Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রশাসনে থাকা স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গ দেশকে বিপদে ফেলবে : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পতিত স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গ প্রশাসনের মধ্যে থাকলে দেশকে তারা বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের সময় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গরা যদি প্রশাসনের মধ্যে থাকে, তারা আপনাদের প্রতি পদে পদে বাধা দেবে। তাদের অতি দ্রুত চিহ্নিত করুন। গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে যারা ছিলেন কিংবা যারা নিরপেক্ষ ছিলেন, তারা যে দলেরই সমর্থক হোন না কেন, এ মেধাবীদের আপনারা প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বসান। তা না হলে স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গরা দেশকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন, পুনরুত্থান মানে দেশ হবে এক ভয়ঙ্কর বধ্যভূমি। এই বধ্যভূমি যাতে তৈরি না হয় তাই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যে রাজনৈতিক দলই রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে তাদেরকেও অন্তরে সততার আলো নিয়ে খুব দ্রুতগতিতে কাজ করতে হবে। সেই পথ, সেই মত তৈরি করতে হবে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে মাঠ দরকার, সেটি তাদেরকে তৈরি করতে হবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, তিনি আবু সাঈদের এতা একজন মহিমান্বিত আত্মদানকারী, নিজের জীবন দিয়েছে বুক চিতিয়ে হাসিনার পুলিশের গুলি বরণ করেছে তাকে বলছে সন্ত্রাসী। তাকে বলছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। এদের মতো লোকজন প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় আছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তো প্রশাসনের একটি অংশ, তাহলে আজকে সচিবালয় থেকে শুরু করে বিচারালয় থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কীভাবে এই স্বৈরাচারের দোসররা একটি বিপ্লবের সরকারকে ব্যর্থ করতে চাইবে, সেটা তো আমরা প্রত্যেকেই জানি।

প্রশাসনে যাদের নতুন প্রমোশন হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য রিজভী বলেন, প্রশাসনে যাদের নতুন প্রমোশন হচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আওয়ামী প্রশাসন জনগণের টাকা লুট করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আপনারা বঞ্চিত ছিলেন আপনাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছিল বিরোধী দলের লোক হিসেবে। এখন আপনারা যদি মনে করেন এতদিন বঞ্চিত ছিলাম এখন ভাগ বাটোয়ারা করে সেটি পূরণ করব। তাহলে কিন্তু এই জাতি চিরদিনের জন্য অন্ধকারে চলে যাবে।

রিজভী আরও বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় সিঙ্গাপুরে একটি লবিস্ট ফান্ড ভাড়া করেছে তাদের পক্ষে ওকালতি করার জন্য। এগুলো কিন্তু খুব সাধারণ কথা নয়।

এ সময় গুলশান-২ এলাকায় পথচারী, দোকানদার ও এলাকাবাসীকে ডেঙ্গুর সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

ডেঙ্গু বিষয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে সরকারের ঢিমেতাল আচরণ অগ্রহণযোগ্য। স্বৈরাচারের দোসররা প্রশাসনে থাকায় সরকারের কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, মানুষের অনেক প্রত্যাশা অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে। জোরালো তৎপরতার মাধ্যমে ডেঙ্গু মহামারি থেকে মুক্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। জনগণের দুর্ভোগ হয় — এমন কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। টাস্কফোর্স গঠন করে ডেঙ্গুর বিষয়ে কাজ করা উচিত।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ডা. জাহিদুল কবির, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, আরিফুর রহমান তুষার, ছাত্রদলের নেতা ডা. আব্দুল আউয়াল মাসুদুর রহমান মাসুদ, রাজু আহমেদ প্রমুখ।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকার ক্রমান্বয়ে একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে গেছে : রিজভী

প্রশাসনে থাকা স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গ দেশকে বিপদে ফেলবে : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৮:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পতিত স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গ প্রশাসনের মধ্যে থাকলে দেশকে তারা বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের সময় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গরা যদি প্রশাসনের মধ্যে থাকে, তারা আপনাদের প্রতি পদে পদে বাধা দেবে। তাদের অতি দ্রুত চিহ্নিত করুন। গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে যারা ছিলেন কিংবা যারা নিরপেক্ষ ছিলেন, তারা যে দলেরই সমর্থক হোন না কেন, এ মেধাবীদের আপনারা প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বসান। তা না হলে স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গরা দেশকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন, পুনরুত্থান মানে দেশ হবে এক ভয়ঙ্কর বধ্যভূমি। এই বধ্যভূমি যাতে তৈরি না হয় তাই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যে রাজনৈতিক দলই রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে তাদেরকেও অন্তরে সততার আলো নিয়ে খুব দ্রুতগতিতে কাজ করতে হবে। সেই পথ, সেই মত তৈরি করতে হবে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে মাঠ দরকার, সেটি তাদেরকে তৈরি করতে হবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, তিনি আবু সাঈদের এতা একজন মহিমান্বিত আত্মদানকারী, নিজের জীবন দিয়েছে বুক চিতিয়ে হাসিনার পুলিশের গুলি বরণ করেছে তাকে বলছে সন্ত্রাসী। তাকে বলছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। এদের মতো লোকজন প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় আছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তো প্রশাসনের একটি অংশ, তাহলে আজকে সচিবালয় থেকে শুরু করে বিচারালয় থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কীভাবে এই স্বৈরাচারের দোসররা একটি বিপ্লবের সরকারকে ব্যর্থ করতে চাইবে, সেটা তো আমরা প্রত্যেকেই জানি।

প্রশাসনে যাদের নতুন প্রমোশন হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য রিজভী বলেন, প্রশাসনে যাদের নতুন প্রমোশন হচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আওয়ামী প্রশাসন জনগণের টাকা লুট করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আপনারা বঞ্চিত ছিলেন আপনাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছিল বিরোধী দলের লোক হিসেবে। এখন আপনারা যদি মনে করেন এতদিন বঞ্চিত ছিলাম এখন ভাগ বাটোয়ারা করে সেটি পূরণ করব। তাহলে কিন্তু এই জাতি চিরদিনের জন্য অন্ধকারে চলে যাবে।

রিজভী আরও বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় সিঙ্গাপুরে একটি লবিস্ট ফান্ড ভাড়া করেছে তাদের পক্ষে ওকালতি করার জন্য। এগুলো কিন্তু খুব সাধারণ কথা নয়।

এ সময় গুলশান-২ এলাকায় পথচারী, দোকানদার ও এলাকাবাসীকে ডেঙ্গুর সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

ডেঙ্গু বিষয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে সরকারের ঢিমেতাল আচরণ অগ্রহণযোগ্য। স্বৈরাচারের দোসররা প্রশাসনে থাকায় সরকারের কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, মানুষের অনেক প্রত্যাশা অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে। জোরালো তৎপরতার মাধ্যমে ডেঙ্গু মহামারি থেকে মুক্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। জনগণের দুর্ভোগ হয় — এমন কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। টাস্কফোর্স গঠন করে ডেঙ্গুর বিষয়ে কাজ করা উচিত।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ডা. জাহিদুল কবির, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, আরিফুর রহমান তুষার, ছাত্রদলের নেতা ডা. আব্দুল আউয়াল মাসুদুর রহমান মাসুদ, রাজু আহমেদ প্রমুখ।