Dhaka সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

নারায়ণগঞ্জ মহাসড়কের ঢাকা-চট্টগ্রাম অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী এবং যানবাহনের চালকেরা।

বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (দুপুর সোয়া ১২টা) পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি রয়েছে।

জানা গেছে, বৃষ্টি ও দড়িকান্দি এলাকায় গাড়ি বিকল হওয়াতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাত্রী ও যানবাহন চালকরা দীর্ঘক্ষণ একই স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। অল্প দূরত্বের যাত্রীরা হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন।

যাত্রীরা জানান, পূজার ছুটি শুরু হওয়ায় সবাই গ্রামের বাড়ি যেতে রওনা হয়েছেন। সাধারণ দিনে সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত যেতে যেখানে আধাঘণ্টা সময় লাগে, আজ সেখানে তিন থেকে চার ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।

যাত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, প্রতি বছর পূজার ছুটিতে আমরা গ্রামে যাই। কিন্তু এ বছর যানজট এত ভয়াবহ যে, কখন পৌঁছাতে পারব সেটি নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছি।

শুধু চট্টগ্রামমুখী সড়ক নয়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও একই চিত্র। ভৈরব, নরসিংদী ও আড়াইহাজার অংশে যানবাহন ধীর গতিতে চলছে।

বাসযাত্রী সোহেল মিয়া বলেন, সিলেট যেতে সাধারণত ছয়-সাত ঘণ্টা লাগে। কিন্তু আজ সকাল থেকে রওনা হয়েছি, এখনো নরসিংদী পার হতে পারিনি।
একই অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ট্রাকচালক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে জ্বালানি খরচ বেড়ে যাচ্ছে, আর মালিকদের চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে।

পুলিশ জানায়, ছুটির চাপের পাশাপাশি বৈরী আবহাওয়া যুক্ত হওয়ায় সড়কে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও ছুটির কারণে সড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি গাড়ির চাপ বেড়েছে। এতে যানবাহনের গতি কমে গিয়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। তবে গাড়ির চাপ অনেক বেশি হওয়ায় যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। একাধিক টিম কাজ করছে, আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট

প্রকাশের সময় : ১২:৩৪:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

নারায়ণগঞ্জ মহাসড়কের ঢাকা-চট্টগ্রাম অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী এবং যানবাহনের চালকেরা।

বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (দুপুর সোয়া ১২টা) পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি রয়েছে।

জানা গেছে, বৃষ্টি ও দড়িকান্দি এলাকায় গাড়ি বিকল হওয়াতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাত্রী ও যানবাহন চালকরা দীর্ঘক্ষণ একই স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। অল্প দূরত্বের যাত্রীরা হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন।

যাত্রীরা জানান, পূজার ছুটি শুরু হওয়ায় সবাই গ্রামের বাড়ি যেতে রওনা হয়েছেন। সাধারণ দিনে সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত যেতে যেখানে আধাঘণ্টা সময় লাগে, আজ সেখানে তিন থেকে চার ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।

যাত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, প্রতি বছর পূজার ছুটিতে আমরা গ্রামে যাই। কিন্তু এ বছর যানজট এত ভয়াবহ যে, কখন পৌঁছাতে পারব সেটি নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছি।

শুধু চট্টগ্রামমুখী সড়ক নয়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও একই চিত্র। ভৈরব, নরসিংদী ও আড়াইহাজার অংশে যানবাহন ধীর গতিতে চলছে।

বাসযাত্রী সোহেল মিয়া বলেন, সিলেট যেতে সাধারণত ছয়-সাত ঘণ্টা লাগে। কিন্তু আজ সকাল থেকে রওনা হয়েছি, এখনো নরসিংদী পার হতে পারিনি।
একই অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ট্রাকচালক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে জ্বালানি খরচ বেড়ে যাচ্ছে, আর মালিকদের চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে।

পুলিশ জানায়, ছুটির চাপের পাশাপাশি বৈরী আবহাওয়া যুক্ত হওয়ায় সড়কে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও ছুটির কারণে সড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি গাড়ির চাপ বেড়েছে। এতে যানবাহনের গতি কমে গিয়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। তবে গাড়ির চাপ অনেক বেশি হওয়ায় যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। একাধিক টিম কাজ করছে, আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।