Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রস্তাবিত বাজেটে চলমান সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয় : সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ বাজেট দিয়ে চলমান সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

শুক্রবার (৭ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ সিপিডির পর্যালোচনা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, একদিকে চলছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি; সেই সঙ্গে রিজার্ভ-সংকট আছে এই পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু এসব সংকট সমাধানে বাজেটে বিশেষ কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বাজেটে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা, মূল্যস্ফীতি ও জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলো অর্জন করা সম্ভব হবে না। বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা-ও অর্জন করা সম্ভব হবে না ।

তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতি সব সূচকগুলোতে ক্ষত দেখা দিয়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতি রোধ ও নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে বাজেটে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট নয়।

কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, বাজেটে কালো টাকা সাদা করতে ১৫ শতাংশ এবং বৈধ আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ করারোপের ফলে সৎ করদাতাদের তিরস্কার আর কালোটাকার মালিকদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই বলে জানিয়ে তিনি বলেন, একটা চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাজেটটি হলো। আমাদের প্রত্যাশা ছিল এই বাজেট অনেক উদ্ভাবনী হবে। এখানে সৃজনশীল ও কিছু সাহসী পদক্ষেপ থাকবে। কারণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জিং সময়ে গতানুগতিক বাজেট কোনো ধরনের সমস্যার সমাধান দিতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, নতুন বাজেট আমাদের কাছে অতীতের বাজেটের মতোই মনে হয়েছে। বর্তমান সময়ের সমস্যা, ক্রান্তিকালীন সংকট দেখা দিয়েছে অর্থনীতিতে, সেগুলো সমাধানে এই বাজেট যথোপযুক্ত পদক্ষেপ বা দিকনির্দেশনা দিতে পারেনি।

সিপিডি নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে স্পষ্ট বলা হয়েছে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে থাকবে সরকার। কিন্তু বাজেটে কর ও ঋণ খেলাপিসহ দুষ্টুষ্টচক্রকে মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের টাকা অর্থনীতিতে আনার প্রচেষ্টায় কর হার কমানো হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্রস্তাবিত বাজেটে চলমান সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয় : সিপিডি

প্রকাশের সময় : ০৪:১৯:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ বাজেট দিয়ে চলমান সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

শুক্রবার (৭ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ সিপিডির পর্যালোচনা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, একদিকে চলছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি; সেই সঙ্গে রিজার্ভ-সংকট আছে এই পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু এসব সংকট সমাধানে বাজেটে বিশেষ কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বাজেটে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা, মূল্যস্ফীতি ও জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলো অর্জন করা সম্ভব হবে না। বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা-ও অর্জন করা সম্ভব হবে না ।

তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতি সব সূচকগুলোতে ক্ষত দেখা দিয়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতি রোধ ও নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে বাজেটে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট নয়।

কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, বাজেটে কালো টাকা সাদা করতে ১৫ শতাংশ এবং বৈধ আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ করারোপের ফলে সৎ করদাতাদের তিরস্কার আর কালোটাকার মালিকদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই বলে জানিয়ে তিনি বলেন, একটা চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাজেটটি হলো। আমাদের প্রত্যাশা ছিল এই বাজেট অনেক উদ্ভাবনী হবে। এখানে সৃজনশীল ও কিছু সাহসী পদক্ষেপ থাকবে। কারণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জিং সময়ে গতানুগতিক বাজেট কোনো ধরনের সমস্যার সমাধান দিতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, নতুন বাজেট আমাদের কাছে অতীতের বাজেটের মতোই মনে হয়েছে। বর্তমান সময়ের সমস্যা, ক্রান্তিকালীন সংকট দেখা দিয়েছে অর্থনীতিতে, সেগুলো সমাধানে এই বাজেট যথোপযুক্ত পদক্ষেপ বা দিকনির্দেশনা দিতে পারেনি।

সিপিডি নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে স্পষ্ট বলা হয়েছে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে থাকবে সরকার। কিন্তু বাজেটে কর ও ঋণ খেলাপিসহ দুষ্টুষ্টচক্রকে মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের টাকা অর্থনীতিতে আনার প্রচেষ্টায় কর হার কমানো হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।