নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়া হয়েছে। রমজান মাসের পর থেকে এখনো তেল-চিনির দাম ভারসাম্য অবস্থায় আছে। ধান-চাল আমদানিতে কর দুই-এক শতাংশ করা হয়েছে বাজেটে।
শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন এক কোটি নাগরিক ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য পাচ্ছেন। আসন্ন বাজেটের মেয়াদে ন্যায্যমূল্যে পণ্য দিতে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য দেয়ার কাজ চলছে। এটা হলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের মাধ্যমে উপকৃত হবেন।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এবারের বাজেটে এমন কিছু রাখা হয়নি যাতে করে বাজার অস্থির হবে। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পেছনে কৃষকরাও দায়ী। আপনারা জানেন, দেশে ধানের উৎপাদন বাড়লে কৃষকরা ধান বিক্রি করে তেল কিনে, সবজি কিনে। সবজি আর তেল কেনার জন্য দেখা গেল ধান বেশি দামে বিক্রি করছেন। এতে করে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, রমজানের পর থেকে এখনো তেল-চিনির দাম ভারসাম্য অবস্থায় আছে। ধান-চাল আমদানিতে কর দুই-এক শতাংশ করা হয়েছে বাজেটে। এখন এক কোটি নাগরিক ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য পাচ্ছেন। আসন্ন বাজেটের মেয়াদে ন্যায্যমূল্যে পণ্য দিতে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য দেওয়ার কাজ চলছে। এটা হলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন আমাদের ভোক্তা অধিকার রয়েছে। সেটির মাধ্যমে আমরা বাজার মনিটরিংগুলো করি। ঈদকে সামনে রেখে সেটি আমরা অব্যাহত রেখেছি। বাজেটে কর মওকুফ করায় আমাদের নিত্যপণ্যের দাম কমবে। আমাদের বাজার নিয়ন্ত্রণের সাথে দেশের বিভিন্ন ঋতুতে আবহাওয়ার বিপর্যয় ঘটে। এতে করে আমরা যখন দেখতে পাই নিত্যপণ্যর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন ট্যাক্স কমিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবো। এবারের বাজেটে ১৭২টি পণ্যের ওপর শুল্ককর কমানো হয়েছে। আমাদের বিভিন্ন ঋতুতে সংকট ও বিপর্যয় হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব) আব্দুস সালাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাণিজ্যমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।