে পারবেন। যেহেতু তারা ভোট দিবেন সেক্ষেত্রে তাদের তো থাকতে হবে। তবে কোনো প্রার্থীর পক্ষেই প্রভাব কিংবা প্রচার প্রচারণায় উপস্থিত থাকতে পারেন না। এক্ষেত্রে কোনো প্রার্থী প্রমাণসহ অভিযোগ দিলে ওই সংসদ সদস্য ও প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
নির্বাচনে অনেক দলীয় প্রার্থী অংশগ্রহণ করছে না এ বিষয়ে আপনাদের পদক্ষেপ কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা সেটি তাদের নিজস্ব বিষয়। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনারের কিছু করার থাকে না। তবে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা স্বাধীন অধিকার।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে লালমনিরহাটের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে সভা করেন। এ সময় সব উপজেলার প্রার্থীরা অংশ নিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট নানান সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকসহ জেলার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুব জামান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ১৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক 























