Dhaka শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারালো বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:১৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৯৩ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

মূল সিরিজ শুরুর আগে সব দলই নিজেদের ঝালিয়ে নেয় প্রস্তুতি ম্যাচে দিয়ে। এটাই স্বাভাবিক। তেমনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামার আগে বাংলাদেশও নিজেদের দুর্দান্তভাবে ঝালিয়ে নিল প্রস্তুতি ম্যাচে। টপ অর্ডারের চার ব্যাটারের তিনজনই ফিফটি পেয়েছেন। শেষদিকে ঝড় তোলেছিলেন রিশাদ হোসেন। সবমিলিয়ে তিনশোর্ধ্ব সংগ্রহ গড়েছিল বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়ায় একশোর আগেই চার উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড একাদশ। তবে মিডল অর্ডার ব্যাটারদের দৃঢ়তায় কিছুটা লড়াই করেছে স্বাগতিকরা। ২৬ রানের জয়ে মূল সিরিজের প্রস্তুতি সেরেছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) লিংকনের বার্ট সাটক্লিফ ওভালে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেছেন রিশাদ। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভার ২ বলে ৩০৮ রান তুলে থেকেছে নিউজিল্যান্ড একাদশ।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই পথ হারায় নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে দারুণ শুরু করেন বাংলাদেশের পেসাররা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে কিউই শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। ১৮ বলে ২২ রান করে ফেরেন জ্যাকব কামিং। নিজের পরের ওভারে আবারও উইকেটের দেখা পান এই পেসার। ১২ বলে ৮ রান করেছেন ভুলা।

ইনিংসের ১৪তম ওভারে তৃতীয় উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। এবার শিকার ধরেন তানজিম হাসান সাকিব। ৩২ বলে ২৩ রান করে ফেরেন সুন্দি। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জামাল টড। আফিফকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। একশোর আগেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারায় কিউইরা।

এরপর প্রতিরোধ গড়ে কিউইরা। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ভারত পোপলি। সন্দীপ প্যাটেলও তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। দুজনের জুটি শতরান ছাড়ায়। দেখেশুনে খেলতে খেলতে সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে যান পোপলি। তবে ৯০ বলে ৯২ রান করা পোপলিকে বোল্ড করেন আফিফ। এরপর বেশিক্ষণ টিকেননি সন্দীপও। সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দেয়ার আগে ৭৭ বলে ১১টি চার ও দুটি ছক্কায় ৮৯ রান করেন তিনি।

শেষদিকে ২৬ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন জই ফিল্ড। শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড একাদশ থামে ৪৯.২ ওভারে ৩০৮ রানেই। তার এই ইনিংস শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। ফলে ২৬ রানের এক জয় পায় বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে তিনটি উইকেট নেন রিশাদ। দুটি করে উইকেট নেন হাসান এবং আফিফ।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ দলকে প্রস্তুতি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া লিটন দাস। বিশ্বকাপের পর নিজেদের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ছিলেন না তিনি। প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে আবারও ফিরলেন মাঠে।

ব্যাটিংয়ে নেমে চার ফিফটিতে রানের পাহাড়ই গড়ে বাংলাদেশ দল। নির্ধারিত ওভারের এক বল বাকি থাকতে অলআউট হলেও স্কোর হয়ে যায় ৩৩৪। তানজিদ হাসান তামিম, লিটন, সৌম্য সরকারের পর রিশাদ হোসেন খেলেছেন বিধ্বংসী এক ফিফটির ইনিংস।

ওপেনিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও এনামুল হক বিজয়। ৭ ওভারে ৪৭ রানের দারুণ শুরু দুজনে। ৩৩ রানে ফেরেন বিজয়। দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্যর সঙ্গে ১০১ রানের দারুণ আরেকটি জুটি গড়েন তামিম। এই জুটি গড়ার পথে দুজনে তুলে নিয়েছেন ফিফটিও। ফিফটি করার পরেই দুজনে আউটও হয়েছেন। ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৬ বলে ৫৮ রানে ফেরেন তামিম। তখন বাংলাদেশের রান ১৯.৪ ওভারে ১৪৮। এরপরই ৫৯ রানে আউট হন সৌম্য। বাঁহাতি ব্যাটার ৫৬ বলের ইনিংসে ছিল ৮ চার ও ১ ছক্কায়।

দুই বাঁহাতি ব্যাটারের দেখানো পথে চার নম্বরে নেমে ফিফটি করেছেন লিটন। ১ ছক্কার বিপরীতে ৫ চার ৫৫ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এরপর দ্রুত ফেরেন তাওহীদ হৃদয় (০) ও আফিফ হোসেন (১০)। ৭ নম্বরে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান রিশাদ। খেলেছেন ৫৪ বলে ৮৭ রানের ঝোড়ো ইনিংসে। মেরেছেন ১১টি চার ও ৪টি ছক্কার বাউন্ডারি। ৪৯.৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ হয় ৩৩৪ রান। ৭৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ড একাদশের সেরা বোলার সমরথ সিং।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারালো বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০১:১৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

মূল সিরিজ শুরুর আগে সব দলই নিজেদের ঝালিয়ে নেয় প্রস্তুতি ম্যাচে দিয়ে। এটাই স্বাভাবিক। তেমনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামার আগে বাংলাদেশও নিজেদের দুর্দান্তভাবে ঝালিয়ে নিল প্রস্তুতি ম্যাচে। টপ অর্ডারের চার ব্যাটারের তিনজনই ফিফটি পেয়েছেন। শেষদিকে ঝড় তোলেছিলেন রিশাদ হোসেন। সবমিলিয়ে তিনশোর্ধ্ব সংগ্রহ গড়েছিল বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়ায় একশোর আগেই চার উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড একাদশ। তবে মিডল অর্ডার ব্যাটারদের দৃঢ়তায় কিছুটা লড়াই করেছে স্বাগতিকরা। ২৬ রানের জয়ে মূল সিরিজের প্রস্তুতি সেরেছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) লিংকনের বার্ট সাটক্লিফ ওভালে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেছেন রিশাদ। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯ ওভার ২ বলে ৩০৮ রান তুলে থেকেছে নিউজিল্যান্ড একাদশ।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই পথ হারায় নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে দারুণ শুরু করেন বাংলাদেশের পেসাররা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে কিউই শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। ১৮ বলে ২২ রান করে ফেরেন জ্যাকব কামিং। নিজের পরের ওভারে আবারও উইকেটের দেখা পান এই পেসার। ১২ বলে ৮ রান করেছেন ভুলা।

ইনিংসের ১৪তম ওভারে তৃতীয় উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। এবার শিকার ধরেন তানজিম হাসান সাকিব। ৩২ বলে ২৩ রান করে ফেরেন সুন্দি। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জামাল টড। আফিফকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। একশোর আগেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারায় কিউইরা।

এরপর প্রতিরোধ গড়ে কিউইরা। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ভারত পোপলি। সন্দীপ প্যাটেলও তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। দুজনের জুটি শতরান ছাড়ায়। দেখেশুনে খেলতে খেলতে সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে যান পোপলি। তবে ৯০ বলে ৯২ রান করা পোপলিকে বোল্ড করেন আফিফ। এরপর বেশিক্ষণ টিকেননি সন্দীপও। সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দেয়ার আগে ৭৭ বলে ১১টি চার ও দুটি ছক্কায় ৮৯ রান করেন তিনি।

শেষদিকে ২৬ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন জই ফিল্ড। শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড একাদশ থামে ৪৯.২ ওভারে ৩০৮ রানেই। তার এই ইনিংস শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। ফলে ২৬ রানের এক জয় পায় বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে তিনটি উইকেট নেন রিশাদ। দুটি করে উইকেট নেন হাসান এবং আফিফ।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ দলকে প্রস্তুতি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া লিটন দাস। বিশ্বকাপের পর নিজেদের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ছিলেন না তিনি। প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে আবারও ফিরলেন মাঠে।

ব্যাটিংয়ে নেমে চার ফিফটিতে রানের পাহাড়ই গড়ে বাংলাদেশ দল। নির্ধারিত ওভারের এক বল বাকি থাকতে অলআউট হলেও স্কোর হয়ে যায় ৩৩৪। তানজিদ হাসান তামিম, লিটন, সৌম্য সরকারের পর রিশাদ হোসেন খেলেছেন বিধ্বংসী এক ফিফটির ইনিংস।

ওপেনিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও এনামুল হক বিজয়। ৭ ওভারে ৪৭ রানের দারুণ শুরু দুজনে। ৩৩ রানে ফেরেন বিজয়। দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্যর সঙ্গে ১০১ রানের দারুণ আরেকটি জুটি গড়েন তামিম। এই জুটি গড়ার পথে দুজনে তুলে নিয়েছেন ফিফটিও। ফিফটি করার পরেই দুজনে আউটও হয়েছেন। ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৬ বলে ৫৮ রানে ফেরেন তামিম। তখন বাংলাদেশের রান ১৯.৪ ওভারে ১৪৮। এরপরই ৫৯ রানে আউট হন সৌম্য। বাঁহাতি ব্যাটার ৫৬ বলের ইনিংসে ছিল ৮ চার ও ১ ছক্কায়।

দুই বাঁহাতি ব্যাটারের দেখানো পথে চার নম্বরে নেমে ফিফটি করেছেন লিটন। ১ ছক্কার বিপরীতে ৫ চার ৫৫ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এরপর দ্রুত ফেরেন তাওহীদ হৃদয় (০) ও আফিফ হোসেন (১০)। ৭ নম্বরে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান রিশাদ। খেলেছেন ৫৪ বলে ৮৭ রানের ঝোড়ো ইনিংসে। মেরেছেন ১১টি চার ও ৪টি ছক্কার বাউন্ডারি। ৪৯.৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ হয় ৩৩৪ রান। ৭৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ড একাদশের সেরা বোলার সমরথ সিং।