Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় বুয়েট শিক্ষক নিখিলসহ ১৬ জনের বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানার দায়ের করা মামলায় বুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধরসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করিম চৌধুরী এ মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। আসামি নিখিলের আইনজীবী তুহিন হাওলাদার বিষয়টি জানিয়েছেন।

বিচার শুরু অপর আসামিরা হলেন, প্রশ্ন ফাঁসের হোতা আহ্ছানউলল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান রয়েল, অফিস সহায়ক (পিয়ন) দেলোয়ার হোসেন, কর্মী রবিউল আউয়াল, জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল, রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে-আলম মিলন, পূবালী ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জাবের ওরফে জাহিদ, পারভেজ মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, মোবিন উদ্দিন, সোহেল রানা, পরীক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম স্বপন, রাশেদ আহমেদ বাবলু, জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ ও রবিউল ইসলাম রবি।

জানা যায়, আওতায় ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর দুপুর ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এক হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন। বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার পর চাকরি প্রত্যাশীদের অনেকেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। ওই ঘটনায় ১০ নভেম্বর তেজগাঁও জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর সুকান্ত বিশ্বাস বাড্ডা থানায় মামলা করেন।

গত বছরের ১০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর শামীম আহমেদ অধ্যাপক নিখিলকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। সেখানে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছিলেন, আদালতে দেওয়া আসামি দেলোয়ারের জবানবন্দি অনুযায়ী ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সন্দিগ্ধ আসামি ড. নিখিল রঞ্জন ধরের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনার বিষয়ে জড়িত থাকার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলার দায় প্রমাণ করা সম্ভব হয় নাই।

এরপর গত ২৫ জানুয়ারি আদালত অভিযোগপত্রে নিখিলের নাম বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একইসঙ্গে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী গত ৩০ জানুয়ারি এই সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

Tag :
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় বুয়েট শিক্ষক নিখিলসহ ১৬ জনের বিচার শুরু

প্রকাশের সময় : ০১:৩৭:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানার দায়ের করা মামলায় বুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধরসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করিম চৌধুরী এ মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। আসামি নিখিলের আইনজীবী তুহিন হাওলাদার বিষয়টি জানিয়েছেন।

বিচার শুরু অপর আসামিরা হলেন, প্রশ্ন ফাঁসের হোতা আহ্ছানউলল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান রয়েল, অফিস সহায়ক (পিয়ন) দেলোয়ার হোসেন, কর্মী রবিউল আউয়াল, জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল, রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে-আলম মিলন, পূবালী ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জাবের ওরফে জাহিদ, পারভেজ মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, মোবিন উদ্দিন, সোহেল রানা, পরীক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম স্বপন, রাশেদ আহমেদ বাবলু, জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ ও রবিউল ইসলাম রবি।

জানা যায়, আওতায় ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর দুপুর ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এক হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন। বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার পর চাকরি প্রত্যাশীদের অনেকেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। ওই ঘটনায় ১০ নভেম্বর তেজগাঁও জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর সুকান্ত বিশ্বাস বাড্ডা থানায় মামলা করেন।

গত বছরের ১০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর শামীম আহমেদ অধ্যাপক নিখিলকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। সেখানে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছিলেন, আদালতে দেওয়া আসামি দেলোয়ারের জবানবন্দি অনুযায়ী ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সন্দিগ্ধ আসামি ড. নিখিল রঞ্জন ধরের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনার বিষয়ে জড়িত থাকার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলার দায় প্রমাণ করা সম্ভব হয় নাই।

এরপর গত ২৫ জানুয়ারি আদালত অভিযোগপত্রে নিখিলের নাম বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একইসঙ্গে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী গত ৩০ জানুয়ারি এই সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।